দুই পত্রিকার জরিপের সঙ্গে একমত নন এইচ টি ইমাম
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকায় প্রকাশিত জরিপের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। তিনি দাবি করেন, ব্যর্থতার তুলনায় সরকারের সফলতা অনেক বেশি। এইচ টি ইমাম গতকাল শুক্রবার বিবিসি রেডিওর কাছে এ দাবি করেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের পরিচালনায় দেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে না এবং সরকারের কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বলে দুই পত্রিকায় গতকাল প্রকাশিত জরিপে উঠে আসে। মহাজোট
সরকারের তিন বছর পূর্তি সামনে রেখে প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার দুটি আলাদা জনমত জরিপ চালায়। দুটো জরিপেই দেখা গেছে, সরকারের জনপ্রিয়তা বর্তমানে কমেছে। প্রথম আলোর উদ্যোগে সারা দেশে পাঁচ হাজার মানুষের ওপর জরিপ চালানো হয়। ডেইলি স্টার-এর জরিপে অংশ নেন আড়াই হাজার মানুষ। গত বছরের শেষ দিকে দুটো পেশাদারি প্রতিষ্ঠান জরিপগুলো পরিচালনা করে।
প্রথম আলোর জরিপে বলা হয়, সরকারের তিন বছর শেষে আওয়ামী লীগের পক্ষে এখন জনমত ৩৮ শতাংশ, যা ২০০৯ সালে ছিল ৫৬ শতাংশ। আর ২০০৯ সালে বিএনপির পক্ষে জনমত ছিল ২৫ শতাংশ, যা এখন ৪৩ শতাংশ।
ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর দুটো জরিপেই বলা হয়েছে, বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, দেশ ভুল পথে এগোচ্ছে।
আর সরকারের কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট মানুষের হার ২৬ শতাংশ থেকে বেড়ে তিন বছরে ৫২ শতাংশ হয়েছে বলে প্রথম আলো বলছে।
বিবিসি রেডিওর খবরে বলা হয়, এই জরিপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের প্রশ্ন রয়েছে। জরিপের ফলাফলের বিষয়ে গতকাল বিবিসির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার কৃষি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ইত্যাদি খাতে তিন বছরে খুব ভালো অগ্রগতি অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে যে ভিত্তিটি তৈরি করার দরকার ছিল, আমাদের সরকার সেই ভিত্তিটি তৈরি করেছে। আমি মনে করি, আগামী দুই বছর আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব।’
সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে সরকার নিজেই জরিপ চালাচ্ছে জানিয়ে এইচ টি ইমাম বলেন, তখন তাঁদের পক্ষে বলা সহজ হবে, ঠিক কোথায় কোথায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ব্যর্থতা নেই এমন কথা বলব না, কিন্তু আমাদের সফলতা অনেক বেশি।’
এইচ টি ইমাম বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা বলা হলেও মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও যে বেড়েছে, সেটি মনে রাখতে হবে।
জরিপে উল্লেখ করা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সরকারের অগ্রাধিকারমূলক কাজের একটি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারছে কি না, এমন প্রশ্নে ৪৭ শতাংশ মানুষ না-সূচক উত্তর দেন। ২০০৯ সালে একই রকম প্রশ্নে ৮৬ শতাংশ মানুষ ইতিবাচক উত্তর দিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে এইচ টি ইমাম বলেন, মনে রাখতে হবে, ৪০ বছর পর বিচারকাজ শুরু হয়েছে। অনেক সাক্ষী মারা গেছেন কিংবা এমন অনেক সাক্ষী আছেন, যাঁরা বৃদ্ধ হয়েছেন বিধায় সামনে আসতে পারছেন না।
এইচ টি ইমাম স্বীকার করেন, প্রসিকিউশন টিম গঠনে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে সেই টিম এখন আস্তে আস্তে সবল হয়ে উঠেছে। তদন্তদলও করিতকর্মা হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন করেন, সরকার বিচার করতে চাইছে না। সরকার কেন করতে চাইবে না? এ সরকারের মূল লক্ষ্য তো এটি।’
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না বলে প্রথম আলোর জরিপে ৫২ শতাংশ উত্তরদাতা মত দিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এর সঙ্গে একমত নন। তিনি বরং বলেন, সরকারি পদক্ষেপের কারণে কমিশন এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী এবং সে কারণে দুর্নীতি কমেছে।
জরিপে অংশ নেওয়া ৭৩ শতাংশ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়, এমন ফলাফলের বিষয়ে এইচ টি ইমাম বলেন, বিভিন্ন দল সরকারকে জানিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দরকার নেই, বরং প্রয়োজন একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন।
সাবেক একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি সভ্য জাতির মানদণ্ড হতে পারে না। সরকারের ওপর আস্থা না থাকলে সেই দেশ চলবে কীভাবে? আমরা কি সব সময় পেছনের দিকে তাকিয়ে থাকব?’
প্রথম আলোর জরিপে বলা হয়, সরকারের তিন বছর শেষে আওয়ামী লীগের পক্ষে এখন জনমত ৩৮ শতাংশ, যা ২০০৯ সালে ছিল ৫৬ শতাংশ। আর ২০০৯ সালে বিএনপির পক্ষে জনমত ছিল ২৫ শতাংশ, যা এখন ৪৩ শতাংশ।
ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর দুটো জরিপেই বলা হয়েছে, বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, দেশ ভুল পথে এগোচ্ছে।
আর সরকারের কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট মানুষের হার ২৬ শতাংশ থেকে বেড়ে তিন বছরে ৫২ শতাংশ হয়েছে বলে প্রথম আলো বলছে।
বিবিসি রেডিওর খবরে বলা হয়, এই জরিপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের প্রশ্ন রয়েছে। জরিপের ফলাফলের বিষয়ে গতকাল বিবিসির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার কৃষি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ইত্যাদি খাতে তিন বছরে খুব ভালো অগ্রগতি অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে যে ভিত্তিটি তৈরি করার দরকার ছিল, আমাদের সরকার সেই ভিত্তিটি তৈরি করেছে। আমি মনে করি, আগামী দুই বছর আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব।’
সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে সরকার নিজেই জরিপ চালাচ্ছে জানিয়ে এইচ টি ইমাম বলেন, তখন তাঁদের পক্ষে বলা সহজ হবে, ঠিক কোথায় কোথায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ব্যর্থতা নেই এমন কথা বলব না, কিন্তু আমাদের সফলতা অনেক বেশি।’
এইচ টি ইমাম বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা বলা হলেও মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও যে বেড়েছে, সেটি মনে রাখতে হবে।
জরিপে উল্লেখ করা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সরকারের অগ্রাধিকারমূলক কাজের একটি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারছে কি না, এমন প্রশ্নে ৪৭ শতাংশ মানুষ না-সূচক উত্তর দেন। ২০০৯ সালে একই রকম প্রশ্নে ৮৬ শতাংশ মানুষ ইতিবাচক উত্তর দিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে এইচ টি ইমাম বলেন, মনে রাখতে হবে, ৪০ বছর পর বিচারকাজ শুরু হয়েছে। অনেক সাক্ষী মারা গেছেন কিংবা এমন অনেক সাক্ষী আছেন, যাঁরা বৃদ্ধ হয়েছেন বিধায় সামনে আসতে পারছেন না।
এইচ টি ইমাম স্বীকার করেন, প্রসিকিউশন টিম গঠনে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে সেই টিম এখন আস্তে আস্তে সবল হয়ে উঠেছে। তদন্তদলও করিতকর্মা হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন করেন, সরকার বিচার করতে চাইছে না। সরকার কেন করতে চাইবে না? এ সরকারের মূল লক্ষ্য তো এটি।’
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না বলে প্রথম আলোর জরিপে ৫২ শতাংশ উত্তরদাতা মত দিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এর সঙ্গে একমত নন। তিনি বরং বলেন, সরকারি পদক্ষেপের কারণে কমিশন এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী এবং সে কারণে দুর্নীতি কমেছে।
জরিপে অংশ নেওয়া ৭৩ শতাংশ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়, এমন ফলাফলের বিষয়ে এইচ টি ইমাম বলেন, বিভিন্ন দল সরকারকে জানিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দরকার নেই, বরং প্রয়োজন একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন।
সাবেক একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি সভ্য জাতির মানদণ্ড হতে পারে না। সরকারের ওপর আস্থা না থাকলে সেই দেশ চলবে কীভাবে? আমরা কি সব সময় পেছনের দিকে তাকিয়ে থাকব?’
No comments