মামলা প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে কাদেরের আবেদন by নজরুল ইসলাম
পুলিশের নির্যাতনের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল কাদের ক্ষতিপূরণ ও তাঁর বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গত বুধবার তিনি এ বিষয়ে পৃথক আবেদন করেন। দুটি আবেদনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ চৌধুরী সুপারিশ করেছেন। কাদের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ছাত্র।
জানতে চাইলে উপাচার্য গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে এবং ক্ষতিপূরণ পেতে কাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা দিয়েছেন। এতে আমি সুপারিশ করেছি।’ কাদেরকে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ী পুলিশ-সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাদের ক্ষতিপূরণ পেলে এবং তাঁর বিরুদ্ধে মামলাগুলো প্রত্যাহার হওয়ার পর তাঁরা পর্যায়ক্রমে এগোবেন।
আবেদনে কাদের বলেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র। গত বছরের ১৫ জুলাই রাত দেড়টার দিকে তিনি হলি ফ্যামিলি ডক্টরস কোয়ার্টারের খালার বাসা থেকে হলে ফেরার সময় যানবাহন না পেয়ে হেঁটে ফিরছিলেন। সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে সাদা পোশাকধারী পুলিশ তাঁকে ধরে অমানবিক নির্যাতন করে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়। থানায় নিয়েও তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
আবেদনপত্রে কাদের আরও বলেন, তৎকালীন খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলালউদ্দিন তাঁর দপ্তরে ডেকে চাপাতি দিয়ে তাঁর বাঁ পায়ে আঘাত করেন। এতে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হন। চিকিৎসা ও দায়ের করা একাধিক মিথ্যা মামলা চালাতে তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আবেদনে কাদের বলেন, পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা করে। আইন মন্ত্রণালয় ও পুলিশের তদন্ত কমিটি তাঁকে নির্দোষ উল্লেখ করে হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কিন্তু দুটি মিথ্যা মামলা এখনো প্রত্যাহার না হওয়ায় তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এতে পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। এসব বিবেচনা করে মিথ্যা মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করে লেখাপড়া নির্বিঘ্ন করার ব্যবস্থা নিতে আবেদনে তিনি অনুরোধ করেন।
কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিথ্যা মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত দুশ্চিন্তা কাটবে না। সারাক্ষণ অজানা আশঙ্কা ভর করে থাকে। কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারছি না।’
১৬ জুলাই ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনের মামলা করে কাদেরকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। তাঁকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে ২৮ জুলাই হাইকোর্ট এ বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন এবং তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের কমিটি ২৮ নভেম্বর ও পুলিশের তদন্ত কমিটি ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেয়।
কাদেরকে গ্রেপ্তারের পর খিলগাঁও থানার পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে একটি ও অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করে। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর থানায় করা গাড়ি ছিনতাইয়ের একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অস্ত্র মামলার তদন্ত শেষে ওই অভিযোগ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছে। অপর দুই মামলার তদন্তও করছে ডিবি পুলিশ।
তদন্ত তদারককারী কর্মকর্তা ডিবির উপকমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুই মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এগুলোতেও কাদেরের জড়িত থাকার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাই এ দুই মামলা থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দিয়ে শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, কাদেরকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আইন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে খিলগাঁও থানার তৎকালীন ওসি হেলালউদ্দিনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার সুপারিশ করে। হাইকোর্ট ১১ ডিসেম্বর পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। দুটি কমিটিই খিলগাঁও থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আলম বাদশার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনে। হেলালউদ্দিন ও আলম বাদশা সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন।
আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অবশ্যই মানতে হবে। তবে তিনি হাইকোর্টের ওই চিঠি এখনো খুলে দেখেননি।
আবেদনে কাদের বলেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র। গত বছরের ১৫ জুলাই রাত দেড়টার দিকে তিনি হলি ফ্যামিলি ডক্টরস কোয়ার্টারের খালার বাসা থেকে হলে ফেরার সময় যানবাহন না পেয়ে হেঁটে ফিরছিলেন। সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে সাদা পোশাকধারী পুলিশ তাঁকে ধরে অমানবিক নির্যাতন করে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়। থানায় নিয়েও তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
আবেদনপত্রে কাদের আরও বলেন, তৎকালীন খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলালউদ্দিন তাঁর দপ্তরে ডেকে চাপাতি দিয়ে তাঁর বাঁ পায়ে আঘাত করেন। এতে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হন। চিকিৎসা ও দায়ের করা একাধিক মিথ্যা মামলা চালাতে তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আবেদনে কাদের বলেন, পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা করে। আইন মন্ত্রণালয় ও পুলিশের তদন্ত কমিটি তাঁকে নির্দোষ উল্লেখ করে হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কিন্তু দুটি মিথ্যা মামলা এখনো প্রত্যাহার না হওয়ায় তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এতে পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। এসব বিবেচনা করে মিথ্যা মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করে লেখাপড়া নির্বিঘ্ন করার ব্যবস্থা নিতে আবেদনে তিনি অনুরোধ করেন।
কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিথ্যা মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত দুশ্চিন্তা কাটবে না। সারাক্ষণ অজানা আশঙ্কা ভর করে থাকে। কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারছি না।’
১৬ জুলাই ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনের মামলা করে কাদেরকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। তাঁকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে ২৮ জুলাই হাইকোর্ট এ বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন এবং তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের কমিটি ২৮ নভেম্বর ও পুলিশের তদন্ত কমিটি ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেয়।
কাদেরকে গ্রেপ্তারের পর খিলগাঁও থানার পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে একটি ও অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করে। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর থানায় করা গাড়ি ছিনতাইয়ের একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অস্ত্র মামলার তদন্ত শেষে ওই অভিযোগ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছে। অপর দুই মামলার তদন্তও করছে ডিবি পুলিশ।
তদন্ত তদারককারী কর্মকর্তা ডিবির উপকমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুই মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এগুলোতেও কাদেরের জড়িত থাকার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাই এ দুই মামলা থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দিয়ে শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, কাদেরকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আইন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে খিলগাঁও থানার তৎকালীন ওসি হেলালউদ্দিনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার সুপারিশ করে। হাইকোর্ট ১১ ডিসেম্বর পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। দুটি কমিটিই খিলগাঁও থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আলম বাদশার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনে। হেলালউদ্দিন ও আলম বাদশা সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন।
আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অবশ্যই মানতে হবে। তবে তিনি হাইকোর্টের ওই চিঠি এখনো খুলে দেখেননি।
No comments