ভারতের আকাশ খুলছে কি? by একরামুল হক শামীম
আলোচনা অনেক বছর ধরেই চলছে। ভারতে বাংলাদেশের কোনো টিভি চ্যানেল দেখানো হয় না_ এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অন্যদিকে বাংলাদেশে ভারতের অর্ধশতাধিক টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখানো হয়। বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে সম্প্রচারের বিষয়ে দাবি-দাওয়া জানিয়ে আসছে।
বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকেও বিষয়টি নিয়ে নানা সময় আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছরের আলোচনার ফলাফল ইতিবাচক নয়। ফলে ভারতে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের ব্যাপারটি ঝুলে আছে। গত আগস্টে জাতীয় সংসদে তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, ভারতে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি খুব দ্রুতই নিষ্পত্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। কিন্তু সমস্যা হলো এ ধরনের আশ্বাস আমরা এর আগেও অনেকবার শুনেছি। কিন্তু ভারতের আকাশ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলের জন্য খোলেনি আজতক।
ভারতে কেন বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল দেখানো হয় না এ প্রশ্ন অনেক দিনের। এ প্রশ্নের নানা উত্তরও রয়েছে। উত্তরগুলো এমনভাবে মানুষের মধ্যে ঘুরে বেড়িয়েছে যে আসল কারণটিই এখন খুঁজে বের করা কঠিন। একটি কারণ হচ্ছে ভারতের কঠিন 'ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কস রেগুলেশন অ্যাক্ট'। এটি ১৯৯৫ সালের একটি আইন। এই আইনের শুরুর দিকেই সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কথা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করে বিদেশি স্যাটেলাইট চ্যানেলের সম্প্রচার ভারতে সীমিত করা হয়। পাশাপাশি কঠিন নিয়ম-কানুনও যুক্ত করা হয়। ভারতে যে বাংলাদেশি চ্যানেল দেখানো হয় না তার কোনো লিখিত নির্দেশনা নেই। বলা যেতে পারে নিয়মের বেড়াজালে রেখে বন্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার। ভারতে বিদেশের কোনো চ্যানেল ডাউনলোড করে সম্প্রচার করতে হলে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয় বেশ কিছু কঠিন নিয়ম-কানুন যুক্ত করে দিয়েছে। চ্যানেলপ্রতি বছরে ক্যাবল অপারেটরদের ১৫ লাখ রুপি দিতে হয় সরকারি রাজস্ব খাতে। ক্যাবল অপারেটররা এই ফি আদায় করেন বিদেশি চ্যানেলগুলোর মালিকদের কাছ থেকে। উচ্চ ফিসের কারণে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো ভারতে সম্প্রচারিত হতে পারছে না। কেউ কেউ অন্য একটি কারণকে দায়ী করেন। বিষয়টি বাজারের সঙ্গে জড়িত। একটি দেশের টেলিভিশন চ্যানেল যখন অন্য দেশে সম্প্রচারিত হয় তখন তা কেবল নিছক অনুষ্ঠান সম্প্রচারের যন্ত্র থাকে না, তা হয়ে উঠে বাজার সম্প্রসারণের গুরুত্বপূর্ণ টোল। যেমনটা বাংলাদেশে সম্প্রচারিত ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর ক্ষেত্রে দেখা গেছে। ভারতীয় চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচার শুরু হওয়ার পর এ দেশে ভারতীয় পণ্যের বাজার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ঈদের বাজারে ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত নাটকের নায়িকার নামের ড্রেস পাওয়া যায় এখানে। কেউ কেউ মনে করেন বাজার তৈরির ভয়েই বাংলাদেশি চ্যানেল ভারতে দেখানো হয় না।
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। এ সময় দু'দেশের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও গাঢ় করতে ভারতে বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলগুলো সম্প্রচারের সুযোগ দিতে হবে। ভারতীয় হাই কমিশন এরই মধ্যে জানিয়েছে, বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানের মান নিয়ে ভারতের কোনো আপত্তি নেই। অন্যদিকে ভারতের তথ্যমন্ত্রী অম্বিকা সোনি ১৬ সেপ্টেম্বর জানিয়েছেন, 'টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর পারস্পরিক সম্প্রচারের বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব।' পারস্পরিক সম্প্রচারের প্রশ্ন এলে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশে এরই মধ্যে ভারতের প্রায় সব স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল দেখানো হচ্ছে। এখন কেবল বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলের জন্য ভারতের আকাশ উন্মুক্ত করার পালা।
ভারতে কেন বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল দেখানো হয় না এ প্রশ্ন অনেক দিনের। এ প্রশ্নের নানা উত্তরও রয়েছে। উত্তরগুলো এমনভাবে মানুষের মধ্যে ঘুরে বেড়িয়েছে যে আসল কারণটিই এখন খুঁজে বের করা কঠিন। একটি কারণ হচ্ছে ভারতের কঠিন 'ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কস রেগুলেশন অ্যাক্ট'। এটি ১৯৯৫ সালের একটি আইন। এই আইনের শুরুর দিকেই সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কথা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করে বিদেশি স্যাটেলাইট চ্যানেলের সম্প্রচার ভারতে সীমিত করা হয়। পাশাপাশি কঠিন নিয়ম-কানুনও যুক্ত করা হয়। ভারতে যে বাংলাদেশি চ্যানেল দেখানো হয় না তার কোনো লিখিত নির্দেশনা নেই। বলা যেতে পারে নিয়মের বেড়াজালে রেখে বন্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার। ভারতে বিদেশের কোনো চ্যানেল ডাউনলোড করে সম্প্রচার করতে হলে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয় বেশ কিছু কঠিন নিয়ম-কানুন যুক্ত করে দিয়েছে। চ্যানেলপ্রতি বছরে ক্যাবল অপারেটরদের ১৫ লাখ রুপি দিতে হয় সরকারি রাজস্ব খাতে। ক্যাবল অপারেটররা এই ফি আদায় করেন বিদেশি চ্যানেলগুলোর মালিকদের কাছ থেকে। উচ্চ ফিসের কারণে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো ভারতে সম্প্রচারিত হতে পারছে না। কেউ কেউ অন্য একটি কারণকে দায়ী করেন। বিষয়টি বাজারের সঙ্গে জড়িত। একটি দেশের টেলিভিশন চ্যানেল যখন অন্য দেশে সম্প্রচারিত হয় তখন তা কেবল নিছক অনুষ্ঠান সম্প্রচারের যন্ত্র থাকে না, তা হয়ে উঠে বাজার সম্প্রসারণের গুরুত্বপূর্ণ টোল। যেমনটা বাংলাদেশে সম্প্রচারিত ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর ক্ষেত্রে দেখা গেছে। ভারতীয় চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচার শুরু হওয়ার পর এ দেশে ভারতীয় পণ্যের বাজার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ঈদের বাজারে ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত নাটকের নায়িকার নামের ড্রেস পাওয়া যায় এখানে। কেউ কেউ মনে করেন বাজার তৈরির ভয়েই বাংলাদেশি চ্যানেল ভারতে দেখানো হয় না।
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। এ সময় দু'দেশের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও গাঢ় করতে ভারতে বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলগুলো সম্প্রচারের সুযোগ দিতে হবে। ভারতীয় হাই কমিশন এরই মধ্যে জানিয়েছে, বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানের মান নিয়ে ভারতের কোনো আপত্তি নেই। অন্যদিকে ভারতের তথ্যমন্ত্রী অম্বিকা সোনি ১৬ সেপ্টেম্বর জানিয়েছেন, 'টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর পারস্পরিক সম্প্রচারের বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব।' পারস্পরিক সম্প্রচারের প্রশ্ন এলে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশে এরই মধ্যে ভারতের প্রায় সব স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল দেখানো হচ্ছে। এখন কেবল বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলের জন্য ভারতের আকাশ উন্মুক্ত করার পালা।
No comments