এবার বাড়ছে লঞ্চের ভাড়া by অনিকা ফারজানা
দূরপাল্লার বাসের পর এবার বাড়ছে লঞ্চের ভাড়া। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে লঞ্চে প্রতি কিলোমিটারে ২০ পয়সা ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে লঞ্চ মালিক সমিতি প্রতি কিলোমিটারে ৩০ থেকে ৪০ পয়সা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে গত বুধবার বিআইডব্লিউটিএ ভবনে লঞ্চ মালিক সমিতির সঙ্গে ভাড়া নির্ধারণী কমিটির বৈঠক হয়েছে।
আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে। বিআইডব্লিউটিএর সচিব মাহবুবুল আলম বলেন, লঞ্চের যাত্রীভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে বুধবারের বৈঠকে প্রাপ্ত প্রস্তাব ও সুপারিশগুলো গতকাল বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। রবি বা সোমবার ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে।
বৈঠক সূত্র জানায়, ব্যয় বিশ্লেষণ করে বিআইডব্লিউটিএর ভাড়া নির্ধারণের নিজস্ব কমিটি লঞ্চে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীপ্রতি ১৩ পয়সা ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু লঞ্চমালিকেরা জ্বালানি তেলের মূল্য পাঁচ টাকা বৃদ্ধির পাশাপাশি খুচরা যন্ত্রাংশসহ আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে প্রথম ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত কিলোমিটারপ্রতি এক টাকা ৩০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে এক টাকা ৬০ পয়সা এবং পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার এক টাকা থেকে বাড়িয়ে এক টাকা ৪০ পয়সা করার দাবি জানান। পরে ১২ সদস্যের এই কমিটি ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটার এক টাকা ৩০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে এক টাকা ৫০ পয়সা এবং পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার এক টাকা থেকে বাড়িয়ে এক টাকা ২০ পয়সা করার প্রস্তাব করে।
বৈঠকে উপস্থিত মালিক সমিতির সদস্য ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার সহসভাপতি সাহাবউদ্দিন বলেন, ভাড়া নির্ধারণী কমিটি ২০ পয়সা বাড়ানোর যে প্রস্তাব করেছে, মালিকেরা তা মানেননি। দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি লঞ্চের ইঞ্জিনের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে মালিকেরা বাধ্য হয়ে লঞ্চে যাত্রীভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে সরকার ইঞ্জিন, মবিল ও খুচরা যন্ত্রাংশের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলে মালিক সমিতি হয়তো এই হারে ভাড়া বৃদ্ধি মেনে নেবে।
বিআইডব্লিউটিএর সচিব জানান, যেহেতু জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, তাই লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। এ ছাড়া লঞ্চের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক তিন শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৭ শতাংশ করা হয়েছে। তাই ভাড়া নির্ধারণী কমিটি কিলোমিটারে ২০ পয়সা বাড়ালেও যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক না কমালে মালিক সমিতি হয়তো এ সিদ্ধান্ত নাও মানতে পারে।
এর আগে গত বছরের মে মাসে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর জুলাই মাসে একবার লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। সে সময় প্রথম ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটার এক টাকা ১৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে এক টাকা ৩০ পয়সা এবং পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার ৮৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে এক টাকা করা হয়। এই হারে লঞ্চে ঢাকা-পটুয়াখালী নৌপথে ডেকে যাত্রীপ্রতি ২৮২ টাকা, ঢাকা-বরিশালে ২০৫ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, ব্যয় বিশ্লেষণ করে বিআইডব্লিউটিএর ভাড়া নির্ধারণের নিজস্ব কমিটি লঞ্চে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীপ্রতি ১৩ পয়সা ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু লঞ্চমালিকেরা জ্বালানি তেলের মূল্য পাঁচ টাকা বৃদ্ধির পাশাপাশি খুচরা যন্ত্রাংশসহ আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে প্রথম ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত কিলোমিটারপ্রতি এক টাকা ৩০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে এক টাকা ৬০ পয়সা এবং পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার এক টাকা থেকে বাড়িয়ে এক টাকা ৪০ পয়সা করার দাবি জানান। পরে ১২ সদস্যের এই কমিটি ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটার এক টাকা ৩০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে এক টাকা ৫০ পয়সা এবং পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার এক টাকা থেকে বাড়িয়ে এক টাকা ২০ পয়সা করার প্রস্তাব করে।
বৈঠকে উপস্থিত মালিক সমিতির সদস্য ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার সহসভাপতি সাহাবউদ্দিন বলেন, ভাড়া নির্ধারণী কমিটি ২০ পয়সা বাড়ানোর যে প্রস্তাব করেছে, মালিকেরা তা মানেননি। দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি লঞ্চের ইঞ্জিনের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে মালিকেরা বাধ্য হয়ে লঞ্চে যাত্রীভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে সরকার ইঞ্জিন, মবিল ও খুচরা যন্ত্রাংশের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলে মালিক সমিতি হয়তো এই হারে ভাড়া বৃদ্ধি মেনে নেবে।
বিআইডব্লিউটিএর সচিব জানান, যেহেতু জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, তাই লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। এ ছাড়া লঞ্চের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক তিন শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৭ শতাংশ করা হয়েছে। তাই ভাড়া নির্ধারণী কমিটি কিলোমিটারে ২০ পয়সা বাড়ালেও যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক না কমালে মালিক সমিতি হয়তো এ সিদ্ধান্ত নাও মানতে পারে।
এর আগে গত বছরের মে মাসে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর জুলাই মাসে একবার লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। সে সময় প্রথম ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটার এক টাকা ১৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে এক টাকা ৩০ পয়সা এবং পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার ৮৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে এক টাকা করা হয়। এই হারে লঞ্চে ঢাকা-পটুয়াখালী নৌপথে ডেকে যাত্রীপ্রতি ২৮২ টাকা, ঢাকা-বরিশালে ২০৫ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
No comments