‘৪০ বছরেও নারী-পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি’
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৪০ বছরেও নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গত আড়াই দশক ধরে দেশের শীর্ষস্থান যে দুজন নারী ধরে রেখেছেন, তারাও সম্পত্তির অধিকারে সমান অধিকার পাননি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা এবং বাস্তবতার কাছে তাঁরাও জিম্মি। আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিজঅ্যাবেল্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন (ডিআরআরএ) আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী নারীর অবস্থা, অবস্থান ও অধিকার
বিষয়ক’ গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নারীকণ্ঠ উন্নয়ন সংস্থার সম্পাদিকা অষ্টমী মালো।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শতকরা ১০ ভাগ মানুষ প্রতিবন্ধী। সে হিসেবে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা এক কোটি ৫০ লাখ। আর এদের মধ্যে নারী প্রতিবন্ধীর সংখ্যা কত? তার কোনো জরিপ গত ৪০ বছরে করা হয়নি। দারিদ্র্য ও প্রতিবন্ধিতা—দুই মিলে এসব প্রতিবন্ধী নারীদের অধিকার পাওয়ার বা এর দাবি করার কোনো অবস্থান নেই।
বৈঠকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, গত ৪০ বছরের অর্জনের মধ্যেও কালো দাগের কমতি নেই। কারণ, আজও পরিবর্তন হয়নি পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির। আর সমাজে আমরা সবাই ‘বিবেক প্রতিবন্ধী’। কারণ, প্রতিবন্ধী মানুষগুলোর হাত-পায়ের মতো আমাদের বিবেক কোনো কাজ করে না। তিনি সবগুলো নারী সংগঠনকে একত্র হয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘মহিলা পরিষদের কাছে আপনাদের পরামর্শ ও সুপারিশ এবং বিভিন্ন ধরনের সংবেদনশীল/স্পর্শকাতর মামলাগুলোর নম্বর দেন। আমরা এগুলো সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।’
ডিজঅ্যাবিলিটি রাইটস ওয়াচ গ্রুপের আহ্বায়ক কাজী রোজী বলেন, সরকারের অনেক আইন রয়েছে। কিন্তু তার কোনো বাস্তবায়ন নেই। আর দেশের সমগ্র নারীসমাজ যেখানে অবহেলিত, সেখানে প্রতিবন্ধী নারীদের অবস্থা কতটুকু ভয়াবহ—তা সহজেই অনুমান করা যায়। আর এর মধ্যে কোনো নারী শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হলে, তাঁর বিচার সে পাবে, সেটা আশা করা আরেকটি ভুল।
অ্যাকশন এইডের প্রতিনিধি রাবেয়া সুলতানা নিজ কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ভিডিএফ/ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে এই যুগেও ওই নারীদের রাতের অন্ধকারে চেয়ারম্যানের সঙ্গে সমঝোতা করতে হয়।
বৈঠকে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজরানা ইয়াসমিনসহ দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে আসা প্রতিবন্ধী নারীরা অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শতকরা ১০ ভাগ মানুষ প্রতিবন্ধী। সে হিসেবে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা এক কোটি ৫০ লাখ। আর এদের মধ্যে নারী প্রতিবন্ধীর সংখ্যা কত? তার কোনো জরিপ গত ৪০ বছরে করা হয়নি। দারিদ্র্য ও প্রতিবন্ধিতা—দুই মিলে এসব প্রতিবন্ধী নারীদের অধিকার পাওয়ার বা এর দাবি করার কোনো অবস্থান নেই।
বৈঠকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, গত ৪০ বছরের অর্জনের মধ্যেও কালো দাগের কমতি নেই। কারণ, আজও পরিবর্তন হয়নি পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির। আর সমাজে আমরা সবাই ‘বিবেক প্রতিবন্ধী’। কারণ, প্রতিবন্ধী মানুষগুলোর হাত-পায়ের মতো আমাদের বিবেক কোনো কাজ করে না। তিনি সবগুলো নারী সংগঠনকে একত্র হয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘মহিলা পরিষদের কাছে আপনাদের পরামর্শ ও সুপারিশ এবং বিভিন্ন ধরনের সংবেদনশীল/স্পর্শকাতর মামলাগুলোর নম্বর দেন। আমরা এগুলো সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।’
ডিজঅ্যাবিলিটি রাইটস ওয়াচ গ্রুপের আহ্বায়ক কাজী রোজী বলেন, সরকারের অনেক আইন রয়েছে। কিন্তু তার কোনো বাস্তবায়ন নেই। আর দেশের সমগ্র নারীসমাজ যেখানে অবহেলিত, সেখানে প্রতিবন্ধী নারীদের অবস্থা কতটুকু ভয়াবহ—তা সহজেই অনুমান করা যায়। আর এর মধ্যে কোনো নারী শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হলে, তাঁর বিচার সে পাবে, সেটা আশা করা আরেকটি ভুল।
অ্যাকশন এইডের প্রতিনিধি রাবেয়া সুলতানা নিজ কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ভিডিএফ/ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে এই যুগেও ওই নারীদের রাতের অন্ধকারে চেয়ারম্যানের সঙ্গে সমঝোতা করতে হয়।
বৈঠকে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজরানা ইয়াসমিনসহ দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে আসা প্রতিবন্ধী নারীরা অংশ নেন।
No comments