শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পালনের পাশাপাশি শিক্ষকদের বেতনও বাড়ান-বাড়তি ফি ও কোচিং-বাণিজ্য
রাজধানীর নামীদামি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আদালতের নির্দেশের চেয়ে অনেক বেশি চলেন বাণিজ্যের প্ররোচনায়; তারই একটা নিদর্শন পাওয়া গেল শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকে। ভর্তি ফি বাবদ পাঁচ হাজার টাকার বেশি নেওয়া, কোচিং চালানো ইত্যাদি অনিয়ম বিষয়ে তাঁদের মধ্যে অনুশোচনার বদলে অন্যায়ের সাফাই-ই বেশি দেখা গেছে। তবে, বাড়তি টাকা ফেরত দেওয়া এবং কোচিং বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অটল অবস্থান
প্রশংসনীয়। শিক্ষার্থীদের ভর্তি, শ্রেণী উত্তরণ, অনুদানসহ বিভিন্ন অজুহাতে অভিভাবকদের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায় মোটামুটি অলিখিত বিধান হয়ে উঠেছিল। অভিভাবকদের ভোগান্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মিরপুরের মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সামনে তাঁরা প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরপুর-২ আসনের সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদার সাংবাদিক ও অভিভাবকদের লাঞ্ছনাও করেন। এরই প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে। যাঁরা সেখানে হাজির ছিলেন, তাঁদের প্রায় সবার বিরুদ্ধেই অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ ছিল। আশা করা হয়েছিল, তাঁরা তাঁদের ভুল স্বীকার করবেন এবং শিক্ষা-বাণিজ্য না করেও কীভাবে বিদ্যালয়গুলোর ব্যয় যথাযথভাবে মেটানো যায়, তার একটা রূপরেখা পেশ করবেন। কিন্তু দেখা গেল, তাঁরা কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত তো ননই, উপরন্তু শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত হন। আমরা এর নিন্দা জানাই।
উচ্চ আদালত এর আগে বাণিজ্যিক কোচিং বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন, মন্ত্রণালয় থেকেও বাড়তি ফি নেওয়া বন্ধের হুকুম ছিল। কিন্তু কোনো নির্দেশই পালিত হয়নি। এই অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রীর কঠোর হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। বাড়তি টাকা নিলে তা ফেরত দেওয়া এবং কোচিংয়ে জড়িত শিক্ষকদের তালিকা তৈরিসহ স্কুল-কলেজের প্রধানদের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করা দরকার। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় ও পরিচালনার বিষয়টিও কঠোর নজরদারির মধ্যে আনা জরুরি।
এসব জরুরি কাজের পাশাপাশি শিক্ষকদের আয় বাড়ানোর ব্যবস্থাও করতে হবে। যত দিন না শিক্ষকেরা অন্যান্য পেশার সমতুল্য মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন, তত দিন সুষ্ঠু শিক্ষা-সংস্কৃতি গড়ে উঠবে না।
উচ্চ আদালত এর আগে বাণিজ্যিক কোচিং বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন, মন্ত্রণালয় থেকেও বাড়তি ফি নেওয়া বন্ধের হুকুম ছিল। কিন্তু কোনো নির্দেশই পালিত হয়নি। এই অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রীর কঠোর হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। বাড়তি টাকা নিলে তা ফেরত দেওয়া এবং কোচিংয়ে জড়িত শিক্ষকদের তালিকা তৈরিসহ স্কুল-কলেজের প্রধানদের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করা দরকার। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় ও পরিচালনার বিষয়টিও কঠোর নজরদারির মধ্যে আনা জরুরি।
এসব জরুরি কাজের পাশাপাশি শিক্ষকদের আয় বাড়ানোর ব্যবস্থাও করতে হবে। যত দিন না শিক্ষকেরা অন্যান্য পেশার সমতুল্য মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন, তত দিন সুষ্ঠু শিক্ষা-সংস্কৃতি গড়ে উঠবে না।
No comments