ফেলানীর ঝুলে থাকার মর্মান্তিক দিন আজ by ইউনুছ আলী আনন্দ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফের গুলিতে শহীদ বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুনের মৃত্যুর মর্মান্তিক দিন আজ। বিএসএফ তাকে পাশবিক নির্যাতন করে ক্ষান্ত হয়নি; গুলি চালিয়ে খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছিল কাঁটাতারের বেড়ায়। তার সেই লাশ যেন হয়ে উঠেছিল অরক্ষিত বিপন্ন সীমান্তেরই জ্বলন্ত সাক্ষ্য।
ফেলানী ট্রাজেডি দিবসে তার আত্মীয়স্বজনসহ ফুলবাড়ীর মানুষের দাবি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ হোক। কিন্তু এ বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি মিলেছে, কিন্তু বন্ধ হয়নি হত্যা; বরং ফেলানী নিহত হওয়ার পর গত এক বছরে ৩৪ বাংলাদেশীকে নৃশংসভাবে গুলি করে, পিটিয়ে ও পাথর ছুড়ে কিংবা পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছে বিএসএফ।
গত বছরের ৭ জানুয়ারি কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের রাতে বাবা নূরুল ইসলামসহ ১৫ বছর বয়সী কিশোরী ফেলানী ভারতীয় দালালের সহযোগিতায় কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার চেষ্টা করে। ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তের ৯৪৭/৩এস আন্তর্জাতিক পিলারের পাশে ভারতীয় খেতাবেরকুটি সীমান্তে চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে পরে গুলি করে হত্যা করে। তারা ছোট্ট ফেলানীর নিথর দেহ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে। ফেলানীর মৃতদেহটি ৫ ঘণ্টার বেশি কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে ছিল। ওই সংবাদ দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে।
গত বছরের ৭ জানুয়ারি কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের রাতে বাবা নূরুল ইসলামসহ ১৫ বছর বয়সী কিশোরী ফেলানী ভারতীয় দালালের সহযোগিতায় কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার চেষ্টা করে। ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তের ৯৪৭/৩এস আন্তর্জাতিক পিলারের পাশে ভারতীয় খেতাবেরকুটি সীমান্তে চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে পরে গুলি করে হত্যা করে। তারা ছোট্ট ফেলানীর নিথর দেহ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে। ফেলানীর মৃতদেহটি ৫ ঘণ্টার বেশি কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে ছিল। ওই সংবাদ দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে।
ফেলানী দিবসে পরিবারের পক্ষ থেকে আজ বাদ জোহর ফেলানীর বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা কলোনিটারী গ্রামে আয়োজন করা হয়েছে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের।
এদিকে ফেলানী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আজ ঢাকায় মানববন্ধনের আয়োজন করেছে। ফেলানী হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় ভারতীয় দালাল নির্মূল কমিটি।
যে কারণে ভারত গিয়েছিল ফেলানী : ফেলানীর দাদা হাফেজ আলীর মৃত্যুর পর প্রায় ১০ বছর বয়সে অভাবের তাড়নায় কাজের আশায় ভারতের জলপাইগুড়ি গিয়েছিল ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম। ওই সময় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ছিল না। ফলে ভারতীয়রা বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশীরা ভারতে যেতেন অবাধে। কাজ করতে গিয়ে ভারতের আলীপুরে ফেলানীর মা জাহানারা বেগমের সঙ্গে পরিচয় হয় নূরুল ইসলামের। জাহানারাও একইভাবে অভাবের তাড়নায় ভারতে গিয়েছিল। গ্রামের পাশের দক্ষিণ রামখানা বানারভিটার বাসিন্দা হওয়ায় জাহানারার সঙ্গে বিয়ে হয় নূরুল ইসলামের। দুই মেয়ে সন্তান জন্ম নিলেও কিছুদিন পর মারা যায়। দুই সন্তানের মৃত্যুর পর স্বামী-স্ত্রী দু’জনে আলীপুর ছেড়ে আসামের গোয়ালপাড়া জেলার নিউ বংগাইগাঁও ভাওলা গুড়িতে চলে যান। সেখানে জন্ম হয় ফেলানীর। দুই মেয়ে সন্তানের মৃত্যুর মতো ফেলানীরও মৃত্যু হতে পারে—এই আশঙ্কায় তার নাম রাখা হয় ফেলানী। পরে আরও ৪ সন্তান হয় নূরুল ইসলামের। তারা হচ্ছে মালেকা খাতুন (১২), জাহানউদ্দিন (১০), আরফান আলী (৮), আক্কাস আলী (৬) ও কাজলী খাতুন (৪)। নিউ বংগাইগাঁও ভাওলা গুড়িতে একটি মুদির দোকান দিয়ে তাদের পরিবারের ৮ সদস্যের সুখের সংসার চলছিল। অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা সচ্ছল হলে দেশে ফিরে আসবে এই আশায় তারা আসামের নাগরিকত্বের সুযোগ পেলেও তা গ্রহণ করেনি। নূরুল ইসলাম দেশে আসবেন বলে বাংলাদেশের ভোটার হন। জাতীয় পরিচয়পত্রও নেন। ফেলানী বড় হওয়ায় তাকে বাংলাদেশে বিয়ে দেবেন এই পরিকল্পনা ছিল তাদের। ফেলানীর নানী হাজেরা বিবির নির্দেশমত জাহানারা বেগমের আপন বড় বোন লালমনিরহাট জেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চরকুলাঘাট গ্রামের ইদ্রিস আলী ও আনজিনা বেগমের বড় ছেলে আমজাদ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় ফেলানীর। গত বছরের বাংলা ফাল্গুন মাসে নূরুল ইসলাম আসাম থেকে ফিরে আমজাদ হোসেনের মায়ের সঙ্গে জানুয়ারি মাসে বিয়ের দিন ধার্য করেন। ৯ জানুয়ারি বিয়ের তারিখ অনুযায়ী মেয়ে ফেলানীকে নিয়ে ৬ জানুয়ারি সকাল ১১টায় নূরুল ইসলাম আসাম থেকে রওনা দেন বাড়ির উদ্দেশে। ফেলানীর মা জাহানারা বেগম মেয়েকে নিজ হাতে সাজিয়ে দেন। পরিয়ে দেন হাতে, গলায়, কানে, নাকে ও পায়ে স্বর্ণ এবং রুপার অলঙ্কার। হবু জামাই আমজাদ হোসেনের জন্য দুটি আংটি, একটি চেইনসহ মেয়ের হাত খরচের জন্য নগদ ১৯ হাজার রুপি দেন সঙ্গে। ফেলানীও তার হবু জীবনসঙ্গীর জন্য একটি রুমাল, কিছু উপহারসামগ্রী নিয়ে বাবার সঙ্গে দেশে ফিরছিল। আসাম থেকে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টার পথ অতিক্রম করে তারা রাত ৮টার দিকে আসাম থেকে চৌধুরীহাট বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে ভারতীয় চৌধুরীহাট খেতাবেরকুটি সীমান্তবর্তী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে দালাল মোশারফ হোসেন ও দালাল বুর্জত আলীসহ ৩/৪ জন তাদের পিছু নেয়। দালালরা তাদের কাঁটাতারের বেড়া পার করে দেয়ার জন্য ৩ হাজার টাকায় চুক্তি করে। দালাল মোশারফকে চুক্তির টাকা দেয়ার সময় ফেলানীর বাবা দালালের কাছে প্রতিশ্রুতি নেন তার মেয়ের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। তার কথামত দালাল মোশারফ ক্ষতি না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে আশ্বস্ত হন ফেলানীর বাবা। পরে রাত ৯টার দিকে দালাল মোশারফ হোসেন ফেলানী ও নূরুল ইসলামকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কাঁটাতারের বেড়া পার করে দেয়ার অজুহাতে দালাল মোশারফ ফেলানী ও তার বাবাকে আরও ৩/৪টি বাড়িতে ঘুরিয়ে আনে। রাত ৯টা থেকে গভীর রাত ৩/৪টা পর্যন্ত এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে টানাহিঁচড়া করায় ফেলানী একটু ঘুমাতে চেষ্টা করেও ফুরসত পায়নি। নির্ঘুম রাত কাটানো ও টানাহিঁচড়ায় ক্লান্ত ফেলানী ও তার বাবাকে ৭ জানুয়ারি ভোররাতে ফজরের আজানের সময় ফুলবাড়ীর অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ৯৪৭/৩এস-এর পাশে ভারতের অভ্যন্তরের চৌধুরীহাট খেতাবেরকুটি এলাকায় নিয়ে আসে দালালরা। ওই এলাকায় কাঁটাতারের ৩ স্তরের বেড়া পার হতে বাঁশের তৈরি ৩টি মই কাঁটাতারের বেড়ায় লাগানো হয়। মই বেয়ে প্রথমে নূরুল ইসলাম পরে মেয়ে ফেলানী পার হওয়ার সময় চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ তাদের পিছু নেয়। নূরুল ইসলাম জানান, মই বেয়ে পার হওয়ার সময় ২/৩ জন বিএসএফকে তিনি মইয়ের উপর উঠতে দেখেন। এক সময় একটি গুলির শব্দ হলে নূরুল ইসলাম ভয়ে পড়ে যান কাঁটাতারের বাইরে। তখন মেয়ে ফেলানী ছিল কাঁটাতারের বেড়ার মাঝখানে মইয়ের উপর দাঁড়িয়ে। কাঁটাতারের বেড়া পার হতে না পেরে ভারতীয় ভূখণ্ডে পড়ে যায়। বাবা নূরুল ইসলাম তড়িঘড়ি ওঠে ফেলানীকে তাড়াতাড়ি কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে আসার জন্য বলেন। কিন্তু ফেলানী ওঠার আগেই বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে ফেলে। এরই মধ্যে নূরুল ইসলামকে ভয় দেখানোর জন্য ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। বিএসএফ সদস্যরা ধরে নেয়ার পর পার্শ্ববর্তী একটি সরিষা ক্ষেতে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় ফেলানীর ওপর।
নূরুল ইসলাম প্রশ্ন তুলে বলেন, কাঁটাতারের মাঝখানে মইয়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ফেলানীকে গুলি করলে সে কাঁটাতারের বেড়ার মাঝখানে পড়ে থাকত, কিন্তু কীভাবে কাঁটাতারের বেড়ার শেষ প্রান্তে ফেলানীর লাশ ঝুলে থাকল এটা তাকে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। নূরুল ইসলাম একটি গুলির শব্দ শুনলেও তিনি আরও একটি কম আওয়াজের গুলি হয়েছে বলে পরে মানুষের কাছে শুনেছেন। এতে ধারণা করা হয় ফেলানীর বাবাকে ভয় দেখানোর জন্য একটি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছিল।
হাজিটারী সীমান্তের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, গোলজার হোসেনসহ আরও অনেকে জানান, ফেলানীর লাশ যেভাবে কাঁটাতারের শেষ প্রান্তে আটকে রাখা ছিল পরিকল্পিত। ফেলানীকে নির্যাতন করে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যার পর কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখা হয়। ৭ জানুয়ারির ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে ছিল ফেলানীর লাশ। ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম মেয়ের হত্যার কথা শুনে জ্ঞান হারান। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ফেলানীর মৃত্যুর খবর পায় তার পরিবার। ওইদিন কুড়িগ্রাম বিজিবির ২৭ ব্যাটালিয়নের কাশিপুর কোম্পানির পক্ষ থেকে লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফকে পত্র দেয়া দেয়। ফেলানীর লাশ পোস্টমর্টেম শেষে পরের দিন ৮ জানুয়ারি সকাল ১১টায় ওই সীমান্তে বিজিবি কাশিপুর কোম্পানি ও বিএসএফ চৌধুরীহাট কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে বিজিবিকে লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ। বাংলাদেশে ফেলানীর পোস্টমর্টেম শেষে ৯ জানুয়ারি রাতে তার পরিবারের কাছে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ লাশ হস্তান্তর করলে ওই রাতেই কলোনিটারী গ্রামে ফেলানীর চাচার ঘরের পেছনে দাদার কবরের পাশে দাফন করা হয় ফেলানীকে। ফেলানী হত্যার এই নির্মম ঝুলন্ত ছবি ও খবর মিডিয়ায় প্রকাশ হলে দেশে-বিদেশে শুরু হয় বিএসএফের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ। ‘ফেলানী ঝুলছে না, বাংলাদেশ ঝুলছে’ শীর্ষক প্রতিবাদী স্লোগান ও ফেলানীর ঝুলন্ত ছবি গোটা জাতিকে হতভম্ব করে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের পক্ষে সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হলে টনক নড়ে বাংলাদেশ সরকারের। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফেলানী হত্যার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয় ভারতকে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তারা ছুটে আসেন ফেলানীর নিভৃত পল্লীতে। তারা জিয়ারত করেন ফেলানীর কবর। ফেলানীর পরিবারকে সান্ত্বনা, অনুদান ও ফেলানী হত্যার বিচারের প্রতিশ্রুতি দেন তারা। কিন্তু প্রতিশ্রুতিগুলো আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
পরিবারের অবস্থা : ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম জেলা প্রশাসকের কাছ পাওয়া স্থানীয় নাখারগঞ্জ বাজারে ফেলানী স্টোর নামে একটি মুদির দোকান করছেন। চাহিদামত মালামাল তুলতে না পারলেও দৈনিক আমার দেশ ও প্রেট্রিয়ট অব বাংলাদেশ-এর দেয়া দেড় লাখ অনুদানের টাকায় তিনি ওই মুদি দোকান চালাচ্ছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া টাকায় কিছু জমি বন্ধক নিয়েছেন। বাড়িতে ফেলানীর মা জাহানার বেগম ছোট্ট একটি মুদির দোকান দিয়েছেন। স্বামী-স্ত্রীর মুদির দোকানের সামান্য উপার্জনে দৈনিক চাল-ডালসহ ৫ সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছেন। ফেলানীর বাড়িতে আজ কুলখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি : ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম এবং এলাকাবাসী জয়নাল আবেদিন, আবদুল মোতালেব, ওসমান গণি, আবুল কালাম আজাদ ও বৃদ্ধ আবদুল হামিদ ভূঁইয়া দোষী বিএসএফ সদস্যদের বিচার চান। ফেলানীর মতো আর কোনো বাংলাদেশীদের মৃত্যু দেখতে চান না। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফেলানীর কবর পাকা করা এবং দক্ষিণ রামখানা সরকারটারী (ফেলানী মোড়) থেকে ফেলানীর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া দক্ষিণ রামখানা কুড়ারপাড় পর্যন্ত ৪ কিমি রাস্তাটি ফেলানীর নামে নামকরণ ও পাকা করার দাবি জানান। উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ১ বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
No comments