৯ জানুয়ারি আদেশ-গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুনর্দাখিল
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার ৬২টি মানবতা-বিরোধী অপরাধের অভিযোগসহ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পুনর্দাখিল করেছে। এই অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল ৯ জানুয়ারি আদেশের দিন ধার্য করেছেন। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগে রাষ্ট্রপক্ষ গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ৫২টি অভিযোগ এনেছিল। ট্রাইব্যুনাল পরে ওই অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষকে ফেরত
দেন। গতকাল বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে কার্যক্রম শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুসারে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়েও আনুষ্ঠানিক অভিযোগসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র দাখিল করা হয়েছে। পরে ট্রাইব্যুনাল গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে আদেশের জন্য ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনাল আদেশে আরও বলেন, গোলাম আযমের মামলাসংক্রান্ত তাঁর আইনজীবীর করা আবেদনটির শুনানিও ওই দিন হবে। ১ জানুয়ারি গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ চেয়ে তাঁর আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন।
গোলাম আরিফ পরে লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের বলেন, পুনর্দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ সংঘটনসংক্রান্ত পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে চক্রান্তের দায়ে ছয়টি, পরিকল্পনার দায়ে তিনটি, উসকানির দায়ে ২৮টি, সম্পৃক্ততার দায়ে ২৪টি এবং ব্যক্তিগতভাবে হত্যা ও নির্যাতনের দায়ে একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী বাহিনী যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছে, সেই সব যৌথ ও একক অপরাধের দায়ভার গোলাম আযমের।
গত ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ৫২টি মানবতাবিরোধী অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়। ওই সময় রাষ্ট্রপক্ষ প্রক্রিয়া অনুসারে তাঁকে গ্রেপ্তারের আবেদনও দাখিল করে। ওই অভিযোগে ৫২টি পৃথক ঘটনায় গোলাম আযমের বিরুদ্ধে শতাধিক অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে গত ২৬ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষকে ফেরত দেন। ফেরত দেওয়ার কারণ হিসেবে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ, তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক নথি পর্যবেক্ষণ করে ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ অগোছালোভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। অভিযোগগুলো সুবিন্যস্ত ও শ্রেণীভুক্ত নয়। ট্রাইব্যুনাল ওই অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলির কাছে ফেরত পাঠান এবং ৫ জানুয়ারির মধ্যে তা পুনর্দাখিলের আদেশ দেন।
গোলাম আযমকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন জামায়াতের আটক নেতাদের আইনজীবী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকার এর আগে গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বাতিল করলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিনি নাগরিকত্ব ফিরে পান। ওই সময় তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
গোলাম আরিফ পরে লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের বলেন, পুনর্দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ সংঘটনসংক্রান্ত পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে চক্রান্তের দায়ে ছয়টি, পরিকল্পনার দায়ে তিনটি, উসকানির দায়ে ২৮টি, সম্পৃক্ততার দায়ে ২৪টি এবং ব্যক্তিগতভাবে হত্যা ও নির্যাতনের দায়ে একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী বাহিনী যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছে, সেই সব যৌথ ও একক অপরাধের দায়ভার গোলাম আযমের।
গত ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ৫২টি মানবতাবিরোধী অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়। ওই সময় রাষ্ট্রপক্ষ প্রক্রিয়া অনুসারে তাঁকে গ্রেপ্তারের আবেদনও দাখিল করে। ওই অভিযোগে ৫২টি পৃথক ঘটনায় গোলাম আযমের বিরুদ্ধে শতাধিক অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে গত ২৬ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষকে ফেরত দেন। ফেরত দেওয়ার কারণ হিসেবে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ, তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক নথি পর্যবেক্ষণ করে ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ অগোছালোভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। অভিযোগগুলো সুবিন্যস্ত ও শ্রেণীভুক্ত নয়। ট্রাইব্যুনাল ওই অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলির কাছে ফেরত পাঠান এবং ৫ জানুয়ারির মধ্যে তা পুনর্দাখিলের আদেশ দেন।
গোলাম আযমকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন জামায়াতের আটক নেতাদের আইনজীবী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকার এর আগে গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বাতিল করলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিনি নাগরিকত্ব ফিরে পান। ওই সময় তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
No comments