কলকাতার চিঠি-কংগ্রেস-তৃণমূল জোটে টানাপোড়েন by অমর সাহা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যবাসী পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছিল। এবার পশ্চিমবঙ্গে আসবে আমূল পরিবর্তন, বইবে উন্নয়নের জোয়ার। কিন্তু সাত মাস না যেতেই এই পরিবর্তনের ছোঁয়ার মাঝেই আবার পরিবর্তন হতে চলেছে দুই শরিকের সম্পর্কের। বলতে দ্বিধা নেই, জোট সরকারের এই দুই শরিকের মধ্যে এখন কার্যত শরিকি দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। দুই দলই সম্পর্কের এই শীতলতার জন্য একে অন্যকে দোষারোপ করছে। তৃণমূল বলেছে, কংগ্রেস
তো সিপিএমের বি-টিম। আর কংগ্রেসও ছেড়ে কথা বলেনি। বলেছে, সিপিএমের বি-টিম তো তৃণমূলই। আর এই বি-টিম নিয়ে সংঘাতের মধ্যে অবশ্য সিপিএম নেতা ও রাজ্য বিধানসভায় বিরোধীদলীয় নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এক অনন্য মন্তব্য করেন, ‘আমাদের এই রাজ্যে এ-টিম ধরেই এখন কে বি-টিম, তার লড়াই চলছে।’
তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের এই সংঘাত শুরু মূলত দুটি ইস্যু নিয়েই। এক. ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় লোকপাল বিল পাস নিয়ে বিতর্ককালীন তৃণমূল কংগ্রেস শাসক ইউপিএ জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেসের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। বরং প্রকারান্তরে তারা সমর্থন জুগিয়েছে বিরোধীদের।
দ্বিতীয় ঘটনা, ইন্দিরা ভবনের নাম পরিবর্তন ইস্যু। কলকাতার সল্টলেক বা বিধান নগরে রয়েছে ইন্দিরা ভবন। দ্বিতল একটি ভবন। ১৯৭২ সালে জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন চলাকালে ইন্দিরা গান্ধীর কলকাতায় অবস্থানের জন্য এই ভবনটি বানিয়েছিল কংগ্রেস। তখন এ ভবনটি ছিল টালির ছাউনির। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় এ ভবনটি পাকা করেন। এই ভবনেই পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জীবনের শেষ ২০টি বছর কাটিয়েছিলেন। জ্যোতি বসু মারা যান ২০১০ সালের ১৭ জুন।
বামফ্রন্ট সরকার এ ভবনটিকে ইন্দিরা গান্ধী ভবন হিসেবেই স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এমনকি জ্যোতি বসুর মৃত্যুর পর সিপিএম ওই ভবনে থাকা জ্যোতি বসুর জিনিসপত্র ও স্মারকও তারা সরিয়ে নিয়ে যায়। রাজারহাটে একটি জায়গা নিয়ে সেখানে জ্যোতি বসুর নামে সংগ্রহশালা করার উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
এসবের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইন্দিরা ভবন নিয়ে একটি ঘোষণা দিয়ে বিতর্ক উসকে দেন। তিনি বলেন, ইন্দিরা ভবন হবে নজরুল ভবন, তৈরি হবে নজরুল সংগ্রহশালা ও গবেষণাকেন্দ্র। মমতার এই ঘোষণা মেনে নিতে পারেনি কংগ্রেস। কংগ্রেসের বক্তব্য, তাদের কাছেও কবি নজরুল সর্বজনশ্রদ্ধেয় কবি। তারাও চায়, পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি জেলাতেই হোক কবির নামে সংগ্রহশালা এবং গবেষণাকেন্দ্র। কলকাতায়ও হোক। কিন্তু ইন্দিরা ভবনে কেন? কলকাতায় তো প্রচুর জায়গা আছে রাজ্য সরকারের। নতুন করে সেখানে করলেই হয়?
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর স্মৃতিঘেরা ভবনকে কেন করা হবে নজরুল ভবন, এই প্রশ্ন তুলেই কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় তৃণমূলের। গত মঙ্গলবার বিড়লা তারামণ্ডল চত্বরে আয়োজিত যুব কংগ্রেসের এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, মমতার ওই ঘোষণা তারা মানবেন না। সেখানে গড়তে হবে ইন্দিরা গান্ধীর নামে সংগ্রহশালা। এর আগে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের এই মমতা সরকার কলকাতার উপকণ্ঠের নাম জ্যোতি বসু নগর বদলানোরও উদ্যোগ নেয়। তখন এর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয় সিপিএম। যদিও এখন সে ইস্যুটি ধামাচাপা অবস্থায় পড়ে আছে। অন্যদিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উদ্যোগে ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন নির্মিত কলকাতার মহাজাতি সদনকে প্রেক্ষাগৃহে পরিণত করারও উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। অথচ এই মহাজাতি সদন ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের এক পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত। এই মহাজাতি সদনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নামকরণ করেছিলেন স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সরকারের এসব ঘটনার প্রতিবাদে এবার গর্জে উঠেছে কংগ্রেস। বুধবার কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে এক প্রতিবাদ সভা করে কংগ্রেস জানিয়ে দেয়, তারা তৃণমূলের এসব সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধী। তারা কোনোক্রমেই মানবে না ইন্দিরা ভবনের নাম পরিবর্তন বা মহাজাতি সদনকে প্রেক্ষাগৃহে রূপান্তরিত করার উদ্যোগকে।
ফলে এসব ইস্যু নিয়ে এখন সংঘাত শুরু হয়েছে শাসকজোটের এই দুই শরিকের মধ্যে। কংগ্রেসকে তৃণমূলেরা সিপিএমের বি-টিম বলায় তার জবাব দিয়েছেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। বলেছেন, কংগ্রেসের রাজনৈতিক দীনতা এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি যে সিপিএমকে নিয়ে কংগ্রেসকে লড়তে হবে। আবার কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাসমুন্সি বলেছেন, ‘আমরা নই, সিপিএমের বি-টিম তৃণমূলই।’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘গত সাত মাসে কী কাজ করেছে সরকার? সরকার বলছে, তারা ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ কাজ করে ফেলেছে। আমার তো মনে হয়, ৭ শতাংশ কাজও করেনি রাজ্য সরকার।’ আরও চড়া সুরে রাজ্য কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য মানস ভূইয়া বলেছেন, ‘দলের নির্দেশ পেলেই তাঁরা জোট ভেঙে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বেরিয়ে আসতে প্রস্তুত আছেন।’
তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, জোট ধর্ম পালনের নামে কংগ্রেস এখন দ্বিচারিতা করছে। রাজ্যবাসী তা মেনে নেবে না। আর তৃণমূলের আরেক নেতা ও পৌরমন্ত্রী ফরহাদ হাকিম বলেছেন, তৃণমূলের সঙ্গে না থাকলে কংগ্রেস এই রাজ্যপাট থেকে মুছে যাবে। তৃণমূলের আরেক মন্ত্রী মদন মিত্র আরেক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, চ্যালেঞ্জ করছি, পারলে তৃণমূল জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ওরা একা নির্বাচনে লড়ে জিতে দেখাক।
ফলে, এখন এই দুই শরিক দলের রাজনৈতিক তরজায় উত্তাল হয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতি। কেউ কাউকে আর ছেড়ে কথা বলছে না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, এভাবে সংঘাত বাড়লে পশ্চিমবঙ্গে এই জোট টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচন বহু দূরে, ২০১৬ সালে। কিন্তু যেভাবে এই শরিকি সংঘাত বাড়ছে, তাতে রাজনৈতিক মহলকে এই দুই জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, যেকোনো সময় মমতার সঙ্গে কংগ্রেসের এই রাজনৈতিক জোট ভেঙেও যেতে পারে। আর তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। কারণ এর আগেও কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হয়েছে। আবার জোট ভেঙেছেও।
অমর সাহা: প্রথম আলোর কলকাতা প্রতিনিধি।
তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের এই সংঘাত শুরু মূলত দুটি ইস্যু নিয়েই। এক. ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় লোকপাল বিল পাস নিয়ে বিতর্ককালীন তৃণমূল কংগ্রেস শাসক ইউপিএ জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেসের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। বরং প্রকারান্তরে তারা সমর্থন জুগিয়েছে বিরোধীদের।
দ্বিতীয় ঘটনা, ইন্দিরা ভবনের নাম পরিবর্তন ইস্যু। কলকাতার সল্টলেক বা বিধান নগরে রয়েছে ইন্দিরা ভবন। দ্বিতল একটি ভবন। ১৯৭২ সালে জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন চলাকালে ইন্দিরা গান্ধীর কলকাতায় অবস্থানের জন্য এই ভবনটি বানিয়েছিল কংগ্রেস। তখন এ ভবনটি ছিল টালির ছাউনির। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় এ ভবনটি পাকা করেন। এই ভবনেই পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জীবনের শেষ ২০টি বছর কাটিয়েছিলেন। জ্যোতি বসু মারা যান ২০১০ সালের ১৭ জুন।
বামফ্রন্ট সরকার এ ভবনটিকে ইন্দিরা গান্ধী ভবন হিসেবেই স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এমনকি জ্যোতি বসুর মৃত্যুর পর সিপিএম ওই ভবনে থাকা জ্যোতি বসুর জিনিসপত্র ও স্মারকও তারা সরিয়ে নিয়ে যায়। রাজারহাটে একটি জায়গা নিয়ে সেখানে জ্যোতি বসুর নামে সংগ্রহশালা করার উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
এসবের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইন্দিরা ভবন নিয়ে একটি ঘোষণা দিয়ে বিতর্ক উসকে দেন। তিনি বলেন, ইন্দিরা ভবন হবে নজরুল ভবন, তৈরি হবে নজরুল সংগ্রহশালা ও গবেষণাকেন্দ্র। মমতার এই ঘোষণা মেনে নিতে পারেনি কংগ্রেস। কংগ্রেসের বক্তব্য, তাদের কাছেও কবি নজরুল সর্বজনশ্রদ্ধেয় কবি। তারাও চায়, পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি জেলাতেই হোক কবির নামে সংগ্রহশালা এবং গবেষণাকেন্দ্র। কলকাতায়ও হোক। কিন্তু ইন্দিরা ভবনে কেন? কলকাতায় তো প্রচুর জায়গা আছে রাজ্য সরকারের। নতুন করে সেখানে করলেই হয়?
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর স্মৃতিঘেরা ভবনকে কেন করা হবে নজরুল ভবন, এই প্রশ্ন তুলেই কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় তৃণমূলের। গত মঙ্গলবার বিড়লা তারামণ্ডল চত্বরে আয়োজিত যুব কংগ্রেসের এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, মমতার ওই ঘোষণা তারা মানবেন না। সেখানে গড়তে হবে ইন্দিরা গান্ধীর নামে সংগ্রহশালা। এর আগে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের এই মমতা সরকার কলকাতার উপকণ্ঠের নাম জ্যোতি বসু নগর বদলানোরও উদ্যোগ নেয়। তখন এর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয় সিপিএম। যদিও এখন সে ইস্যুটি ধামাচাপা অবস্থায় পড়ে আছে। অন্যদিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উদ্যোগে ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন নির্মিত কলকাতার মহাজাতি সদনকে প্রেক্ষাগৃহে পরিণত করারও উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। অথচ এই মহাজাতি সদন ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের এক পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত। এই মহাজাতি সদনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নামকরণ করেছিলেন স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সরকারের এসব ঘটনার প্রতিবাদে এবার গর্জে উঠেছে কংগ্রেস। বুধবার কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে এক প্রতিবাদ সভা করে কংগ্রেস জানিয়ে দেয়, তারা তৃণমূলের এসব সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধী। তারা কোনোক্রমেই মানবে না ইন্দিরা ভবনের নাম পরিবর্তন বা মহাজাতি সদনকে প্রেক্ষাগৃহে রূপান্তরিত করার উদ্যোগকে।
ফলে এসব ইস্যু নিয়ে এখন সংঘাত শুরু হয়েছে শাসকজোটের এই দুই শরিকের মধ্যে। কংগ্রেসকে তৃণমূলেরা সিপিএমের বি-টিম বলায় তার জবাব দিয়েছেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। বলেছেন, কংগ্রেসের রাজনৈতিক দীনতা এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি যে সিপিএমকে নিয়ে কংগ্রেসকে লড়তে হবে। আবার কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাসমুন্সি বলেছেন, ‘আমরা নই, সিপিএমের বি-টিম তৃণমূলই।’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘গত সাত মাসে কী কাজ করেছে সরকার? সরকার বলছে, তারা ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ কাজ করে ফেলেছে। আমার তো মনে হয়, ৭ শতাংশ কাজও করেনি রাজ্য সরকার।’ আরও চড়া সুরে রাজ্য কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য মানস ভূইয়া বলেছেন, ‘দলের নির্দেশ পেলেই তাঁরা জোট ভেঙে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বেরিয়ে আসতে প্রস্তুত আছেন।’
তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, জোট ধর্ম পালনের নামে কংগ্রেস এখন দ্বিচারিতা করছে। রাজ্যবাসী তা মেনে নেবে না। আর তৃণমূলের আরেক নেতা ও পৌরমন্ত্রী ফরহাদ হাকিম বলেছেন, তৃণমূলের সঙ্গে না থাকলে কংগ্রেস এই রাজ্যপাট থেকে মুছে যাবে। তৃণমূলের আরেক মন্ত্রী মদন মিত্র আরেক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, চ্যালেঞ্জ করছি, পারলে তৃণমূল জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ওরা একা নির্বাচনে লড়ে জিতে দেখাক।
ফলে, এখন এই দুই শরিক দলের রাজনৈতিক তরজায় উত্তাল হয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতি। কেউ কাউকে আর ছেড়ে কথা বলছে না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, এভাবে সংঘাত বাড়লে পশ্চিমবঙ্গে এই জোট টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচন বহু দূরে, ২০১৬ সালে। কিন্তু যেভাবে এই শরিকি সংঘাত বাড়ছে, তাতে রাজনৈতিক মহলকে এই দুই জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, যেকোনো সময় মমতার সঙ্গে কংগ্রেসের এই রাজনৈতিক জোট ভেঙেও যেতে পারে। আর তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। কারণ এর আগেও কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হয়েছে। আবার জোট ভেঙেছেও।
অমর সাহা: প্রথম আলোর কলকাতা প্রতিনিধি।
No comments