ডাচ্-বাংলা ব্যাংক—প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০১২-গণিত শিখে দেশবদলের অঙ্গীকার শিক্ষার্থীদের
ঘুমের ঘোর পুরো না কাটলেও তাদের চোখে-মুখে ছিল গণিত শেখার দৃপ্ত অঙ্গীকার। ‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’ শীর্ষক এ স্বপ্নযাত্রায় অংশ নিতে গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে হাজির হয়েছিল এই খুদে ও তরুণ শিক্ষার্থীদের দল। দশম ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত (ঢাকা-১ আঞ্চলিক) উৎসবে অংশ নেয় এক হাজার ১১৪ জন শিক্ষার্থী। সকাল নয়টায় গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ ভূঁইয়া জাতীয় পতাকা
উত্তোলন করে উৎসবের উদ্বোধন করেন। ওড়ানো হয় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকাও। যা এক ঘণ্টার গণিত পরীক্ষা শেষে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত চলে উৎসবের মূল পর্ব। সেরা ১০০ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
১৭টি আঞ্চলিক উৎসবের সেরা গণিতবিদদের নিয়ে আগামী ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় গণিত উৎসব, ২০১২ ও দশম বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড। তাদের মধ্যে সেরা কয়েকজন ২০১২ সালের জুলাই মাসে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে পারবে।
গণিত শিখে স্বপ্ন দেখা: গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ ভূঁইয়া উদ্বোধনী বক্তব্যে গণিতের জন্য ভালোবাসা নিয়ে বেড়ে ওঠার আহ্বান জানান উৎসবে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের।
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলেন, গণিত শেখার এ চর্চা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি তৈরি করবে; গণিত-দক্ষতা ও বিজ্ঞানমনস্কতা বাড়াবে। গণিত শিখে চারপাশের সমাজ ও বাংলাদেশকে বদলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ বলেন, ব্যাংক শুধু আর্থিক কার্যক্রম করবে, তা নয়; সামাজিক কার্যক্রমেও অংশ নেওয়া উচিত। এই খুদে গণিতবিদেরাই গড়ে তুলবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো।
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে পুরস্কার পাওয়া নাজিয়া চৌধুরীর মা জেসমিন আক্তার বলেন, ‘গণিত অলিম্পিয়াড এমন একটা জায়গা, যার কোনো স্বপ্ন থাকে না, সে-ও স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।’
এ সময় প্রথম আলোর উপসম্পাদক আনিসুল হক ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে পুরস্কার পাওয়া তারিক আদনানও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: সকালের পরীক্ষার পর গণিত উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ করেন প্রথম আলোর বন্ধুসভার সদস্যরা। গান-নাচ-আবৃত্তি দিয়ে সবাইকে মাতিয়ে দেন তাঁরা। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ‘ওয়াটার রকেট’ উৎক্ষেপণ ও রুবিকস কিউবের ধাঁধা মেলানোর প্রতিযোগিতা।
প্রশ্নোত্তর পর্ব: উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব ছিল খুদে গণিতবিদদের প্রশ্ন। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, গণিতবিদ অধ্যাপক খোদাদাদ খানসহ বেশ কয়েকজন গণিতবিদ।
গণিত মেলা: উৎসবস্থলে মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা বই নিয়ে একটি স্টল খোলা হয়। বিজ্ঞান একাডেমি ও বাংলা উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কও উৎসবে স্টল সাজিয়ে বসে। প্রথম আলোর প্রকাশনা সংস্থা ‘প্রথমা’র স্টলেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। বন্ধুসভার স্টলে ভিড় জমান বিভিন্ন প্রান্তের বন্ধুরা। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল অ্যান্ড হেলথ টেকনোলজির উদ্যোগে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার ব্যবস্থাও ছিল।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ: ‘আমরা করব জয়’ শীর্ষক উদ্দীপনামূলক গানের মাধ্যমে শুরু হয় সমাপনী পর্ব।
খুদে গণিতবিদদের উদ্দেশে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘গণিত শিখতে শিখতে একদিন সমাজকে বদলে দেবে তোমরা।’
অধ্যাপক খোদাদাদ খান বলেন, ‘গণিতকে একধরনের খেলা ভাবলেই দেখবে, গণিতভীতি বলতে কিছু থাকবে না।’
উৎসবের প্রাইমারি বিভাগে তৃতীয় হয়েছে পাঁচজন, দ্বিতীয় হয়েছে পাঁচজন ও প্রথম স্থান অর্জন করেছে ১০ জন। মতিঝিল মডেল স্কুলের ওয়াসিব জামিল ও রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মো. ফাহিম সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে।
জুনিয়র বিভাগে তৃতীয় হয়েছে ১৩ জন, দ্বিতীয় হয়েছে ১০ জন ও প্রথম হয়েছে সাতজন। সেকেন্ডারি বিভাগে তৃতীয় হয়েছে সাতজন, দ্বিতীয় হয়েছে সাতজন ও প্রথম হয়েছে ছয়জন। হায়ার সেকেন্ডারি বিভাগে তৃতীয় হয়েছে ১৩ জন, দ্বিতীয় হয়েছে আটজন ও প্রথম হয়েছে সাতজন।
১৭টি আঞ্চলিক উৎসবের সেরা গণিতবিদদের নিয়ে আগামী ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় গণিত উৎসব, ২০১২ ও দশম বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড। তাদের মধ্যে সেরা কয়েকজন ২০১২ সালের জুলাই মাসে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে পারবে।
গণিত শিখে স্বপ্ন দেখা: গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ ভূঁইয়া উদ্বোধনী বক্তব্যে গণিতের জন্য ভালোবাসা নিয়ে বেড়ে ওঠার আহ্বান জানান উৎসবে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের।
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলেন, গণিত শেখার এ চর্চা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি তৈরি করবে; গণিত-দক্ষতা ও বিজ্ঞানমনস্কতা বাড়াবে। গণিত শিখে চারপাশের সমাজ ও বাংলাদেশকে বদলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ বলেন, ব্যাংক শুধু আর্থিক কার্যক্রম করবে, তা নয়; সামাজিক কার্যক্রমেও অংশ নেওয়া উচিত। এই খুদে গণিতবিদেরাই গড়ে তুলবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো।
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে পুরস্কার পাওয়া নাজিয়া চৌধুরীর মা জেসমিন আক্তার বলেন, ‘গণিত অলিম্পিয়াড এমন একটা জায়গা, যার কোনো স্বপ্ন থাকে না, সে-ও স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।’
এ সময় প্রথম আলোর উপসম্পাদক আনিসুল হক ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে পুরস্কার পাওয়া তারিক আদনানও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: সকালের পরীক্ষার পর গণিত উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ করেন প্রথম আলোর বন্ধুসভার সদস্যরা। গান-নাচ-আবৃত্তি দিয়ে সবাইকে মাতিয়ে দেন তাঁরা। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ‘ওয়াটার রকেট’ উৎক্ষেপণ ও রুবিকস কিউবের ধাঁধা মেলানোর প্রতিযোগিতা।
প্রশ্নোত্তর পর্ব: উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব ছিল খুদে গণিতবিদদের প্রশ্ন। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, গণিতবিদ অধ্যাপক খোদাদাদ খানসহ বেশ কয়েকজন গণিতবিদ।
গণিত মেলা: উৎসবস্থলে মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা বই নিয়ে একটি স্টল খোলা হয়। বিজ্ঞান একাডেমি ও বাংলা উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কও উৎসবে স্টল সাজিয়ে বসে। প্রথম আলোর প্রকাশনা সংস্থা ‘প্রথমা’র স্টলেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। বন্ধুসভার স্টলে ভিড় জমান বিভিন্ন প্রান্তের বন্ধুরা। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল অ্যান্ড হেলথ টেকনোলজির উদ্যোগে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার ব্যবস্থাও ছিল।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ: ‘আমরা করব জয়’ শীর্ষক উদ্দীপনামূলক গানের মাধ্যমে শুরু হয় সমাপনী পর্ব।
খুদে গণিতবিদদের উদ্দেশে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘গণিত শিখতে শিখতে একদিন সমাজকে বদলে দেবে তোমরা।’
অধ্যাপক খোদাদাদ খান বলেন, ‘গণিতকে একধরনের খেলা ভাবলেই দেখবে, গণিতভীতি বলতে কিছু থাকবে না।’
উৎসবের প্রাইমারি বিভাগে তৃতীয় হয়েছে পাঁচজন, দ্বিতীয় হয়েছে পাঁচজন ও প্রথম স্থান অর্জন করেছে ১০ জন। মতিঝিল মডেল স্কুলের ওয়াসিব জামিল ও রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মো. ফাহিম সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে।
জুনিয়র বিভাগে তৃতীয় হয়েছে ১৩ জন, দ্বিতীয় হয়েছে ১০ জন ও প্রথম হয়েছে সাতজন। সেকেন্ডারি বিভাগে তৃতীয় হয়েছে সাতজন, দ্বিতীয় হয়েছে সাতজন ও প্রথম হয়েছে ছয়জন। হায়ার সেকেন্ডারি বিভাগে তৃতীয় হয়েছে ১৩ জন, দ্বিতীয় হয়েছে আটজন ও প্রথম হয়েছে সাতজন।
No comments