জামালপুরে শিশুসহ মা-বাবাকে হত্যা-কলেজপড়ুয়া ছেলে গ্রেপ্তার
জামালপুরে নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছেন স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের অবুঝ শিশুসন্তান। এদের মধ্যে স্বামী ফেরদৌস হোসেনকে জবাই করা হয়েছে। স্ত্রী রত্না ও শিশু প্রণয়কে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে গতকাল সকালের মাঝামাঝি কোনো একসময়ে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ফেরদৌস হোসেনের প্রথম স্ত্রীর পক্ষের কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও
পারিবারিক একাধিক সূত্র জানায়, ফেরদৌস হোসেনের বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চর পাকেরদহ ইউনিয়নের চরনগর গ্রামে। তিনি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের অডিটর পদে চাকরি করতেন। তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী মনোয়ারা বেগম থাকেন মাদারগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে সম্প্রতি তালাক দিয়েছেন। তিন বছর আগে তৃতীয়বার বিয়ে করেন শেরপুর জেলা শহরের বাগরাকসা এলাকার মাসুদ মিয়ার মেয়ে বন্যা ওরফে রত্না বেগমকে। তৃতীয় স্ত্রী রত্না, তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে প্রণয় ও প্রথম পক্ষের ছেলে নিপুণকে নিয়ে ফেরদৌস জামালপুর শহরের চালাপাড়ায় নিজ বাসায় থাকতেন। নিপুণ শহরের শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজে এইচএসসিতে পড়ে।
একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে নিপুণ মায়ের সঙ্গে দেখা করতে মাদারগঞ্জে চলে যায়। বাসায় ছিলেন ফেরদৌস, রত্না ও প্রণয়। রত্নার মা মাবিয়া জানান, শনিবার বিকেলে তিনি মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি নাতি প্রণয়ের সঙ্গেও কথা বলেন। তিনি নিশ্চিত করে বলেন, তাঁর মেয়েজামাই ওই দিন বিকেলে বাসায়ই ছিলেন। পরদিন গতকাল রবিবার সকাল ৮টায় ফোন করে তিনি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে শেরপুর থেকে জামালপুরে চলে আসেন। সকাল ১০টায় তিনি জামাইয়ের বাসায় আসার পর ঘটনা জানাজানি হয়।
শহরের চালাপাড়ার নিজ বাসার বারান্দায় পড়ে ছিল ফেরদৌস হোসেনের লাশ। তাঁর পরনে ছিল প্যান্ট ও শার্ট এবং পায়ে জুতা ছিল। তাঁকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বাসার একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল রত্নার লাশ। আর শিশু প্রণয়ের লাশ বিছানায় কাঁথা দিয়ে মোড়ানো ছিল। মা ও ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
খবর পেয়ে গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপরাধ) মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাকসহ পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা। দুপুর ২টায় পুলিশ ফেরদৌস, রত্না ও প্রণয়ের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। বিছানার চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে লাশ তিনটি একটি ভ্যানগাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এমনভাবে লাশ নিয়ে যায়, যাতে কেউ সেগুলো দেখতে না পারে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময়ও কাউকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। লাশ নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ঘরটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
লাশগুলো উদ্ধারের পর ফেরদৌসের তৃতীয় পক্ষের শাশুড়ি মোছা. মাবিয়া ও প্রথম স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের ছেলে নিপুণকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে নিপুণকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাকে থানা হেফাজতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, 'পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।' এ ঘটনায় নিহত রত্নার মা মাবিয়াকে বাদী করে হত্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা চলছে বলে গত রাতে তিনি সাংবাদিকদের জানান। তবে রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও মামলা দায়ের হয়নি।
এদিকে নিপুণকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে তার মা মনোয়ারা বেগম জামালপুরে ছুটে আসেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, নিপুণ ঘটনার দুদিন আগে থেকেই মাদারগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে তাঁর কাছে ছিল। গতকাল সকালে খবর পেয়ে সে মাদারগঞ্জ থেকে রওনা দেয়। তাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে নিপুণ মায়ের সঙ্গে দেখা করতে মাদারগঞ্জে চলে যায়। বাসায় ছিলেন ফেরদৌস, রত্না ও প্রণয়। রত্নার মা মাবিয়া জানান, শনিবার বিকেলে তিনি মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি নাতি প্রণয়ের সঙ্গেও কথা বলেন। তিনি নিশ্চিত করে বলেন, তাঁর মেয়েজামাই ওই দিন বিকেলে বাসায়ই ছিলেন। পরদিন গতকাল রবিবার সকাল ৮টায় ফোন করে তিনি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে শেরপুর থেকে জামালপুরে চলে আসেন। সকাল ১০টায় তিনি জামাইয়ের বাসায় আসার পর ঘটনা জানাজানি হয়।
শহরের চালাপাড়ার নিজ বাসার বারান্দায় পড়ে ছিল ফেরদৌস হোসেনের লাশ। তাঁর পরনে ছিল প্যান্ট ও শার্ট এবং পায়ে জুতা ছিল। তাঁকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বাসার একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল রত্নার লাশ। আর শিশু প্রণয়ের লাশ বিছানায় কাঁথা দিয়ে মোড়ানো ছিল। মা ও ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
খবর পেয়ে গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপরাধ) মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাকসহ পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা। দুপুর ২টায় পুলিশ ফেরদৌস, রত্না ও প্রণয়ের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। বিছানার চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে লাশ তিনটি একটি ভ্যানগাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এমনভাবে লাশ নিয়ে যায়, যাতে কেউ সেগুলো দেখতে না পারে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময়ও কাউকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। লাশ নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ঘরটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
লাশগুলো উদ্ধারের পর ফেরদৌসের তৃতীয় পক্ষের শাশুড়ি মোছা. মাবিয়া ও প্রথম স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের ছেলে নিপুণকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে নিপুণকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাকে থানা হেফাজতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, 'পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।' এ ঘটনায় নিহত রত্নার মা মাবিয়াকে বাদী করে হত্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা চলছে বলে গত রাতে তিনি সাংবাদিকদের জানান। তবে রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও মামলা দায়ের হয়নি।
এদিকে নিপুণকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে তার মা মনোয়ারা বেগম জামালপুরে ছুটে আসেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, নিপুণ ঘটনার দুদিন আগে থেকেই মাদারগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে তাঁর কাছে ছিল। গতকাল সকালে খবর পেয়ে সে মাদারগঞ্জ থেকে রওনা দেয়। তাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
No comments