কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে-পুলিশে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি
পুলিশ দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে। রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে সেবা পাওয়া যায় না। এসব অভিযোগ এত দিন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের মুখেই শোনা গেছে। এখন আইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার মুখে আনুষ্ঠানিকভাবেই তা শোনা গেল। গত মঙ্গলবার পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনের প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ সমন্বয়ক পুলিশে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে যে
আত্মসমালোচনা করেছেন, তা তাৎপর্য বহন করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীও এ ধরনের অভিযোগের কিছু ভিত্তি আছে বলে প্রকারান্তরে স্বীকার করেছেন। দোষ স্বীকারই অন্যায় দূর করার প্রথম পদক্ষেপ। এই উপলব্ধির ভিত্তিতে এখন দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য। মুখে স্বীকার করাই যথেষ্ট নয়, দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে অবিচল থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। অনেক সময়ই এ ধরনের আত্মসমালোচনা ধামাচাপা দেওয়া হয়। এর অর্থ হলো, জেনেশুনে দুর্নীতির সঙ্গে সহাবস্থান করা। দুর্নীতির চেয়ে এটা আরও বড় অপরাধ। এর দায় পড়ে মূলত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর। এখন নীতিনির্ধারকদেরই ঠিক করতে হবে, তাঁরা পুলিশের দুর্নীতির সঙ্গে আর কত কাল হাত ধরাধরি করে থাকবেন।
মাত্র কয়েক দিন আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের জরিপে পুলিশের ঘুষ খাওয়ার খবর বেরিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশেই এ দুর্নীতি চলছে। পুলিশের সেবা পাওয়ার জন্য অসহায় মানুষকে ঘুষ দিতে হয়। বাংলাদেশই এর পরিমাণ বেশি। এ প্রতিবেদন সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে সমালোচিত হয়েছে। এখন পুলিশের বড় কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের আত্মসমালোচনার পর আর কোনো দ্বিধা থাকা উচিত নয়।
পুলিশের কাজে অনেক সাফল্য আছে। কম জনবল ও বেশি কাজের চাপ নিয়েও পুলিশ দিন-রাত পরিশ্রম করে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অনেক ভালো কর্মকর্তা ও কনস্টেবল আছেন। কিন্তু পুলিশের কিছু সদস্য যে দুর্নীতি করেন, সেটা লুকানোর কোনো সুযোগ নেই। সেখানে রাখঢাকও থাকে না। রাস্তায় বাস-ট্রাক থামিয়ে হাত পেতে ঘুষ নেওয়ার দৃশ্য পত্রিকায়ও বিভিন্ন সময় ছাপা হয়েছে। এ তো সামান্য ব্যাপার। কোনো খুনের মামলা বা বড় কোনো অপরাধের মামলা এদিক-ওদিক করে দেওয়ার জন্য অথবা প্রকৃত আসামিকে ছেড়ে নিরীহ কাউকে ফাঁসানোর জন্য কোটি কোটি টাকার ঘুষের কারবারও চলে। সেখানে পুলিশ ও প্রশাসনের ওপরের স্তরের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। ওপর মহলের এসব দুর্নীতি বন্ধ করা না হলে পুলিশের সাধারণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা ফলপ্রসূ হতে পারবে না।
পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে আত্মসমালোচনায় পুলিশের কোনো কোনো কর্মকর্তা অসন্তুষ্ট হয়েছেন। এটা উচিত নয়। ঘুষ খাওয়া বন্ধের জন্য তাঁদের উদ্যোগী হতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ পুলিশের মধ্য থেকেই শুরু হোক।
মাত্র কয়েক দিন আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের জরিপে পুলিশের ঘুষ খাওয়ার খবর বেরিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশেই এ দুর্নীতি চলছে। পুলিশের সেবা পাওয়ার জন্য অসহায় মানুষকে ঘুষ দিতে হয়। বাংলাদেশই এর পরিমাণ বেশি। এ প্রতিবেদন সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে সমালোচিত হয়েছে। এখন পুলিশের বড় কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের আত্মসমালোচনার পর আর কোনো দ্বিধা থাকা উচিত নয়।
পুলিশের কাজে অনেক সাফল্য আছে। কম জনবল ও বেশি কাজের চাপ নিয়েও পুলিশ দিন-রাত পরিশ্রম করে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অনেক ভালো কর্মকর্তা ও কনস্টেবল আছেন। কিন্তু পুলিশের কিছু সদস্য যে দুর্নীতি করেন, সেটা লুকানোর কোনো সুযোগ নেই। সেখানে রাখঢাকও থাকে না। রাস্তায় বাস-ট্রাক থামিয়ে হাত পেতে ঘুষ নেওয়ার দৃশ্য পত্রিকায়ও বিভিন্ন সময় ছাপা হয়েছে। এ তো সামান্য ব্যাপার। কোনো খুনের মামলা বা বড় কোনো অপরাধের মামলা এদিক-ওদিক করে দেওয়ার জন্য অথবা প্রকৃত আসামিকে ছেড়ে নিরীহ কাউকে ফাঁসানোর জন্য কোটি কোটি টাকার ঘুষের কারবারও চলে। সেখানে পুলিশ ও প্রশাসনের ওপরের স্তরের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। ওপর মহলের এসব দুর্নীতি বন্ধ করা না হলে পুলিশের সাধারণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা ফলপ্রসূ হতে পারবে না।
পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে আত্মসমালোচনায় পুলিশের কোনো কোনো কর্মকর্তা অসন্তুষ্ট হয়েছেন। এটা উচিত নয়। ঘুষ খাওয়া বন্ধের জন্য তাঁদের উদ্যোগী হতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ পুলিশের মধ্য থেকেই শুরু হোক।
No comments