আশিয়ান সিটির ভূমি আগ্রাসন-বসতভিটা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের
নিজেদের ভিটেমাটি রক্ষার প্রচেষ্টা, প্রশাসনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের জমি দখলে রাখতে ভূমি রক্ষা কৃষক কমিটির ব্যানারে নারায়ণগঞ্জের কয়েতপাড়া ও রূপগঞ্জের সাধারণ নিরীহ জনগণ শনিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছিল। তারা দাবি করেছে, আশিয়ান সিটির 'শীতলছায়া' প্রকল্পসহ বিভিন্ন ডেভেলপার কম্পানির নামে-বেনামে জমি দখল, মাটি ও বালু ভরাটের মাধ্যমে কৃষিজমি বিনষ্ট, কেনা জমি ছাড়া জোর করে অন্যের জমি ভরাট
করাসহ বিভিন্ন অন্যায় আচরণ বন্ধ করতে হবে। তারা গরিবের ভিটা ও কৃষিজমি রক্ষারও জোর দাবি জানিয়েছে। তবে এ কথা বলতেও তারা ভুলে যায়নি যে সরকার ব্যবস্থা না নিলে তারা হরতালের কর্মসূচি দেবে এবং জীবন দিয়ে হলেও তারা নিজেদের ভিটেমাটি রক্ষা করবে। সুনির্দিষ্টভাবেই সমবেত নারী-পুরুষরা বলেছেন, আশিয়ান হোমস লিমিটেড এবং শীতলছায়া প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা তথাকথিত গণকমিশন বসিয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে জমি রেজিস্ট্রি করে নিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান নিরীহ কৃষকদের ভুলিয়ে ভালিয়ে এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে পাঁচ বিঘা জমি কিনে ৫০০ বিঘার ওপর সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন।
এসব সাধারণ নাগরিক যে ব্যানারেই প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হয়ে থাকুক না কেন, তাদের দাবিটি অত্যন্ত ন্যায্য একটি দাবি। কেউ বা কোনো প্রতিষ্ঠান যদি মানুষের বসতবাটি পর্যন্ত গ্রাস করে নিতে চায়, তা সাধারণ মানুষ বরদাশত করবে না_সেটাই স্বাভাবিক। সরকারের অননুমোদিত প্রকল্পগুলোতে ভরাটকাজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে আদালতের নির্দেশ রয়েছে। আর যেসব প্রকল্প অনুমোদিত, সেখানেও জমি ভরাটের ক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা রয়েছে। আমরা লক্ষ করেছি, ২০১০ সালের জুলাই মাসে মাননীয় আদালত এক নির্দেশের মাধ্যমে প্লট বিক্রয়ের বিজ্ঞাপনসহ সব ধরনের ভরাটকাজ বন্ধ রাখতে অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেওয়ার পরও অনেক প্রতিষ্ঠান তা উপেক্ষা করেছে। পরিলক্ষিত হচ্ছে, এক ধরনের ভূমি ব্যবসায়ীরা আইন বা নৈতিকতা কোনোটারই তোয়াক্কা করছেন না। দেশের জনগণের কল্যাণে এবং আবাসন শিল্পে একটি স্থির, শৃঙ্খলা আনয়ন এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়মকানুন উপেক্ষা করছে এবং কোনো নীতিমালা মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে আবাসন সংগঠন এবং সরকারের কঠোর অবস্থান নেওয়া এখনই জরুরি। আবাসন শিল্পের সঙ্গে যেসব ব্যবসায়ী জড়িত, তাঁদের অনেকেরই রয়েছে ব্যবসায়ী মনোভাব এবং উজ্জ্বল ভাবমূর্তি। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠানের জন্য গোটা আবাসন শিল্প সাধারণ জনগণের কাছে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপিত হোক_এটা মোটেই কাম্য নয়। শুধুু রূপগঞ্জেই নয়, ওই অঞ্চলসহ অন্য যেসব এলাকায় আবাসন ব্যবসায়ীদের মধ্যে মানুষের কাছ থেকে জমি কেড়ে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সেসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।
এসব সাধারণ নাগরিক যে ব্যানারেই প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হয়ে থাকুক না কেন, তাদের দাবিটি অত্যন্ত ন্যায্য একটি দাবি। কেউ বা কোনো প্রতিষ্ঠান যদি মানুষের বসতবাটি পর্যন্ত গ্রাস করে নিতে চায়, তা সাধারণ মানুষ বরদাশত করবে না_সেটাই স্বাভাবিক। সরকারের অননুমোদিত প্রকল্পগুলোতে ভরাটকাজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে আদালতের নির্দেশ রয়েছে। আর যেসব প্রকল্প অনুমোদিত, সেখানেও জমি ভরাটের ক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা রয়েছে। আমরা লক্ষ করেছি, ২০১০ সালের জুলাই মাসে মাননীয় আদালত এক নির্দেশের মাধ্যমে প্লট বিক্রয়ের বিজ্ঞাপনসহ সব ধরনের ভরাটকাজ বন্ধ রাখতে অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেওয়ার পরও অনেক প্রতিষ্ঠান তা উপেক্ষা করেছে। পরিলক্ষিত হচ্ছে, এক ধরনের ভূমি ব্যবসায়ীরা আইন বা নৈতিকতা কোনোটারই তোয়াক্কা করছেন না। দেশের জনগণের কল্যাণে এবং আবাসন শিল্পে একটি স্থির, শৃঙ্খলা আনয়ন এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়মকানুন উপেক্ষা করছে এবং কোনো নীতিমালা মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে আবাসন সংগঠন এবং সরকারের কঠোর অবস্থান নেওয়া এখনই জরুরি। আবাসন শিল্পের সঙ্গে যেসব ব্যবসায়ী জড়িত, তাঁদের অনেকেরই রয়েছে ব্যবসায়ী মনোভাব এবং উজ্জ্বল ভাবমূর্তি। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠানের জন্য গোটা আবাসন শিল্প সাধারণ জনগণের কাছে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপিত হোক_এটা মোটেই কাম্য নয়। শুধুু রূপগঞ্জেই নয়, ওই অঞ্চলসহ অন্য যেসব এলাকায় আবাসন ব্যবসায়ীদের মধ্যে মানুষের কাছ থেকে জমি কেড়ে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সেসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।
No comments