সাক্ষাত্কারে ধোনি-পারফরম্যান্সের ব্যাপারে ধারাবাহিক হতে হবে
বিদেশের মাটিতে টানা ষষ্ঠ টেস্ট হার। ওয়ানডে ক্রিকেটের বিশ্বকাপ জয়ীদের এ মুহূর্তে ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। অনেকে একে বিদেশের মাটিতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের চিরন্তন ব্যর্থতার ফিরে আসাকেই নির্দেশ করছেন। মেলবোর্ন ও সিডনি—দুই জায়গাতেই ব্যাটসম্যানরা ছিলেন ব্যর্থ। সিডনিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং মোটামুটি ক্লিক করলেও ততক্ষণে যা সর্বনাশ হওয়ার হয়ে গিয়েছে। গম্ভীর, শেবাগ, দ্রাবিড়, টেন্ডুলকার, লক্ষণ, কোহলি, ধোনি—এ নামগুলো যে দলের
ব্যাটিং অর্ডারে জ্বলজ্বল করে তাদের কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স যে অপ্রত্যাশিত, সেটা ভারতীয় গণমাধ্যম নানাভাবেই জানান দিচ্ছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে নিজেদের সাফাই গাওয়া ছাড়া ভারতীয় ক্রিকেটারদেরও আর কীইবা করণীয় আছে। ভারতীয় একটি পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাত্কারে অধিনায়ক ধোনির মুখ থেকেও বেরিয়ে আসল এমনই কিছু সাফাই। প্রথম আলো অনলাইনের পাঠকদের জন্য সেই সাক্ষাত্কারের চুম্বক কিছু অংশ তুলে ধরা হলো—
• বিদেশের মাটিতে টানা ষষ্ঠ টেস্টে পরাজয়। বিশ্বকাপজয়ী দলটার হঠাত্ কী হলো?
আসলে অস্ট্রেলিয়া সফরে এখন পর্যন্ত খেলা দুটো টেস্টের একটিতেও আমরা স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান তুলতে পারিনি। একটি টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে আপনাকে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে নিতে হবে। আমরা সেটিও পারিনি। তবে বোলারদের হাতে যথেষ্ট রান রক্ষা করার জন্য তুলে দিতে হবে। মোটামুটি ভালো স্কোর যদি বোলাররা রক্ষা করার জন্য পায়, তাহলে তারা প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের আউট করার ব্যাপারে নানামুখী ছক কষতে পারে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কিছু ফিফটি পেয়েছে। কিন্তু তাদের উচিত ছিল, সেই ফিফটিগুলোকে বড় ইনিংসে রূপান্তরের। সেদিক দিয়ে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
• পারফরম্যান্সের পতন ঠেকাতে আপনার হাতে এ মুহূর্তে কী পরিকল্পনা রয়েছে?
আমাদের এ মুহূর্তে এই পতন ঠেকাতে প্যারাসুট পরতে হবে (হাসি)। এ মুহূর্তে ভালো পারফরম্যান্সই হতে পারে আমাদের জন্য প্যারাসুট। বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং সব বিভাগেই ভালো করতে হবে। এসব জায়গায় সমস্যাগুলো যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করতে হবে। সম্প্রতি, একটি সমস্যা বেশ ভালোভাবে দেখা দিয়েছে, তা হলো, আমরা প্রতিপক্ষকে আউট করতে পারছি না। আর নিয়মিত স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান জড়ো করতেও পারছি না।
• সিডনিতে ক্লার্ক ও পন্টিং যখন সেই বিশাল জুটিটি গড়ছিলেন। তখন নাকি আপনার ফিল্ডিং সাজানো থেকে শুরু করে অধিনায়কত্ব অনেক রক্ষণাত্মক ছিল। এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি?
আমি তখন স্লিপ পজিশনে ফিল্ডার ধরে রেখেছিলাম। কয়েকটি ক্যাচিং পজিশনও রেখেছিলাম। কিন্তু কোনো কিছুই পরিকল্পনামাফিক হয়নি।
• সিরিজে ২-০-তে পিছিয়ে আছেন। পরবর্তী টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামার আগে কী নিজেদের একটু অনুতপ্ত মনে হচ্ছে?
দেখুন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটি শুরু হওয়ার আগে থেকেই অনেকে বলছিলেন যে এটাই ভারতের অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে সিরিজ জিতে আসার সেরা সুযোগ। কিন্তু মাঠে আমরা প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে পারিনি। কাগজে-কলমে দল যেমনই হোক, মাঠেই প্রমাণিত হয়, কে সেরা। ইতিমধ্যে দুটি টেস্ট হেরে সিরিজ জয়ের প্রত্যাশাকে পায়ে ঠেলেছি। এখনো দুটি টেস্ট বাকি। আশা করছি, ওই দুটোতে জিতেই আমরা সিরিজে সমতা আনতে পারব।
• দলে কোচ হিসেবে এ মুহূর্তে ডানকান ফ্লেচারের ভূমিকাটা কী?
ব্যর্থতার জন্য গণহারে সবাইকে দোষারোপ করা অন্যায় বলে আমি মনে করি।
• সিরিজে ভারতের ফিরে আসার কি কোনো বাস্তব সুযোগ রয়েছে?
এখন পর্যন্ত আমরা ধারাবাহিকতার সঙ্গে ভালো করিনি। পারফরম্যান্সের ব্যাপারে আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে। প্রতিপক্ষকে দুবার আউট করতে হবে। সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা ৪০০ রান করেছি। আমাদের ব্যাটিং পারফরম্যান্সটা সব সময়ই এমনই হওয়া উচিত।
• আপনি কি অধিনায়কত্বের চাপ অনুভব করা শুরু করেছেন?
সত্যি কথা বলতে কী, চাপ অনুভব করছি না। আপনি সব সময় জিততে পারেন না। একটা না একটা সময় আপনি হারবেন। এই সময়টা কঠিন। এই কঠিন সময় আপনাকে অনেক কিছু শেখাবে। এ খারাপ সময়টা অতিক্রম করে আমি মনে করি দল আবার জয়ের ধারায় ফিরে আসবে।
• বিদেশের মাটিতে টানা ষষ্ঠ টেস্টে পরাজয়। বিশ্বকাপজয়ী দলটার হঠাত্ কী হলো?
আসলে অস্ট্রেলিয়া সফরে এখন পর্যন্ত খেলা দুটো টেস্টের একটিতেও আমরা স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান তুলতে পারিনি। একটি টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে আপনাকে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে নিতে হবে। আমরা সেটিও পারিনি। তবে বোলারদের হাতে যথেষ্ট রান রক্ষা করার জন্য তুলে দিতে হবে। মোটামুটি ভালো স্কোর যদি বোলাররা রক্ষা করার জন্য পায়, তাহলে তারা প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের আউট করার ব্যাপারে নানামুখী ছক কষতে পারে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কিছু ফিফটি পেয়েছে। কিন্তু তাদের উচিত ছিল, সেই ফিফটিগুলোকে বড় ইনিংসে রূপান্তরের। সেদিক দিয়ে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
• পারফরম্যান্সের পতন ঠেকাতে আপনার হাতে এ মুহূর্তে কী পরিকল্পনা রয়েছে?
আমাদের এ মুহূর্তে এই পতন ঠেকাতে প্যারাসুট পরতে হবে (হাসি)। এ মুহূর্তে ভালো পারফরম্যান্সই হতে পারে আমাদের জন্য প্যারাসুট। বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং সব বিভাগেই ভালো করতে হবে। এসব জায়গায় সমস্যাগুলো যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করতে হবে। সম্প্রতি, একটি সমস্যা বেশ ভালোভাবে দেখা দিয়েছে, তা হলো, আমরা প্রতিপক্ষকে আউট করতে পারছি না। আর নিয়মিত স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান জড়ো করতেও পারছি না।
• সিডনিতে ক্লার্ক ও পন্টিং যখন সেই বিশাল জুটিটি গড়ছিলেন। তখন নাকি আপনার ফিল্ডিং সাজানো থেকে শুরু করে অধিনায়কত্ব অনেক রক্ষণাত্মক ছিল। এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি?
আমি তখন স্লিপ পজিশনে ফিল্ডার ধরে রেখেছিলাম। কয়েকটি ক্যাচিং পজিশনও রেখেছিলাম। কিন্তু কোনো কিছুই পরিকল্পনামাফিক হয়নি।
• সিরিজে ২-০-তে পিছিয়ে আছেন। পরবর্তী টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামার আগে কী নিজেদের একটু অনুতপ্ত মনে হচ্ছে?
দেখুন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটি শুরু হওয়ার আগে থেকেই অনেকে বলছিলেন যে এটাই ভারতের অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে সিরিজ জিতে আসার সেরা সুযোগ। কিন্তু মাঠে আমরা প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে পারিনি। কাগজে-কলমে দল যেমনই হোক, মাঠেই প্রমাণিত হয়, কে সেরা। ইতিমধ্যে দুটি টেস্ট হেরে সিরিজ জয়ের প্রত্যাশাকে পায়ে ঠেলেছি। এখনো দুটি টেস্ট বাকি। আশা করছি, ওই দুটোতে জিতেই আমরা সিরিজে সমতা আনতে পারব।
• দলে কোচ হিসেবে এ মুহূর্তে ডানকান ফ্লেচারের ভূমিকাটা কী?
ব্যর্থতার জন্য গণহারে সবাইকে দোষারোপ করা অন্যায় বলে আমি মনে করি।
• সিরিজে ভারতের ফিরে আসার কি কোনো বাস্তব সুযোগ রয়েছে?
এখন পর্যন্ত আমরা ধারাবাহিকতার সঙ্গে ভালো করিনি। পারফরম্যান্সের ব্যাপারে আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে। প্রতিপক্ষকে দুবার আউট করতে হবে। সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা ৪০০ রান করেছি। আমাদের ব্যাটিং পারফরম্যান্সটা সব সময়ই এমনই হওয়া উচিত।
• আপনি কি অধিনায়কত্বের চাপ অনুভব করা শুরু করেছেন?
সত্যি কথা বলতে কী, চাপ অনুভব করছি না। আপনি সব সময় জিততে পারেন না। একটা না একটা সময় আপনি হারবেন। এই সময়টা কঠিন। এই কঠিন সময় আপনাকে অনেক কিছু শেখাবে। এ খারাপ সময়টা অতিক্রম করে আমি মনে করি দল আবার জয়ের ধারায় ফিরে আসবে।
No comments