গোল্ডেন বয় সাইখ by মাহবুব সরকার
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি... তিন দিনের আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকসে প্রথমবারের মতো বাজলো জাতীয় সঙ্গীতের আবেগী সুর। ব্রোঞ্জ আর রৌপ্য পদকের সান্ত্বনায় দু'দিন কাটানোর পর চূড়ান্ত দিনে আশার প্রদীপ জ্বেলে রেখেছিলেন সাইখ সিজার। পৌষের হিমেল সন্ধ্যায় সে প্রদীপে আলোকিত হয়েছে মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম। প্যারালাল বারস (সরু দুটি লাঠির ওপর শারীরিক কসরত প্রদর্শন) ইভেন্টে ১৪.৬ স্কোর করে স্বর্ণ জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী
বাংলাদেশি সাইখ। ভল্টিং টেবিল ইভেন্টের রৌপ্যের সঙ্গে ফ্লোর এক্সারসাইজে ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি। সমাপনী দিনে মহিলা বিভাগও হতাশ করেনি। ভল্টিং ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন স্বাগতিক সাথী আক্তার। তার আগে মহিলাদের দলগত ইভেন্টে একটি রৌপ্য পদক এসেছে।
জাতীয় সঙ্গীত বাজার আগে মিরপুর ইনডোরে সুনসান নীরবতা, সঙ্গীত শেষে 'বাংলাদেশ, বাংলাদেশ' ধ্বনি। আবেগের জোয়ারে গা ভাসানো পিতা সিজার আহমেদ স্বর্ণজয়ী সন্তানকে কাঁধে নিয়ে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করলেন। এরপর চিরাচরিত সে দৃশ্য_ জাতীয় পতাকা জড়িয়ে দর্শকদের অভিনন্দনের জবাব দিচ্ছেন আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা অ্যাথলেট। ১৯৮৬ সালে প্রবাসে পাড়ি জমানো সিজার আহমেদের পরিবারের সদস্যরা ঢাকার বাসিন্দা। সমাপনী দিনে গ্যালারিতে ঢেউ তোলা দর্শকসারিতে তাদের উপস্থিতি বাড়তি উম্মাদনা যোগ করেছিল।
জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ফ্লোরিডায়। ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতায় খেলছেন সাইখ। 'দেশের হয়ে খেলতে পারাটা গর্বের'_ বলেছেন স্বর্ণজয়ী এ জিমন্যাস্ট। ভবিষ্যতে দেশের হয়ে খেলার ডাক পড়লে কী করবেন? সোজা উত্তর_ 'সাড়া না দেওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।' এখানেই থেমে যাননি, সঙ্গে যুক্ত করেন, 'যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও আন্তর্জাতিক আসরগুলো বাংলাদেশের হয়েই খেলতে চাই। কেবল অংশগ্রহণই নয়, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে দেশকে স্বর্ণপদক এনে দিতে চাই!'
সম্ভাবনাময় এ জিমন্যাস্টকে বৃত্তি দিয়ে আসছিল মিশিগান ইউনিভার্সিটি। সাইখের বাবা সিজার আহমেদের দাবি_ এ প্রতিযোগিতায় খেলতে আসার কারণে বৃত্তি বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে খরচের খাতায় অতিরিক্ত ৫৩ হাজার ডলার যুক্ত হচ্ছে, স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৮ লাখ টাকা। তাতে অবশ্য আক্ষেপ নেই প্রবাসী সিজার আহমেদের। 'কর্ম ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রম দিয়ে ঘাটতিটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। দেশের বিষয়টি সবকিছুর ঊধর্ে্ব। তাই বৃত্তি বাতিল করায় কোনো আফসোস নেই'_ বলেছেন তিনি। অন্যান্য প্রতিযোগী একটি বা দুটি ইভেন্টে খেলেছেন। সাইখ খেলেছেন ৬টিতে। যে কারণে অতিরিক্ত চাপ নিতে হয়েছে। সিজার আহমেদ বলেছেন, 'অতিরিক্ত চাপ নেওয়ার কারণে অন্য ইভেন্টে বড় সাফল্য আসেনি।' মহিলাদের ভল্টিংয়ে ১১.০১ স্কোর করে ব্রোঞ্জ জয় করেছেন সাথী আক্তার। ইন্দো-বাংলা গেমসেও একই পদক ছিল এ টিনেজারের। দুটোর মধ্যে ছয় দেশের সদ্য সমাপ্ত আসরটিকে এগিয়ে রাখছেন নারায়ণগঞ্জের এ জিমন্যাস্ট। পদক জয়ের পর সাথী বলেছেন, 'জিমন্যাস্টিকস শুরুর পর থেকেই অলিম্পিক খেলার স্বপ্ন দেখছি! তা বাস্তবায়ন কঠিন, তবে আমি কিন্তু আত্মবিশ্বাসী। নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছি।' স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম আন্তর্জাতিক জমকালো আয়োজনে বাংলাদেশের অর্জন নেহায়েত খারাপ নয়। একটি স্বর্ণ, দুটি রৌপ্যের সঙ্গে আছে তিন ব্রোঞ্জ।
জাতীয় সঙ্গীত বাজার আগে মিরপুর ইনডোরে সুনসান নীরবতা, সঙ্গীত শেষে 'বাংলাদেশ, বাংলাদেশ' ধ্বনি। আবেগের জোয়ারে গা ভাসানো পিতা সিজার আহমেদ স্বর্ণজয়ী সন্তানকে কাঁধে নিয়ে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করলেন। এরপর চিরাচরিত সে দৃশ্য_ জাতীয় পতাকা জড়িয়ে দর্শকদের অভিনন্দনের জবাব দিচ্ছেন আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা অ্যাথলেট। ১৯৮৬ সালে প্রবাসে পাড়ি জমানো সিজার আহমেদের পরিবারের সদস্যরা ঢাকার বাসিন্দা। সমাপনী দিনে গ্যালারিতে ঢেউ তোলা দর্শকসারিতে তাদের উপস্থিতি বাড়তি উম্মাদনা যোগ করেছিল।
জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ফ্লোরিডায়। ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতায় খেলছেন সাইখ। 'দেশের হয়ে খেলতে পারাটা গর্বের'_ বলেছেন স্বর্ণজয়ী এ জিমন্যাস্ট। ভবিষ্যতে দেশের হয়ে খেলার ডাক পড়লে কী করবেন? সোজা উত্তর_ 'সাড়া না দেওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।' এখানেই থেমে যাননি, সঙ্গে যুক্ত করেন, 'যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও আন্তর্জাতিক আসরগুলো বাংলাদেশের হয়েই খেলতে চাই। কেবল অংশগ্রহণই নয়, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে দেশকে স্বর্ণপদক এনে দিতে চাই!'
সম্ভাবনাময় এ জিমন্যাস্টকে বৃত্তি দিয়ে আসছিল মিশিগান ইউনিভার্সিটি। সাইখের বাবা সিজার আহমেদের দাবি_ এ প্রতিযোগিতায় খেলতে আসার কারণে বৃত্তি বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে খরচের খাতায় অতিরিক্ত ৫৩ হাজার ডলার যুক্ত হচ্ছে, স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৮ লাখ টাকা। তাতে অবশ্য আক্ষেপ নেই প্রবাসী সিজার আহমেদের। 'কর্ম ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রম দিয়ে ঘাটতিটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। দেশের বিষয়টি সবকিছুর ঊধর্ে্ব। তাই বৃত্তি বাতিল করায় কোনো আফসোস নেই'_ বলেছেন তিনি। অন্যান্য প্রতিযোগী একটি বা দুটি ইভেন্টে খেলেছেন। সাইখ খেলেছেন ৬টিতে। যে কারণে অতিরিক্ত চাপ নিতে হয়েছে। সিজার আহমেদ বলেছেন, 'অতিরিক্ত চাপ নেওয়ার কারণে অন্য ইভেন্টে বড় সাফল্য আসেনি।' মহিলাদের ভল্টিংয়ে ১১.০১ স্কোর করে ব্রোঞ্জ জয় করেছেন সাথী আক্তার। ইন্দো-বাংলা গেমসেও একই পদক ছিল এ টিনেজারের। দুটোর মধ্যে ছয় দেশের সদ্য সমাপ্ত আসরটিকে এগিয়ে রাখছেন নারায়ণগঞ্জের এ জিমন্যাস্ট। পদক জয়ের পর সাথী বলেছেন, 'জিমন্যাস্টিকস শুরুর পর থেকেই অলিম্পিক খেলার স্বপ্ন দেখছি! তা বাস্তবায়ন কঠিন, তবে আমি কিন্তু আত্মবিশ্বাসী। নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছি।' স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম আন্তর্জাতিক জমকালো আয়োজনে বাংলাদেশের অর্জন নেহায়েত খারাপ নয়। একটি স্বর্ণ, দুটি রৌপ্যের সঙ্গে আছে তিন ব্রোঞ্জ।
No comments