কিছুটা কমেছে মূল্যস্ফীতি-খাদ্য-বহির্ভূত পণ্যের দাম বেড়েছে by নাজমুল আলম শিশির
সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে ০.৫৫ শতাংশ। তবে এখনো তা দুই অঙ্কের ঘরেই রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে অক্টোবর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার ১১.৪২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে এই হার ছিল ১১.৯৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের তুলনায় গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও খাদ্য-বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে গেছে।
অবশ্য শহরের চেয়ে গ্রামে খাদ্য ও খাদ্য-বহির্ভূত উভয় পণ্যের দামই কম রয়েছে বলে সরকারি পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠানটি জানায়।অক্টোবর মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২.৮২ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ১৩.৭৫ শতাংশ। আর খাদ্য-বহির্ভূত পণ্যে এ হার ৯.০৫ শতাংশ, যা আগের মাসের তুলনায় ০.২৮ শতাংশ বেশি। গ্রামে মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা কমেছে। সেপ্টেম্বরে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১.৮৫ শতাংশ, যা গত মাসে নেমেছে ১১.০১ শতাংশে। তবে শহরে এ হার .১৮ শতাংশ বেড়েছে। অক্টোবর মাসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গ্রামের চেয়ে শহরে খাবারের দাম কিছুটা বেশি। শহরে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১৪.৮৭ শতাংশ হলেও গ্রামাঞ্চলে এই হার ১১.৯৪ শতাংশ।
খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি। খাদ্য-বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি অক্টোবর মাসে শহরে ছিল ৯.১৭ শতাংশ আর গ্রামে ৯.০৫ শতাংশ।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন অন্বেষণের চেয়ারপার্সন রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, তা এখনো ডবল ডিজিটেই রয়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতির সমস্যাগুলো থেকেই যাবে। এতে মানি সাপ্লাইয়ে সমস্যা দেখা দেবে। সংকোচনশীল মুদ্রানীতির কারণে সুদের হার বেড়ে যাবে। ফলে বিনিয়োগ কমবে। সে কারণে আশানুরূপ প্রবৃদ্ধি হবে না। মূল্যস্ফীতির ফলে নিম্নআয়ের মানুষই বেশি সমস্যায় পড়ে, সে জন্য সরকার সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। কিন্তু তাতে মূল্যস্ফীতি থেকে পরিত্রাণ ঘটবে না বলে মনে করেন রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশে বেকারত্বের হার অনেক বেশি। আর যার সম্পদ নেই, সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে সে আরো দরিদ্র হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য এই গবেষক উৎপাদন, জোগান এবং আয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি। খাদ্য-বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি অক্টোবর মাসে শহরে ছিল ৯.১৭ শতাংশ আর গ্রামে ৯.০৫ শতাংশ।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন অন্বেষণের চেয়ারপার্সন রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, তা এখনো ডবল ডিজিটেই রয়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতির সমস্যাগুলো থেকেই যাবে। এতে মানি সাপ্লাইয়ে সমস্যা দেখা দেবে। সংকোচনশীল মুদ্রানীতির কারণে সুদের হার বেড়ে যাবে। ফলে বিনিয়োগ কমবে। সে কারণে আশানুরূপ প্রবৃদ্ধি হবে না। মূল্যস্ফীতির ফলে নিম্নআয়ের মানুষই বেশি সমস্যায় পড়ে, সে জন্য সরকার সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। কিন্তু তাতে মূল্যস্ফীতি থেকে পরিত্রাণ ঘটবে না বলে মনে করেন রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশে বেকারত্বের হার অনেক বেশি। আর যার সম্পদ নেই, সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে সে আরো দরিদ্র হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য এই গবেষক উৎপাদন, জোগান এবং আয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
No comments