ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক-দুই কি.মি. সংস্কারের কী হলো? by আসিফ হোসেন
অর্থ-সংকটে থমকে আছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ (লিংক রোড) সড়কের দুই কিলোমিটার অংশের সংস্কারকাজ। সড়কের এই অংশের বেশির ভাগ স্থানেই সুরকি, ইট-পাথর উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙা সড়কে যানবাহন ধীরগতিতে চলায় নিত্য যানজট লেগেই আছে। প্রতিদিন সড়কে যাতায়াত করতে গিয়ে লাখো যাত্রী ও পথচারীকে পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ। এ ছাড়া, দুই পাশে কোনো ফুটপাত ও সড়কবাতি না থাকায় ভোগান্তিতে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।
প্রায় এক বছরেও সংস্কারকাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষ। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) এক বছর আগে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কের চাষাঢ়া থেকে শিবু মার্কেট পর্যন্ত অংশ চার লেনে উন্নীতকরণ, সড়ক বিভাজক, দুই পাশে ড্রেন নির্মাণসহ কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করে। সড়কের পাশে অবস্থিত খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম চলতি বছর অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বিকল্প ও প্র্যাকটিস ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে ইতিপূর্বে নির্ধারিত হওয়ায় চার লেনে উন্নীতকরণসহ নানাবিধ এই সংস্কারকাজে হাত দেয় অধিদপ্তর। খেলা শুরু হওয়ার আগেই সাইনবোর্ড মোড় থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটারের সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়। পরে শুরু হয় বাকি দুই কিলোমিটার অংশের কাজ। কিন্তু বছর শেষ হতে চললেও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় এটুকুর কাজ শেষ করতে পারছে না সওজ।
আলাপকালে স্থানীয় সস্তাপুর এলাকার বাসিন্দা ও পোশাক ব্যবসায়ী নাসিমুল তারেক মঈন বলেন, লিংক রোডটির সংস্কার শেষ না হওয়ায় এটি এক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। যানবাহন চলাচলের সময় ধুলায় গোটা এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। এ ছাড়া সড়কে নেই ফুটপাত। আর বাতি না থাকায় রাতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, ‘লিংক রোডের চাষাঢ়া থেকে শিবু মার্কেট অংশের অবস্থা খুবই করুণ। ভাঙা রাস্তা ও প্রচণ্ড ধুলায় বাসযাত্রীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। গর্ত-খানাখন্দক পেরিয়ে চলতে গিয়ে বাসগুলো যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়ছে। মূল্যবান যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছি আমরা। দ্রুত সড়কটির সংস্কার শেষ করা না হলে আমরা পরিবহনমালিকেরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।’
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহা প্রথম আলোকে বলেন, আট কিলোমিটার দীর্ঘ লিংক রোড চার লেনে উন্নীতকরণসহ বিভিন্ন কাজে ৬০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ হয়েছিল। ঠিকাদারের ১০ কোটি টাকার বিলের প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় তা পরিশোধ করা যায়নি। ফলে ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছেন। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত এই কাজ শেষ করা হবে।
আলাপকালে স্থানীয় সস্তাপুর এলাকার বাসিন্দা ও পোশাক ব্যবসায়ী নাসিমুল তারেক মঈন বলেন, লিংক রোডটির সংস্কার শেষ না হওয়ায় এটি এক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। যানবাহন চলাচলের সময় ধুলায় গোটা এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। এ ছাড়া সড়কে নেই ফুটপাত। আর বাতি না থাকায় রাতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, ‘লিংক রোডের চাষাঢ়া থেকে শিবু মার্কেট অংশের অবস্থা খুবই করুণ। ভাঙা রাস্তা ও প্রচণ্ড ধুলায় বাসযাত্রীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। গর্ত-খানাখন্দক পেরিয়ে চলতে গিয়ে বাসগুলো যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়ছে। মূল্যবান যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছি আমরা। দ্রুত সড়কটির সংস্কার শেষ করা না হলে আমরা পরিবহনমালিকেরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।’
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহা প্রথম আলোকে বলেন, আট কিলোমিটার দীর্ঘ লিংক রোড চার লেনে উন্নীতকরণসহ বিভিন্ন কাজে ৬০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ হয়েছিল। ঠিকাদারের ১০ কোটি টাকার বিলের প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় তা পরিশোধ করা যায়নি। ফলে ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছেন। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত এই কাজ শেষ করা হবে।
No comments