সমানতালেই চলছে তাদের লড়াই-রিয়াল ৩ : ২ ভ্যালেন্সিয়া-বার্সেলোনা ৪ : ০ জারাগোজা
দুই যুযুধান লড়ছে সমানে সমান। আগের ম্যাচে লিওনেল মেসি গোল দিলেন, তো পরেরটিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দুই ক্লাবের দ্বৈরথও এগুচ্ছে সমানতালে। বার্সেলোনার জয়ের জবাব জয় দিয়েই যে দিল রিয়াল মাদ্রিদ! দুটো ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্লাব এবং সময়ের শ্রেষ্ঠ দুই ফুটবলারের এ খণ্ডযুদ্ধ মনপ্রাণ দিয়ে উপভোগ করছে ফুটবলপ্রেমীরা। মৌসুম শেষে মুকুট কাদের মাথায় ওঠে, অপেক্ষা কেবল সেটির।
আন্তর্জাতিক ফুটবলের কারণে গত সপ্তাহে বিরতি ছিল ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে। এর আগের সর্বশেষ ম্যাচে অ্যাতলেথিক বিলবাওয়ের সঙ্গে ড্র করেছিল বার্সেলোনা। বিরতি শেষে তারা ফিরেছে সহজাত ছন্দে। সৌন্দর্যমণ্ডিত ফুটবলছটায় পরশু তারা উড়িয়ে দিয়েছে রিয়াল জারাগোজাকে। জাভি হার্নান্দেজের ফ্রি-কিকে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে নেন জেরার্দ পিকে। এরপর প্রথমার্ধের মিনিট দুয়েক আগে দেখা গেল, বর্তমান ফুটবলের সবচেয়ে চেনা সেই দৃশ্য। লিওনেল মেসির গোল উদ্যাপন। দ্বিতীয়ার্ধে কার্লোস পুয়োল ও ডেভিড ভিয়ার লক্ষ্যভেদে ৪-০ ব্যবধানের বড় জয় নিশ্চিত করে বার্সা।
ম্যাচ শেষে যথারীতি পেপ গার্দিওলার প্রশংসার সিংহ ভাগ বরাদ্দ ছিল মেসির জন্য। কোচ বিশ্রাম দিতে চাইলেও সেটি না নিয়ে খেলেছেন এবং আলোও ছড়িয়েছেন যথারীতি। গার্দিওলা তো উচ্ছ্বসিত হবেনই, 'মেসি হচ্ছে এমন একজন ফুটবলার, যে সব সময় প্রতিপক্ষে আতঙ্ক ছড়ায়। এই ম্যাচেও তা হলো। ম্যাচ শুরুর আগে ও জানাল যে, খেলার জন্য ও প্রস্তুত। আমি তাই ওকে খেলালাম আর সেটি কাজেও দিল।'
এই জয়ে পয়েন্টের দিক দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে ছুঁয়ে ফেলেছিল মেসির দল। স্বভাবতই ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাড়তি চাপ ছিল রোনালদোদের ওপর। সেই চাপ জয় করে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে তারা। ফলে লিগ টেবিলে বার্সেলোনার চেয়ে তিন পয়েন্টেই এগিয়ে রইল তারা।
মেস্তায়ায় ২০তম মিনিটেই রিয়ালকে এগিয়ে দেন করিম বেনজেমা। ৭২ মিনিটে সার্জিও রামোসের গোলে একটু হাঁফ ছাড়ার সুযোগ পায় তারা। মিনিট চারেক পর ভ্যালেন্সিয়ার রবার্তো সোলদাদোর গোলে ম্যাচে ফেরে উত্তেজনা। ৭৯ মিনিটে রোনালদো জাল খুঁজে পেলে আবারও দুই গোলের ব্যবধান পেয়ে যায় হোসে মরিনহোর দল। তবে রিয়ালের সাবেক খেলোয়াড় সোলদাদো ৮৩ মিনিটে ব্যবধান কমালে পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কা চেপে ধরে তাদের। সেটি হতোও, যদি না অফসাইডের কারণে সোলদাদোর আরেকটি গোল বাতিল না করা হতো। কিংবা যদি গনজালো হিগুয়াইনের হাতে বল লাগার দাবিকে আমলে এনে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতেন ভ্যালেন্সিয়ার পক্ষে।
স্প্যানিশ লিগে শিরোপার লড়াইটা হচ্ছে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে। ইংলিশ লিগে সেটি ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে অন্যান্য শিরোপাপ্রত্যাশী দলগুলোর। অন্তত এ মুহূর্তে রবার্তো মানচিনির দলের ফর্ম সে কথাই বলবে। পরশু নিউক্যাসলকে তারা হারিয়েছে ৩-১ গোলে। লিগের ১২ ম্যাচের মধ্যে একটি ড্র ছাড়া জিতেছে বাকি ১১ ম্যাচে, যা রেকর্ড। ২০০৩-০৪ মৌসুমে আর্সেনালের মতো পুরো মৌসুমে অপরাজিত থাকতে পারবে কি না, এ নিয়ে কথাবার্তা তাই শুরু হয়ে গেছে।
সেটি ভবিষ্যতের কথা। পরশু মারিও বালোতেলি্ল, মিকা রিচার্ডস ও সার্জিও অ্যাগুইরোর গোলে জয়যাত্রা অব্যাহত রেখেছে তারা। ফলে লিগ টেবিলে নগর-প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে তারা পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে রইল। পরশু হাভিয়ের হার্নান্দেজের গোলে সোয়ানসি সিটিকে হারিয়েছে স্যার অ্যালেঙ্ ফার্গুসনের দল। আর রবিন ফন পার্সির জোড়া গোলে নরউইচকে ২-১ ব্যবধানে হারানো আর্সেনাল আছে টেবিলের ৬ নম্বরে।
ইতালিয়ান লিগে এসি মিলান-ফিওরেন্টিনা এবং লাৎসিও-নাপোলির ম্যাচ দুটো শেষ হয়েছে গোলশূন্যভাবে। অন্য ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে ইন্টার মিলান হারিয়েছে ক্যালিয়ারিকে। জার্মান বুন্দেসলিগায় ঘটেছে বড় অঘটন। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা বায়ার্ন মিউনিখকে তাদের মাঠে গিয়ে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে এসেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ওয়েবসাইট
ম্যাচ শেষে যথারীতি পেপ গার্দিওলার প্রশংসার সিংহ ভাগ বরাদ্দ ছিল মেসির জন্য। কোচ বিশ্রাম দিতে চাইলেও সেটি না নিয়ে খেলেছেন এবং আলোও ছড়িয়েছেন যথারীতি। গার্দিওলা তো উচ্ছ্বসিত হবেনই, 'মেসি হচ্ছে এমন একজন ফুটবলার, যে সব সময় প্রতিপক্ষে আতঙ্ক ছড়ায়। এই ম্যাচেও তা হলো। ম্যাচ শুরুর আগে ও জানাল যে, খেলার জন্য ও প্রস্তুত। আমি তাই ওকে খেলালাম আর সেটি কাজেও দিল।'
এই জয়ে পয়েন্টের দিক দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে ছুঁয়ে ফেলেছিল মেসির দল। স্বভাবতই ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাড়তি চাপ ছিল রোনালদোদের ওপর। সেই চাপ জয় করে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে তারা। ফলে লিগ টেবিলে বার্সেলোনার চেয়ে তিন পয়েন্টেই এগিয়ে রইল তারা।
মেস্তায়ায় ২০তম মিনিটেই রিয়ালকে এগিয়ে দেন করিম বেনজেমা। ৭২ মিনিটে সার্জিও রামোসের গোলে একটু হাঁফ ছাড়ার সুযোগ পায় তারা। মিনিট চারেক পর ভ্যালেন্সিয়ার রবার্তো সোলদাদোর গোলে ম্যাচে ফেরে উত্তেজনা। ৭৯ মিনিটে রোনালদো জাল খুঁজে পেলে আবারও দুই গোলের ব্যবধান পেয়ে যায় হোসে মরিনহোর দল। তবে রিয়ালের সাবেক খেলোয়াড় সোলদাদো ৮৩ মিনিটে ব্যবধান কমালে পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কা চেপে ধরে তাদের। সেটি হতোও, যদি না অফসাইডের কারণে সোলদাদোর আরেকটি গোল বাতিল না করা হতো। কিংবা যদি গনজালো হিগুয়াইনের হাতে বল লাগার দাবিকে আমলে এনে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতেন ভ্যালেন্সিয়ার পক্ষে।
স্প্যানিশ লিগে শিরোপার লড়াইটা হচ্ছে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে। ইংলিশ লিগে সেটি ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে অন্যান্য শিরোপাপ্রত্যাশী দলগুলোর। অন্তত এ মুহূর্তে রবার্তো মানচিনির দলের ফর্ম সে কথাই বলবে। পরশু নিউক্যাসলকে তারা হারিয়েছে ৩-১ গোলে। লিগের ১২ ম্যাচের মধ্যে একটি ড্র ছাড়া জিতেছে বাকি ১১ ম্যাচে, যা রেকর্ড। ২০০৩-০৪ মৌসুমে আর্সেনালের মতো পুরো মৌসুমে অপরাজিত থাকতে পারবে কি না, এ নিয়ে কথাবার্তা তাই শুরু হয়ে গেছে।
সেটি ভবিষ্যতের কথা। পরশু মারিও বালোতেলি্ল, মিকা রিচার্ডস ও সার্জিও অ্যাগুইরোর গোলে জয়যাত্রা অব্যাহত রেখেছে তারা। ফলে লিগ টেবিলে নগর-প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে তারা পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে রইল। পরশু হাভিয়ের হার্নান্দেজের গোলে সোয়ানসি সিটিকে হারিয়েছে স্যার অ্যালেঙ্ ফার্গুসনের দল। আর রবিন ফন পার্সির জোড়া গোলে নরউইচকে ২-১ ব্যবধানে হারানো আর্সেনাল আছে টেবিলের ৬ নম্বরে।
ইতালিয়ান লিগে এসি মিলান-ফিওরেন্টিনা এবং লাৎসিও-নাপোলির ম্যাচ দুটো শেষ হয়েছে গোলশূন্যভাবে। অন্য ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে ইন্টার মিলান হারিয়েছে ক্যালিয়ারিকে। জার্মান বুন্দেসলিগায় ঘটেছে বড় অঘটন। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা বায়ার্ন মিউনিখকে তাদের মাঠে গিয়ে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে এসেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ওয়েবসাইট
No comments