বিচার বিভাগ-তিন বছরই সরব ছিল আদালত অঙ্গন by আশরাফ-উল-আলম

র্তমান সরকারের গত তিন বছর দেশের আদালত অঙ্গন ছিল আলোচনার কেন্দ্রস্থল। এই তিন বছরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার ফয়সালা হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি মামলা, পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীসংক্রান্ত রিট এবং কর্নেল তাহেরের গোপন বিচারসংক্রান্ত রিটের নিষ্পত্তি হয় এই তিন বছরে। বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হত্যা মামলার। পিলখানা হত্যা মামলার বিচারও শুরু হয়।


বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা : বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরই দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়। ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দেন। প্রধান বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলামের নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ পাঁচ আসামির করা রায় পুনর্বিবেচনার এ আবেদন খারিজ করেন।
আসামিদের এ আবেদন খারিজের ফলে কারাগারে থাকা পাঁচ আসামি লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমদ (আর্টিলারি), লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর (অব.) বজলুল হুদা ও মেজর (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদের (ল্যান্সার) ফাঁসি কার্যকর করতে সব আইনি বাধা দূর হয়। ওই দিন রাতেই পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর হয়।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামির আপিল খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ১৯ নভেম্বর রায় দেন।
ক্রসফায়ার নিয়ে হাইকোর্টের উদ্বেগ : দেশে অব্যাহত ক্রসফায়ারের ঘটনা নিয়ে হাইকোর্ট ২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ক্রসফায়ার নিয়ে রুলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত দেশে ক্রসফায়ার বন্ধ রাখতে বলা হয়। ক্রসফায়ার বন্ধ রাখতে আদালতের কথা র‌্যাব মহাপরিচালককে জানাতে রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) মাহবুবে আলমকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমান ও বিচারপতি ইমদাদুল হক আজাদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ক্রসফায়ার বন্ধ রাখতে বলেন।
মাদারীপুরের সদর উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের লুৎফর খালাসি ও তাঁর ভাই খায়রুল খালাসি র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন। এ ঘটনার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশের পর আদালত স্বপ্রণোদিত রুল জারি করেন।
পঞ্চম সংশোধনী বাতিল : সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল অনুমতির আবেদন (লিভ টু আপিল) খারিজ করে ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রায় দেন দেন আপিল বিভাগ। ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারি করা সব ধরনের ফরমান অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে খন্দকার মোশতাক আহমদ, একই বছরের ৬ নভেম্বর বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ও পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা গ্রহণ এবং সামরিক শাসন জারি অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করেন আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করায় হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকে। তবে আদালত ওই সময়ে রাষ্ট্রপতি বা সামরিক আইন প্রশাসকের সব জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমকে সমুন্নত রাখেন।
বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এবং সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে আপিল অনুমতির আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন। এর আগে হাইকোর্টের রায়ের পর সরকার আপিল অনুমতির আবেদন করে। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই আবেদন প্রত্যাহার করে নেয় সরকার।
২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট রাজধানীর মুন সিনেমা হলের মালিক মাকসুদুল হক একটি রিট আবেদনের রায়ে হাইকোর্ট সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করেন।
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯-এর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়কালে সামরিক শাসকদের বিভিন্ন ফরমান, আদেশে সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্ব ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে তা অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এগুলো বাতিল করা হয়।
খালেনা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি নিয়ে রায় : সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ৩০ দিনের মধ্যে সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়তে ২০১০ সালের ১৩ অক্টোবর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। খালেদা জিয়ার বাড়ি ছাড়তে সরকারের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট এ নির্দেশ দেন।
বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের বেঞ্চ ওই নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে লিজ পাওয়ার ২৯ বছর পর খালেদা জিয়াকে বাড়িটি ছাড়তে হয়। হাইকোর্টের আদেশের আলোকে একই বছরের ১৩ নভেম্বর খালেদাকে বাড়ি ছাড়তে হয়। কারণ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলও আপিল বিভাগ খারিজ করে দেন। অবশ্য কোনো স্থগিতাদেশ না থাকায় আপিল বিভাগে শুনানির আগেই খালেদা জিয়াকে বাড়ি ছেড়ে দিতে হয়।
খালেদা জিয়ার ছেলে কোকোর শাস্তি : বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বর্তমানে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ-৩-এর বিচারক মো. মোজাম্মেল হোসেন। গত বছর ২৩ জুন এ রায় দেওয়া হয়। একই সঙ্গে কোকোর সহযোগী সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী প্রয়াত কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মনকেও ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদালত রায়ে উভয়কে ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন। অন্যদিকে, কোকো ও সায়মনের পাচার করা টাকা বিদেশ থেকে ফেরত এনে তা সরকারের কোষাগারে রাখার নির্দেশ দেন। দুজনই পলাতক থাকায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচার শেষ হয়। বছরের সবচেয়ে আলোচিত ছিল এ মামলার রায়। এ মামলার রায়ের মধ্য দিয়েই জিয়া পরিবারের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা কোনো মামলার বিচার শেষ হয়। আর প্রথম সাজাও পেলেন জিয়া পরিবারের কোনো সদস্য।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল : গত বছর ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা করে রায় দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এটিও আলোচনার শীর্ষে ছিল সারা বছর।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংবলিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তবে রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা এবং ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে আগামী দুটি (দশম ও একাদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে বলে অভিমত দেন। রায়ে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদ থেকে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের বিচারপতিদের বাদ দিয়ে জাতীয় সংসদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার-পদ্ধতি সংস্কার করে সংবিধান সংশোধন করতে পারে। সংসদের সে স্বাধীনতা রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় দেন।
কর্নেল তাহেরের গোপন বিচার অবৈধ : কর্নেল তাহেরকে সামরিক আদালতে ফাঁসি দেওয়ার গোপন বিচারের রায়কে হাইকোর্ট বেআইনি ঘোষণা করেন। গত বছরের আলোচিত রায়ের অন্যতম ছিল এটি।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল (অব.) এম এ তাহের, হাসানুল হক ইনু এবং তাঁর সঙ্গীদের বিচার ও তাহেরের ফাঁসি দেওয়া অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হয় ওই রায়ে। একই সঙ্গে ওই বিচারে দেওয়া সব সাজা বাতিল করা হয়। আদালত বলেছেন, যাঁরা এই সাজানো ট্রাইব্যুনালের শিকার কিন্তু রিট আবেদন করেননি, তাঁরাও এ রায়ের আওতায় থাকবেন।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের বেঞ্চ ১৯৭৬ সালে সামরিক আদালতে গোপন বিচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা পৃথক চারটি রিট আবেদন নিষ্পত্তি করেই এ রায় দেন।
ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত কার্যক্রম অবৈধ : ২০১০ সালের ৮ জুলাই ফতোয়ার নামে সংঘটিত সব ধরনের বিচারবহির্ভূত কার্যক্রমকে অবৈধ ও আইনবহির্ভূত বলে রায় দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। ফতোয়ার নামে দণ্ডদাতাদের অপরাধী গণ্য করে তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা দায়েরেরও নির্দেশ দেওয়া হয় ওই রায়ে।
রায়ে বলা হয়, ফতোয়ার নামে যেকোনো ধরনের শাস্তি ঘোষণা সংবিধান ও দেশের প্রচলিত আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফতোয়ার নামে এ ধরনের শাস্তি যাঁরা ঘোষণা করবেন, তাঁদেরসহ যাঁরা এ প্রক্রিয়ায় সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে অপরাধের সহযোগী হিসেবে একই ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ফতোয়াবাজির ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে জনস্বার্থে করা তিনটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দেওয়া হয়।
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচার শুরু : চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে গত ২৫ অক্টোবর শুরু হয় বহুল আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচারপ্রক্রিয়া। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সরকারি সারখানা সিইউএফএল জেটি ঘাট থেকে দশ ট্রাক অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। ওই সময় কর্ণফুলী থানায় দুটি মামলা করা হয়। দুই দফা তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর মামলার বিচার শুরু হয়েছিল। কিন্তু ২০০৭ সালের ২০ নভেম্বর সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। অধিকতর তদন্ত শেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গত বছর ২৬ জুন সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেয়। অভিযোগপত্রে নতুন করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, চারদলীয় জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, সাবেক পরিচালক উইং কমান্ডার শাহাবুদ্দিন, সাবেক উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেনসহ ১১ জনকে নতুন করে আসামি করা হয়। জোট সরকার আমলের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়ার ঘটনা ছিল আলোচিত।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক আসামি : একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় উদ্ভূত হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা দুটি মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয় গত ৩ জুলাই। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় উদ্ভূত হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় অধিকতর তদন্তের এই প্রতিবেদন দাখিল করে।
উভয় মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, সাংসদ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও জোট সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ আরো ৩০ জনকে নতুন আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাসহ পুলিশ কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হয়। এ ছাড়া জঙ্গি সদস্যদেরও আসামি করা হয়।
অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পর ওই দিনই তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ পলাতক ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর বিএনপি ক্ষুব্ধ হয়। তারা এ ইস্যুতে আন্দোলন করে।
নতুন ৩০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করায় এ মামলার আসামির সংখ্যা দাঁড়াল ৫২ জন। ২০০৮ সালের ১১ জুন প্রথম অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মুফতি হান্নান, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
ঢাকার চারপাশের চার নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ : ঢাকার চারপাশের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ_এই চার নদ-নদীর তীরবর্তী জায়গার অবৈধ স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দখলদাররা যতই প্রভাবশালী হোক তাদের উচ্ছেদ করতেই হবে সরকারকে। ২০০৯ সালের ২৫ জুন বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মো. মমতাজউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধে তীরের অবৈধ দখল ও স্থায়ী-অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবীর জনস্বার্থে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে একই বছর ২৪ মে এসব নদীর তীরবর্তী সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নদীগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রকৃত সীমানা নির্ধারণের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না_তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ।

No comments

Powered by Blogger.