আর মাত্র ১৩ দিন বাকি-বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে by মাসুদ রানা
আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। প্রতিবছর ইউরোপ-আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকে কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান এতে অংশ নিয়ে থাকেন। ইজতেমার আর মাত্র ১৩ দিন বাকি থাকায় এখন পুরোদমে চলছে মাঠ প্রস্তুতির কাজ। গত বছরের মতো এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে দুই পর্বে। ১৩ জানুয়ারি শুরু প্রথম পর্ব শেষ হবে ১৫ জানুয়ারি
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে। মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
গতকাল শুক্রবার ইজতেমা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মুসল্লিদের জন্য বিশাল প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছে। ইজতেমা ময়দান প্রস্তুত করতে শীত উপেক্ষা করেই দিনরাত স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ। কাজে লেগে গেছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের কিশোর-তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও। কেউ মাটি খুঁড়ে গর্ত করছে, কেউ চট সেলাই বা ল্যাট্রিন তৈরির কাজে ব্যস্ত, কেউ বা আবার কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছেন বাঁশ।
ইজতেমা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির সব কাজ প্রতিবছর এভাবে স্বেচ্ছাশ্রমেই সম্পাদিত হয়ে থাকে। এ কাজের জন্য নেই কোনো তহবিল। সরঞ্জাম কেনার সম্পূর্ণ অর্থ আসে দানের মাধ্যমে। দেশ-বিদেশ থেকে আসা মেহমানদের সেবায় তাবলিগ জামাত ও সরকারি পর্যায় থেকে হাতে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। বিশ্ব ইজতেমায় এবার প্রায় ২৫ হাজার বিদেশি মেহমান আসার কথা রয়েছে। যে কারণে বিদেশি মেহমানদের থাকার স্থান বাড়ানো হয়েছে। ইজতেমা মাঠের উত্তর-পশ্চিম দিকে টিনের তৈরি আন্তর্জাতিক নিবাসকে আরব ও অ-আরব দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মুসল্লিদের প্যান্ডেল তৈরির চট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এ বছর নতুন চট কেনা হয়েছে।
ইজতেমা মাঠ উন্নয়নে সেনাবাহিনীর একটি প্রকৌশলী দলও কাজ করে যাচ্ছে। মুসল্লিদের সহজে তুরাগ পারাপারের স্বার্থে আটটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ইজতেমা ময়দানের আশপাশের সড়ক সংস্কার করছে। টঙ্গী পৌরসভা একটি নতুন গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ শুরু করেছে, যা আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজকদের পক্ষে মো. গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবছরই বিশ্ব ইজতেমায় লোকসমাগম বাড়ছে। গত বছর থেকে ইজতেমা দুই পর্বে করার পরও এবার ইজতেমায় লোকসমাগম অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি হবে। প্রথম পর্বের জন্য পুরো ময়দানকে ৩৯টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে।
ৎ ব-১-এর উপপরিচালক নিশাদুল ইসলাম খান জানান, ইজতেমা ময়দানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবার ৎ বের সদস্যসংখ্যা গতবারের চেয়ে বাড়ানো হবে। হেলিকপ্টার, টহল বোট, আটটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, নিয়ন্ত্রণকক্ষ, মাঠের প্রবেশপথে ও খিত্তাগুলোতে সাদা পোশাকেও ৎ ব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
ডেসার (টঙ্গী-পশ্চিম) ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম জানান, তাৎ ক্ষণিক প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ১১ জানুয়ারি থেকে ইজতেমা এলাকায় চারটি জেনারেটর এবং পাঁচটি ট্রলি মাউন্টেড ট্রান্সফরমার রাখা হবে।
গতকাল শুক্রবার ইজতেমা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মুসল্লিদের জন্য বিশাল প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছে। ইজতেমা ময়দান প্রস্তুত করতে শীত উপেক্ষা করেই দিনরাত স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ। কাজে লেগে গেছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের কিশোর-তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও। কেউ মাটি খুঁড়ে গর্ত করছে, কেউ চট সেলাই বা ল্যাট্রিন তৈরির কাজে ব্যস্ত, কেউ বা আবার কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছেন বাঁশ।
ইজতেমা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির সব কাজ প্রতিবছর এভাবে স্বেচ্ছাশ্রমেই সম্পাদিত হয়ে থাকে। এ কাজের জন্য নেই কোনো তহবিল। সরঞ্জাম কেনার সম্পূর্ণ অর্থ আসে দানের মাধ্যমে। দেশ-বিদেশ থেকে আসা মেহমানদের সেবায় তাবলিগ জামাত ও সরকারি পর্যায় থেকে হাতে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। বিশ্ব ইজতেমায় এবার প্রায় ২৫ হাজার বিদেশি মেহমান আসার কথা রয়েছে। যে কারণে বিদেশি মেহমানদের থাকার স্থান বাড়ানো হয়েছে। ইজতেমা মাঠের উত্তর-পশ্চিম দিকে টিনের তৈরি আন্তর্জাতিক নিবাসকে আরব ও অ-আরব দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মুসল্লিদের প্যান্ডেল তৈরির চট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এ বছর নতুন চট কেনা হয়েছে।
ইজতেমা মাঠ উন্নয়নে সেনাবাহিনীর একটি প্রকৌশলী দলও কাজ করে যাচ্ছে। মুসল্লিদের সহজে তুরাগ পারাপারের স্বার্থে আটটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ইজতেমা ময়দানের আশপাশের সড়ক সংস্কার করছে। টঙ্গী পৌরসভা একটি নতুন গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ শুরু করেছে, যা আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজকদের পক্ষে মো. গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবছরই বিশ্ব ইজতেমায় লোকসমাগম বাড়ছে। গত বছর থেকে ইজতেমা দুই পর্বে করার পরও এবার ইজতেমায় লোকসমাগম অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি হবে। প্রথম পর্বের জন্য পুরো ময়দানকে ৩৯টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে।
ৎ ব-১-এর উপপরিচালক নিশাদুল ইসলাম খান জানান, ইজতেমা ময়দানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবার ৎ বের সদস্যসংখ্যা গতবারের চেয়ে বাড়ানো হবে। হেলিকপ্টার, টহল বোট, আটটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, নিয়ন্ত্রণকক্ষ, মাঠের প্রবেশপথে ও খিত্তাগুলোতে সাদা পোশাকেও ৎ ব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
ডেসার (টঙ্গী-পশ্চিম) ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম জানান, তাৎ ক্ষণিক প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ১১ জানুয়ারি থেকে ইজতেমা এলাকায় চারটি জেনারেটর এবং পাঁচটি ট্রলি মাউন্টেড ট্রান্সফরমার রাখা হবে।
No comments