জাবির ভয়ঙ্কর র‌্যাগিং by বেলাল হোসাইন রাহাত

জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নাম সবার কাছে পরিচিত। তা হলো র‌্যাগ। অনেক শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েও র‌্যাগ দেওয়ার কথা শুনে ভর্তি হয় না। এই র‌্যাগ দেওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে থাকে। কিছু দিন আগে নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার অজুহাতে তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ নানাভাবে হয়রানি করে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। নতুন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এলে তাদের আগে বড় ভাইদের সঙ্গে পরিচয় হতে হয়


আর সে সময় তারা ভয়ঙ্করভাবে র‌্যাগ দিয়ে থাকে। ক্যাম্পাসের এই ভয়ঙ্কর পরিচয় পদ্ধতির নাম র‌্যাগিং। আর এই র‌্যাগ দেওয়ার অভিযোগে কিছু দিন আগে ৪ ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া এমন ঘটনা প্রায় প্রতিদিন ঘটে থাকে। কিছু দিন আগে ফার্মেসি বিভাগের নতুন ৪১তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সুইমিংপুল এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাদের নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করে ওই বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে র‌্যাগিংয়ের শিকার হওয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ওই দিন রাতে বিষয়টি আশুলিয়া থানা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানায়। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাসহ বিভিন্ন হল প্রাধ্যক্ষরা বিষয়টি তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় ৪ ছাত্রকে রাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় তাদের ৩ মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করে। বাংলা বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারের সামনে ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের ফাঁদে ফেলে। পরে বিভাগীয় সভাপতি বিষয়টি জানার পর জড়িতদের লঘু শাস্তি প্রদান করেন। লোক প্রশাসন বিভাগে র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে এক ছাত্রী তার বড় বোনকে মোবাইলে এসএমএস পাঠায়। ওই বড় বোন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ায় দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ছোট বোনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রদের হাতে নিজেও লাঞ্ছিত হন। এ বিষয়ে প্রশাসন পদক্ষেপ নিলেও তার কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। আশা করি, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আরও গুরুত্ব সহকারে দেখবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
ম শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সাভার, ঢাকা
rahatju64@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.