ফতুল্লায় জহুরুল-আলো
প্রিমিয়ার ক্রিকেটের প্রথম দিনই দর্শক দেখেছিল অঘটন। হেরে গিয়েছিল আবাহনী, মোহামেডানের মতো নামী দুটি দল। তাই দ্বিতীয় দিন কী চমক লুকিয়ে, সেটি দেখতে আগ্রহী ছিলেন অনেকেই। কিন্তু চমক নেই এদিন। তিনটি ম্যাচেরই ফল যা হওয়ার, তা-ই হয়েছে। শক্তির পরীক্ষা দিয়ে জয় তুলেছে ভিক্টোরিয়া, ওল্ড ডিওএইচএস ও ক্রিকেট কোচিং স্কুল (সিসিএস)। দ্বিতীয় দিনের সবচেয়ে বড় ম্যাচটি ছিল ফতুল্লায়, ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে বিমানের। ৩১১ রান করে ভিক্টোরিয়া
জিতেছে ২১ রানে। বোঝাই যাচ্ছে, ম্যাচটা ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঠাসা। ম্যাচটা নিয়ে বিশেষ কৌতূহল ছিল, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল কী করেন! শেষ মুহূর্তে এবার মোহামেডান ছেড়ে ভিক্টোরিয়ায় এসেছেন জাতীয় দলের এই দুই তারকা। এবং তা মোহামেডানের ক্রিকেট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান লুৎ ফুর রহমানের (বাদল) হাত ধরে। লুৎ ফুর রহমান নেপালে থাকায় তিনি ম্যাচটা দেখতে পারেননি। তবে ম্যাচের খবরাখরব মুঠোফোনে তাঁর কাছে পৌঁছেছে কিছু সময় পরপর। আরেকটা ব্যাপার ছিল লক্ষণীয়, মোহামেডানের চেনা কিছু মুখ ভিক্টোরিয়াকে সমর্থন দিয়ে গেছেন পুরোটা সময়।
নতুন ক্লাবে অভিষেকটা ভালোই হয়েছে তামিমের। ব্যাট হাতে খারাপ সময়কে পেছনে ফেলার ইঙ্গিত দিয়ে করেছেন ৯৬ বলে ৭৪ রান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের অবশ্য গড়পরতা একটা দিনই গেছে। ব্যাট হাতে ৬ বলে ১২ আর ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১ উইকেট।
ম্যাচের নায়ক এই দুজনের কেউ নন। জাতীয় লিগের সর্বশেষ ম্যাচে রাজশাহীর হয়ে ১৬৭ রান করা জহুরুল ইসলাম সেঞ্চুরি করে আলোটা টেনে নিয়েছেন নিজের ওপর। ভিক্টোরিয়ার হয়ে ১০৫ রান করে হয়েছেন এবারের লিগের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান। তবে সত্তরের ঘরে একবার ক্যাচ তুলেও বেঁচেছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ব্যাটসম্যান। তামিমের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১১৯ রান যোগ করা এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের ১১৩ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ২টি ছক্কা। সঙ্গে দুই পাকিস্তানি আহমেদ শেহজাদ (৩৩) ও কামরান সাজিদের (৩৯ বলে ৫৭) দুটি ইনিংসেই ৩০০ পেরোয় ভিক্টোরিয়া।
বিমানের টেকঅফটা হয়েছিল দারুণ। উদ্বোধনী জুটিতে ১৫৮ রান করে বিমানকে গন্তব্যেই রেখেছিলেন অভিষেক মিত্র (৮৪) ও জুনায়েদ সিদ্দিক (৭১)। পরপর দুই ওভারে এই দুজন আউট হয়ে যাওয়ার পরই পথ হারাল বিমান। এমন সময়ই উইকেটে জাভেদ ওমর, ছয় নম্বরে নেমে ৫৪ বলে করেছেন স্বভাববিরুদ্ধ ৬৪ রান, যার মধ্যে ছিল ৩৮তম ওভারে সাকিব আল হাসানকে পরপর দুই বলে মারা ১টি চার ও ১টি ছয়।
ওদিকে বিকেএসপিতে ৫ উইকেটে জিতেছে মোহাম্মদ আশরাফুলের ওল্ড ডিওএইচএস। সূর্যতরুণের ১৮৯ রান টপকাতে ৪৬ ওভার খেলতে হয়েছে ডিওএইচএসকে। পুরো ম্যাচে দুটি ফিফটি, তা-ও এসেছে দুই পাকিস্তানির কল্যাণে। সূর্যতরুণের খুররম মনজুর (৭১) ও ডিওএইচএসের নাসির জামশেদ (৮৪)।
মিরপুরে ২০৪ রান করেও ৩৮ রানে জিতেছে সিসিএস। ৮৯ রানেই ৬ উইকেট হারানো দলটি ২০০ পেরোয় সপ্তম উইকেটে জুবায়ের আহমেদ (৫২) ও সুলেমান খানের (৬৭) ৯৮ রানের জুটিতে। এরপর বাঁহতি স্পিনেও ৪ উইকেট নিয়েছেন সুলেমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভিক্টোরিয়া-বিমান
ভিক্টোরিয়া: ৫০ ওভারে ৩১১/৭ (জহুরুল ১০৫, তামিম ৭৪, কামরান সাজিদ ৫৭, আহমেদ শেহজাদ ৩৩; শহীদ ৩/৬৬, ফাওয়াদ ২/৫১)। বিমান: ৫০ ওভারে ২৯০/৯ (অভিষেক ৮৪, জুনায়েদ ৭১, জাভেদ ৬৪; মোশাররফ ৩/৪৭, আল আমিন ২/৭১)।
ফল: ভিক্টোরিয়া ২১ রানে জয়ী।
কলাবাগান-সিসিএস
সিসিএস: ৪৭.৫ ওভারে ২০৪ (সুলেমান ৬৭, জুবায়ের ৫২; শাহাদাত ৩/৫৫, রিফাতউল্লাহ ২/১৮, সোহাগ ২/৪৩)। কলাবাগান: ৪৭.৫ ওভারে ১৬৬ (রিফাতউল্লাহ ৪৯, আবিদ আলী ৩৬; সুলেমান ৪/১৮, রবিউল ২/৩১, রশিদ ২/৩৩)। ফল: সিসিএস ৩৮ রানে জয়ী।
ওল্ড ডিওএইচএস-সূর্যতরুণ
সূর্যতরুণ: ৪৯.৪ ওভারে ১৮৯ (খুররম মনজুর ৭১, তায়েমুর ৩৪, জুপিটার ২৬; এনামুল ৩/১৯, জোহাইব ২/২৫, শরীফ ২/২৭, আশরাফুল ২/৩০)। ওল্ড ডিওএইচএস: ৪৫ ওভারে ১৯০/৫ (নাসির জামশেদ ৮৪, তানভীর ৩৪, আশরাফুল ২৭; ফয়সাল ২১, শফিউল ২/৩৪)।
ফল: ওল্ড ডিওএইচএস ৫ উইকেটে জয়ী।
নতুন ক্লাবে অভিষেকটা ভালোই হয়েছে তামিমের। ব্যাট হাতে খারাপ সময়কে পেছনে ফেলার ইঙ্গিত দিয়ে করেছেন ৯৬ বলে ৭৪ রান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের অবশ্য গড়পরতা একটা দিনই গেছে। ব্যাট হাতে ৬ বলে ১২ আর ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১ উইকেট।
ম্যাচের নায়ক এই দুজনের কেউ নন। জাতীয় লিগের সর্বশেষ ম্যাচে রাজশাহীর হয়ে ১৬৭ রান করা জহুরুল ইসলাম সেঞ্চুরি করে আলোটা টেনে নিয়েছেন নিজের ওপর। ভিক্টোরিয়ার হয়ে ১০৫ রান করে হয়েছেন এবারের লিগের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান। তবে সত্তরের ঘরে একবার ক্যাচ তুলেও বেঁচেছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ব্যাটসম্যান। তামিমের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১১৯ রান যোগ করা এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের ১১৩ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ২টি ছক্কা। সঙ্গে দুই পাকিস্তানি আহমেদ শেহজাদ (৩৩) ও কামরান সাজিদের (৩৯ বলে ৫৭) দুটি ইনিংসেই ৩০০ পেরোয় ভিক্টোরিয়া।
বিমানের টেকঅফটা হয়েছিল দারুণ। উদ্বোধনী জুটিতে ১৫৮ রান করে বিমানকে গন্তব্যেই রেখেছিলেন অভিষেক মিত্র (৮৪) ও জুনায়েদ সিদ্দিক (৭১)। পরপর দুই ওভারে এই দুজন আউট হয়ে যাওয়ার পরই পথ হারাল বিমান। এমন সময়ই উইকেটে জাভেদ ওমর, ছয় নম্বরে নেমে ৫৪ বলে করেছেন স্বভাববিরুদ্ধ ৬৪ রান, যার মধ্যে ছিল ৩৮তম ওভারে সাকিব আল হাসানকে পরপর দুই বলে মারা ১টি চার ও ১টি ছয়।
ওদিকে বিকেএসপিতে ৫ উইকেটে জিতেছে মোহাম্মদ আশরাফুলের ওল্ড ডিওএইচএস। সূর্যতরুণের ১৮৯ রান টপকাতে ৪৬ ওভার খেলতে হয়েছে ডিওএইচএসকে। পুরো ম্যাচে দুটি ফিফটি, তা-ও এসেছে দুই পাকিস্তানির কল্যাণে। সূর্যতরুণের খুররম মনজুর (৭১) ও ডিওএইচএসের নাসির জামশেদ (৮৪)।
মিরপুরে ২০৪ রান করেও ৩৮ রানে জিতেছে সিসিএস। ৮৯ রানেই ৬ উইকেট হারানো দলটি ২০০ পেরোয় সপ্তম উইকেটে জুবায়ের আহমেদ (৫২) ও সুলেমান খানের (৬৭) ৯৮ রানের জুটিতে। এরপর বাঁহতি স্পিনেও ৪ উইকেট নিয়েছেন সুলেমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভিক্টোরিয়া-বিমান
ভিক্টোরিয়া: ৫০ ওভারে ৩১১/৭ (জহুরুল ১০৫, তামিম ৭৪, কামরান সাজিদ ৫৭, আহমেদ শেহজাদ ৩৩; শহীদ ৩/৬৬, ফাওয়াদ ২/৫১)। বিমান: ৫০ ওভারে ২৯০/৯ (অভিষেক ৮৪, জুনায়েদ ৭১, জাভেদ ৬৪; মোশাররফ ৩/৪৭, আল আমিন ২/৭১)।
ফল: ভিক্টোরিয়া ২১ রানে জয়ী।
কলাবাগান-সিসিএস
সিসিএস: ৪৭.৫ ওভারে ২০৪ (সুলেমান ৬৭, জুবায়ের ৫২; শাহাদাত ৩/৫৫, রিফাতউল্লাহ ২/১৮, সোহাগ ২/৪৩)। কলাবাগান: ৪৭.৫ ওভারে ১৬৬ (রিফাতউল্লাহ ৪৯, আবিদ আলী ৩৬; সুলেমান ৪/১৮, রবিউল ২/৩১, রশিদ ২/৩৩)। ফল: সিসিএস ৩৮ রানে জয়ী।
ওল্ড ডিওএইচএস-সূর্যতরুণ
সূর্যতরুণ: ৪৯.৪ ওভারে ১৮৯ (খুররম মনজুর ৭১, তায়েমুর ৩৪, জুপিটার ২৬; এনামুল ৩/১৯, জোহাইব ২/২৫, শরীফ ২/২৭, আশরাফুল ২/৩০)। ওল্ড ডিওএইচএস: ৪৫ ওভারে ১৯০/৫ (নাসির জামশেদ ৮৪, তানভীর ৩৪, আশরাফুল ২৭; ফয়সাল ২১, শফিউল ২/৩৪)।
ফল: ওল্ড ডিওএইচএস ৫ উইকেটে জয়ী।
No comments