অবহেলিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষা-বস্তি ওঠে বস্তি সরে, কলেজ হয় না by নজরুল ইসলাম
জমি বরাদ্দের সাড়ে তিন বছরেও ফিজিওথেরাপি কলেজ ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। এ সুযোগে মহাখালীর ওই সোয়া পাঁচ একর জমিতে বস্তিঘর তুলে ভাড়া-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ দখলদারেরা। সেখানে মাদক ব্যবসাও চলে বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ, এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে মহাখালীতে ফিজিওথেরাপি কলেজের জন্য সোয়া পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু এখনো ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। অবকাঠামো সমস্যার কারণে গুরুতরভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন ফিজিওথেরাপির শিক্ষার্থীরা।
চিকিৎসাসেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও ফিজিওথেরাপি শিক্ষার জন্য এখন পর্যন্ত দেশে পূর্ণাঙ্গ সরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। ক্লাস করার জন্য শিক্ষার্থীদের নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে ছোটাছুটি করতে হয়। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) একটি শ্রেণীকক্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম চলছে। ১৩টি শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য।
কর্মসূচির পর কর্মসূচি নিষ্ফল: শিক্ষানবিশ ফিজিওথেরাপিস্ট আরিফুর রহমান দাবি করেন, কলেজ ভবন নির্মাণের দাবিতে তাঁরা পাঁচ বছরে রাজধানীতে চার দফায় ২৪ দিন ‘আমরণ’ অনশন, ৪১ দিন অবস্থান ধর্মঘট, ৪০ দিন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল, অন্তত ২০ বার মানববন্ধন এবং আটবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ ছাড়া তাঁরা তাজা রক্ত বিসর্জনের পাশাপাশি আত্মাহুতির কর্মসূচিও দিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বারবার সময় বেঁধে দিয়ে ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক বিদেশে থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। স্বাস্থ্যসচিব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘একবার উচ্ছেদ করার পর ফিজিওথেরাপি কলেজের জায়গায় আবার বস্তি গড়ে উঠেছে। বস্তি উচ্ছেদ করে কলেজের নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। এর আগে দেখতে হবে, এ নিয়ে কোনো আইনি জটিলতা আছে কি না।’
কলেজের জমিতে যা হচ্ছে: গত বুধবার দুপুরে মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ) স্কুলের পেছনে কলেজ ভবনের নির্ধারিত জমিতে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক শ আধাপাকা টিনের ছাপরাঘর ও দোকান মিলিয়ে পুরোদস্তুর বস্তি। অবৈধ দখলদারেরা এসব দোকান ও ঘর তুলে নিজেরা থাকার পাশাপাশি ভাড়া দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের গোয়েন্দারা জানায়, সন্ধ্যার পর এখানে রমরমা মাদক ব্যবসা চলে।
স্থানীয় মো. সিজ্জিল জানান, এলাকা দিয়ে চলতে গেলে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের কবলে পড়তে হয় পথচারীদের।
অবৈধ দখলদারদের একজন রেখা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা হাইকোর্টে আবেদন করে এখানে আছেন। তাঁর ভাষ্য: ‘গত বছর সরকার বস্তি ভাইঙ্গা দ্যাওয়ার পর জায়গাডা অনেক দিন খাইল্যা পইড়্যা ছিল। অন্যগো মতো আমিও এই জমিতে ঘর বানাইছি। দুই ঘরে মাইয়া পোলা নিয়ে আমরা থাহি। আর বাকি তিনডা ঘরের একেকটা দুই হাজার টেকা কইরা ভাড়া দিছি।’
এ ব্যাপারে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার চৌধুরী লুৎফুল কবীর বলেন, মাদকমুক্ত করতে এসব বস্তিতে আরও জোরালো অভিযান শুরু হচ্ছে। কলেজ ভবন গড়ে উঠলে বস্তি সরে যাবে এবং এলাকাটি মাদকমুক্ত হবে।
যেভাবে শিক্ষাদান চলছে: ফিজিওথেরাপির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরিজুল আলম প্রথম আলোকে জানান, দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য পঙ্গু হাসপাতালে মাত্র একটি শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। বর্তমানে তাঁদের জন্য নির্ধারিত কোনো শিক্ষকও নেই। একমাত্র শিক্ষক ২০০৮ সালে অন্যত্র চলে গেছেন। আগে পাস করে যাওয়া প্রাক্তন ছাত্ররা মানবিক কারণে বিনা পারিশ্রমিকে ক্লাস নিচ্ছেন। অথচ বহু দিন ধরে এখানে ১৩টি শিক্ষকের পদ শূন্য।
তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হারুন অর রশীদ বলেন, শিক্ষক-সংকটে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে আটকা পড়ে আছেন। অ্যাডহক ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের সরকারি ঘোষণা থাকলেও তা হচ্ছে না। একমাত্র শ্রেণীকক্ষে ক্লাস চলার সময় অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
উল্লেখ্য, প্রায় চার দশক আগে ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ফিজিওথেরাপি স্নাতক কোর্স চালু হয়। সেই থেকে পঙ্গু হাসপাতালে ওই এক কক্ষের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
দীর্ঘসূত্রতার দিনপঞ্জি: কলেজ অব ফিজিওথেরাপির স্বতন্ত্র ভবন নির্মাণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ২০০৪-০৫ সালে আন্দোলন করেন। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পঙ্গু হাসপাতালের পূর্ব দিকে এ ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি অংশের বিরোধিতায় তা এগোয়নি। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বর্তমান স্থানে জমি বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ভবনের নির্মাণকাজ শুরু না হওয়ায় নভেম্বরে শিক্ষার্থীরা অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। কর্মকর্তাদের আশ্বাসে তাঁরা দুই দফা অনশন প্রত্যাহার করে নিলেও পরের কয়েক মাসেও কাজ শুরু হয়নি। ২০০৯ সালের মে মাসে শিক্ষার্থীরা আবারও লাগাতার অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। মন্ত্রী ওই বছরের ১০ জুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দুই মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শুরুর ঘোষণা দেন। দুই মাস পার হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা চতুর্থ দফা অনশন শুরু করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবার এসে সাত দিনের মধ্যে কাজ শুরুর ঘোষণা দেন। এরপর ওই জমি থেকে বস্তি উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু গণপূর্ত অধিদপ্তর কাজ শুরু করতে দেরি করলে দখলদারেরা আবার বস্তি গড়ে তোলে।
ফিজিওথেরাপি-সেবার দৈন্য: বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি সোসাইটির সভাপতি দলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি প্রায় সব হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি বিভাগ চালু থাকলেও শুধু ফিজিওথেরাপি সহকারী নিয়োগ দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। তাঁদের মূলত কিছু যন্ত্রপাতির ব্যবহার শিখিয়ে ফিজিওথেরাপি নামে কিছু ইলেকট্রোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসাসেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও ফিজিওথেরাপি শিক্ষার জন্য এখন পর্যন্ত দেশে পূর্ণাঙ্গ সরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। ক্লাস করার জন্য শিক্ষার্থীদের নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে ছোটাছুটি করতে হয়। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) একটি শ্রেণীকক্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম চলছে। ১৩টি শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য।
কর্মসূচির পর কর্মসূচি নিষ্ফল: শিক্ষানবিশ ফিজিওথেরাপিস্ট আরিফুর রহমান দাবি করেন, কলেজ ভবন নির্মাণের দাবিতে তাঁরা পাঁচ বছরে রাজধানীতে চার দফায় ২৪ দিন ‘আমরণ’ অনশন, ৪১ দিন অবস্থান ধর্মঘট, ৪০ দিন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল, অন্তত ২০ বার মানববন্ধন এবং আটবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ ছাড়া তাঁরা তাজা রক্ত বিসর্জনের পাশাপাশি আত্মাহুতির কর্মসূচিও দিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বারবার সময় বেঁধে দিয়ে ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক বিদেশে থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। স্বাস্থ্যসচিব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘একবার উচ্ছেদ করার পর ফিজিওথেরাপি কলেজের জায়গায় আবার বস্তি গড়ে উঠেছে। বস্তি উচ্ছেদ করে কলেজের নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। এর আগে দেখতে হবে, এ নিয়ে কোনো আইনি জটিলতা আছে কি না।’
কলেজের জমিতে যা হচ্ছে: গত বুধবার দুপুরে মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ) স্কুলের পেছনে কলেজ ভবনের নির্ধারিত জমিতে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক শ আধাপাকা টিনের ছাপরাঘর ও দোকান মিলিয়ে পুরোদস্তুর বস্তি। অবৈধ দখলদারেরা এসব দোকান ও ঘর তুলে নিজেরা থাকার পাশাপাশি ভাড়া দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের গোয়েন্দারা জানায়, সন্ধ্যার পর এখানে রমরমা মাদক ব্যবসা চলে।
স্থানীয় মো. সিজ্জিল জানান, এলাকা দিয়ে চলতে গেলে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের কবলে পড়তে হয় পথচারীদের।
অবৈধ দখলদারদের একজন রেখা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা হাইকোর্টে আবেদন করে এখানে আছেন। তাঁর ভাষ্য: ‘গত বছর সরকার বস্তি ভাইঙ্গা দ্যাওয়ার পর জায়গাডা অনেক দিন খাইল্যা পইড়্যা ছিল। অন্যগো মতো আমিও এই জমিতে ঘর বানাইছি। দুই ঘরে মাইয়া পোলা নিয়ে আমরা থাহি। আর বাকি তিনডা ঘরের একেকটা দুই হাজার টেকা কইরা ভাড়া দিছি।’
এ ব্যাপারে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার চৌধুরী লুৎফুল কবীর বলেন, মাদকমুক্ত করতে এসব বস্তিতে আরও জোরালো অভিযান শুরু হচ্ছে। কলেজ ভবন গড়ে উঠলে বস্তি সরে যাবে এবং এলাকাটি মাদকমুক্ত হবে।
যেভাবে শিক্ষাদান চলছে: ফিজিওথেরাপির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরিজুল আলম প্রথম আলোকে জানান, দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য পঙ্গু হাসপাতালে মাত্র একটি শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। বর্তমানে তাঁদের জন্য নির্ধারিত কোনো শিক্ষকও নেই। একমাত্র শিক্ষক ২০০৮ সালে অন্যত্র চলে গেছেন। আগে পাস করে যাওয়া প্রাক্তন ছাত্ররা মানবিক কারণে বিনা পারিশ্রমিকে ক্লাস নিচ্ছেন। অথচ বহু দিন ধরে এখানে ১৩টি শিক্ষকের পদ শূন্য।
তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হারুন অর রশীদ বলেন, শিক্ষক-সংকটে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে আটকা পড়ে আছেন। অ্যাডহক ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের সরকারি ঘোষণা থাকলেও তা হচ্ছে না। একমাত্র শ্রেণীকক্ষে ক্লাস চলার সময় অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
উল্লেখ্য, প্রায় চার দশক আগে ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ফিজিওথেরাপি স্নাতক কোর্স চালু হয়। সেই থেকে পঙ্গু হাসপাতালে ওই এক কক্ষের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
দীর্ঘসূত্রতার দিনপঞ্জি: কলেজ অব ফিজিওথেরাপির স্বতন্ত্র ভবন নির্মাণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ২০০৪-০৫ সালে আন্দোলন করেন। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পঙ্গু হাসপাতালের পূর্ব দিকে এ ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি অংশের বিরোধিতায় তা এগোয়নি। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বর্তমান স্থানে জমি বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ভবনের নির্মাণকাজ শুরু না হওয়ায় নভেম্বরে শিক্ষার্থীরা অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। কর্মকর্তাদের আশ্বাসে তাঁরা দুই দফা অনশন প্রত্যাহার করে নিলেও পরের কয়েক মাসেও কাজ শুরু হয়নি। ২০০৯ সালের মে মাসে শিক্ষার্থীরা আবারও লাগাতার অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। মন্ত্রী ওই বছরের ১০ জুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দুই মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শুরুর ঘোষণা দেন। দুই মাস পার হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা চতুর্থ দফা অনশন শুরু করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবার এসে সাত দিনের মধ্যে কাজ শুরুর ঘোষণা দেন। এরপর ওই জমি থেকে বস্তি উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু গণপূর্ত অধিদপ্তর কাজ শুরু করতে দেরি করলে দখলদারেরা আবার বস্তি গড়ে তোলে।
ফিজিওথেরাপি-সেবার দৈন্য: বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি সোসাইটির সভাপতি দলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি প্রায় সব হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি বিভাগ চালু থাকলেও শুধু ফিজিওথেরাপি সহকারী নিয়োগ দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। তাঁদের মূলত কিছু যন্ত্রপাতির ব্যবহার শিখিয়ে ফিজিওথেরাপি নামে কিছু ইলেকট্রোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে।
No comments