স্বামীর নির্যাতনে দু’চোখই নষ্টের পথেঃ নাগেশ্বরীতে দ্বিতীয় রোমানা মঞ্জুর হতে চলেছেন বিলকিস
নাগেশ্বরীতে দ্বিতীয় রোমানা মঞ্জুর হতে চলেছেন এক স্কুল শিক্ষিকা। যৌতুক দাবিতে পাষণ্ড স্বামীর নির্যাতনে তার দুটি চোখই নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে নাগেশ্বরী থানায় একটি মামলা করেছেন।
উপজেলার পূর্ব সুখাতী গ্রামের জামালউদ্দিনের মেয়ে চরবলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বিলকিস জাহান বিলুর সঙ্গে ২০০৭ সালে ডায়নারপাড় বাবুরহাট গ্রামের সাফাতুল্যা ব্যাপারীর ছেলে আবদুর রউফের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আবদুর রউফ যৌতুক দাবিতে স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা এনে দিতে বলে স্ত্রীকে। এতে অস্বীকৃতি জানালে আবদুর রউফ তাকে সাইকেলের চেইন দিয়ে পেটাতে থাকে। এতে তার বাম চোখের নিচে, নাক, মুখমণ্ডল ও শরীরিরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। পরে বিনা চিকিত্সায় তাকে ঘরে আটক করে রাখে। এক প্রতিবেশী ঘটনাটি বিলকিসের বাবাকে জানালে তাকে উদ্ধার করে নাগেশ্বরী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে তিনি যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। তার সঙ্গে কথা হলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তার স্বামী বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবিতে তাকে নির্যাতন করে আসছিল। পরিবারের সুখ-শান্তি ও এক বছরের ছেলে রিফাতের কথা চিন্তা করে সবকিছু সহ্য করেছেন। মাস শেষে শিক্ষকতা করে যে টাকা পেতেন তার পুরোটা স্বামীর হাতে তুলে দিতেন। তা সত্ত্বেও হাতের কাছে যা পেত তা দিয়ে নির্যাতন চালাত। যার কারণে আজ তার চোখ নষ্ট হতে চলেছে।
বিলকিসের বাবা জামালউদ্দিন বলেন, তার মেয়ের কথা কখনও তাদের জানাত না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এব্যাপারে আবদুর রউফের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে সে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে।
এদিকে আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে গতকাল নাগেশ্বরীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, তদন্ত চলছে। আসামিকে পেলে গ্রেফতার করা হবে।
No comments