পুলিশের সভায় এইচ টি ইমাম-আকাশে কালো মেঘ দেখি
‘মাঝেমধ্যে যে তথ্য পাই, তাতে আকাশে কালো মেঘ দেখি। তার পরও আমরা এগিয়ে যাব। বাংলাদেশ গড়ব।’
দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন-বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এ কথা বলেন। গত বুধবার রাতে রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম মিলনায়তনে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৩২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক ও পুলিশের মহাপরিদর্শক
দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন-বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এ কথা বলেন। গত বুধবার রাতে রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম মিলনায়তনে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৩২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক ও পুলিশের মহাপরিদর্শক
হাসান মাহমুদ খন্দকার উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে এইচ টি ইমাম বলেন, সবকিছু ঠিকমতো চললে জনপ্রশাসনে এত লোকের আর দরকার হতো না। ধাপে ধাপে নামতে নামতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির গুরুত্বও যেন কমে যায়। তিনি প্রশাসনিক জটিলতার কথা উল্লেখ করে বলেন, কিছু সমস্যা রয়েছে, এসব হয়তো কেটে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাস পুলিশ হবে কিনা বলা মুশকিল। তবে মেরিন পুলিশের দরকার আছে, এটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
পুলিশ বিভাগ গঠনের প্রস্তাব: এই মিলনায়তনে এর আগে আইজির সঙ্গে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। তবে দুটি বৈঠকেই কর্মকর্তারা তাঁদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কথা বলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা সচিব দিয়ে একটি পুলিশ বিভাগ গঠন এবং কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হলে আইনি সহায়তার জন্য আইনজীবী দল গঠন করা।
অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে এর সাধারণ সম্পাদক গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য মন্ত্রণালয়ে আলাদা একটি পুলিশ বিভাগ দরকার। এই বিভাগে একজন সচিব থাকতে পারে। পুলিশের সব কাজ এ বিভাগ করবে। যোগাযোগ, স্থানীয় সরকারসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে এমন আলাদা বিভাগ রয়েছে।
মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইজির বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। একজন কর্মকর্তা বলেন, কর্তব্যরত অবস্থায় কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হলে তাঁরা আইনি সহায়তা পান না। এসব খাতে নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করতে হয়। আইনি সহায়তার জন্য একটি আইনজীবী দল গঠন করা যেতে পারে। এ খাতে সরকারি বরাদ্দ আছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
পুলিশের আইজি বলেন, ‘কোনো পুলিশ কর্মকর্তা বউ পিটিয়ে মামলার আসামি হলে বা দুদকের মামলার আসামি হলে তাঁকে কেন সহায়তা দেওয়া হবে? কারা টাকা পাবে, তার একটি নীতিমালা থাকা দরকার।’
আরেকজন কর্মকর্তা নিজের অভিজ্ঞতার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘পদের কারণে আমি দুইবার হাইকোর্টে গিয়েছি। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাকে কোনো কথা বলতে দেননি। তিনি শুধু বলেছেন, “ভাই, কোর্ট খুব গরম। আপনি কোনো কথা না বলে শুধু মাফ চাইবেন।”’ ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি তা-ই করেছি। আইনজীবীও চুপ করে ছিলেন। কিন্তু আদালতে কোনো কথা বলে দাঁড়িয়ে থাকাটা বিব্রতকর।’ ওই কর্মকর্তা বলেন, উচ্চ আদালতে পুলিশের বলার সুযোগ থাকা দরকার।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার বেনজীর আহমেদ এ সময় বলেন, এ অবস্থা এখন নেই। গত তিন মাসে এ চিত্র বদলেছে।
রংপুরের পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের জন্য র্যাবের মতো করে ৭০ শতাংশ ভাতা দাবি করে বলেন, এতে কাজের মান ভালো হবে। তিনি পুলিশের সন্তানের শিক্ষার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে স্কুলগুলো নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব করেন।
বরগুনার পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ প্রবিধানে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার বিধান নেই। এ ধারাটি সংযোজন করা দরকার। ওই কর্মকর্তা পুলিশের সব মসজিদ পরিচালনার জন্য ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব দেন।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, সারা দেশে পুলিশের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। কিন্তু সদর দপ্তরের বাইরে এসব দায়িত্বে কোনো কর্মকর্তা নেই। এসব দেখার জন্য প্রতিটি জেলায় কর্মকর্তা থাকা উচিত।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, পটুয়াখালীতে পুলিশের ব্যবহারের জন্য যে নৌযান দেওয়া হয়েছে, তা নদীতে চলতে পারে না। এসব নৌযানের বদলে ভালো মানের নৌযান চান তিনি।
পুলিশের আইজি বলেন, যৌক্তিক দাবিগুলো বিবেচনা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাস পুলিশ হবে কিনা বলা মুশকিল। তবে মেরিন পুলিশের দরকার আছে, এটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
পুলিশ বিভাগ গঠনের প্রস্তাব: এই মিলনায়তনে এর আগে আইজির সঙ্গে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। তবে দুটি বৈঠকেই কর্মকর্তারা তাঁদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কথা বলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা সচিব দিয়ে একটি পুলিশ বিভাগ গঠন এবং কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হলে আইনি সহায়তার জন্য আইনজীবী দল গঠন করা।
অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে এর সাধারণ সম্পাদক গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য মন্ত্রণালয়ে আলাদা একটি পুলিশ বিভাগ দরকার। এই বিভাগে একজন সচিব থাকতে পারে। পুলিশের সব কাজ এ বিভাগ করবে। যোগাযোগ, স্থানীয় সরকারসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে এমন আলাদা বিভাগ রয়েছে।
মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইজির বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। একজন কর্মকর্তা বলেন, কর্তব্যরত অবস্থায় কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হলে তাঁরা আইনি সহায়তা পান না। এসব খাতে নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করতে হয়। আইনি সহায়তার জন্য একটি আইনজীবী দল গঠন করা যেতে পারে। এ খাতে সরকারি বরাদ্দ আছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
পুলিশের আইজি বলেন, ‘কোনো পুলিশ কর্মকর্তা বউ পিটিয়ে মামলার আসামি হলে বা দুদকের মামলার আসামি হলে তাঁকে কেন সহায়তা দেওয়া হবে? কারা টাকা পাবে, তার একটি নীতিমালা থাকা দরকার।’
আরেকজন কর্মকর্তা নিজের অভিজ্ঞতার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘পদের কারণে আমি দুইবার হাইকোর্টে গিয়েছি। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাকে কোনো কথা বলতে দেননি। তিনি শুধু বলেছেন, “ভাই, কোর্ট খুব গরম। আপনি কোনো কথা না বলে শুধু মাফ চাইবেন।”’ ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি তা-ই করেছি। আইনজীবীও চুপ করে ছিলেন। কিন্তু আদালতে কোনো কথা বলে দাঁড়িয়ে থাকাটা বিব্রতকর।’ ওই কর্মকর্তা বলেন, উচ্চ আদালতে পুলিশের বলার সুযোগ থাকা দরকার।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার বেনজীর আহমেদ এ সময় বলেন, এ অবস্থা এখন নেই। গত তিন মাসে এ চিত্র বদলেছে।
রংপুরের পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের জন্য র্যাবের মতো করে ৭০ শতাংশ ভাতা দাবি করে বলেন, এতে কাজের মান ভালো হবে। তিনি পুলিশের সন্তানের শিক্ষার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে স্কুলগুলো নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব করেন।
বরগুনার পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ প্রবিধানে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার বিধান নেই। এ ধারাটি সংযোজন করা দরকার। ওই কর্মকর্তা পুলিশের সব মসজিদ পরিচালনার জন্য ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব দেন।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, সারা দেশে পুলিশের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। কিন্তু সদর দপ্তরের বাইরে এসব দায়িত্বে কোনো কর্মকর্তা নেই। এসব দেখার জন্য প্রতিটি জেলায় কর্মকর্তা থাকা উচিত।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, পটুয়াখালীতে পুলিশের ব্যবহারের জন্য যে নৌযান দেওয়া হয়েছে, তা নদীতে চলতে পারে না। এসব নৌযানের বদলে ভালো মানের নৌযান চান তিনি।
পুলিশের আইজি বলেন, যৌক্তিক দাবিগুলো বিবেচনা করা হবে।
No comments