বাংলাদেশসহ অন্তত ছয়টি দেশের আপত্তি
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পাকিস্তানের ৭৫টি পণ্যকে বিশেষ সুবিধায় শুল্কছাড় দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অন্তত পাঁচটি দেশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আপত্তি জানিয়েছে। তবে পাকিস্তান সরকার ও গণমাধ্যম এককভাবে বাংলাদেশকেই সামনে নিয়ে আসছে।
চলতি মাসেই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) এক বৈঠকে পাকিস্তানকে এই সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ছাড়াও ব্রাজিল, পেরু, আর্জেন্টিনা ও ইন্দোনেশাি আপত্তি তোলে। আপত্তি রয়েছে শ্রীলঙ্কারও। এর আগে ভারত, ভেনেজুয়েলা ও পেরু আপত্তি তুলেছিল। তবে ভারত তাদের আপত্তি তুলে নিয়ে এখন কার্যত পাকিস্তানকেই সমর্থন দিচ্ছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানকে সহায়তার অংশ হিসেবে ইইউ ৭৫টি পণ্যে বিশেষ শুল্কছাড় দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। তবে ডব্লিউটিওর বিধান অনুসারে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পাকিস্তান স্বল্পোন্নত দেশের মতো সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নয়। তাই কোনো দেশ যদি এ ধরনের কোনো সুবিধা দিতে চায়, তাহলে ডব্লিউটিওতে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করতে হয়।
সে অনুসারে ইইউ এ আবেদন জানায়। তবে যেকোনো সদস্য দেশের আপত্তি থাকলে এ আবেদন অনুমোদিত হয় না। অর্থাৎ এই সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয় না। প্রথমে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ডব্লিউটিওতে যখন বিষয়টি উত্থাপন করা হয়, তখন বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা আপত্তি জানায়।
এরপর নানা দেনদরবার করে মূল প্রস্তাবটি কিছুটা সংশোধন করে এ মাসের প্রথম দিকে কাউন্সিল ফর ট্রেড ইন গুডসের (সিটিজি) সভায় আবারও তোলা হয়। এই সভায় বাংলাদেশের পাশাপাশি কয়েকটি দেশ আপত্তি তোলে।
অবশ্য পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী মোকাদ্দেম আমিন ফাহিম সে দেশের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন যেন বাংলাদেশ পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়। তিনি আরও বলেন, এ মাসের শেষ সপ্তাহেই ডব্লিউটিওতে আরেকটি বৈঠক আছে। সেই বৈঠকে বাংলাদেশ কোনো আপত্তি জানাবে না বলে তিনি আশাবাদী।
ডব্লিউটিওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, সিটিজির বৈঠকে ইইউর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রায় এক বছর আগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানের জন্য কিছু শুল্কছাড়ের একটি প্রস্তাব তারা উত্থাপন করে। এরপর বিভিন্ন সদস্য দেশের আপত্তি ও উদ্বেগ বিবেচনায় নিয়ে তারা প্রস্তাবটি সংশোধন করেছে। এই সংশোধিত প্রস্তাবে মাত্র দুই বছরের জন্য শুল্কছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নরওয়ে পাকিস্তানকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ইইউর প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে। ভিয়েতনাম জানিয়েছে, দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে তাদের উদ্বেগের বিষয়টি নিরসন হওয়ায় তারা এখন ইইউর পক্ষে সমর্থন দিতে প্রস্তুত।
বৈঠকে মরক্কো জানিয়েছে, তারা শর্তসাপেক্ষে ইইউর প্রস্তাব সমর্থন দিতে পারে। এ জন্য তারা দ্বিপক্ষীয়ভাবে তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। কেননা, বস্ত্র খাত মরক্কোর অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত।
ডব্লিউটিওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, বৈঠকে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, পেরু ও আর্জেন্টিনা জানিয়েছে যে, তারা এখনো প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করছে। তারা ইইউর সঙ্গে আরও আলোচনার অনুরোধ জানায়। ব্রাজিল সরাসরি এ প্রস্তাবের বিষয়ে তাদের আপত্তি তুলে ধরে এবং ব্রাজিলের রপ্তানির ওপর এই সুবিধার প্রভাব পর্যালোচনা করতে ইইউর প্রতি আহ্বান জানায়।
এসব আপত্তি ও অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের দিক থেকে বৈঠকে বলা হয় যে, সংশোধিত প্রস্তাবটি কোনোভাবেই ভবিষ্যতের জন্য কোনো উদাহরণ তৈরি করবে না। কেননা, এটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশের উদ্বেগ বিবেচনায় নিয়ে করা হয়েছে।
একই বৈঠকে ইইউর প্রতিনিধি জানান, এত কিছু করার পরও মনে হচ্ছে কিছু পদ্ধতিগত সমস্যা রয়েই গেছে। আর তাই তারা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছে।
বৈঠকে এ বিষয়টি সিজিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
যে ৭৫টি পণ্যে পাকিস্তানকে বিশেষ শুল্কছাড় বা জিএসপিসুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, তার মধ্যে আটটি পণ্যের বিষয়ে বাংলাদেশ সুনির্দিষ্টভাবে আপত্তি জানিয়ে রেখেছে। গত বৃহস্পতিবার এই আপত্তির বিষয়টি আবারও লিখিতভাবে ডব্লিউটিওর সদর দপ্তর জেনেভায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আটটি পণ্যের মধ্যে আছে পাদুকা, নিট পোশাক, পাজামা, নৈশ পোশাক ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে সহযোগিতার বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। তবে বাণিজ্যের সঙ্গে সহযোগিতাকে মিশ্রিত করা যাবে না।
চলতি মাসেই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) এক বৈঠকে পাকিস্তানকে এই সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ছাড়াও ব্রাজিল, পেরু, আর্জেন্টিনা ও ইন্দোনেশাি আপত্তি তোলে। আপত্তি রয়েছে শ্রীলঙ্কারও। এর আগে ভারত, ভেনেজুয়েলা ও পেরু আপত্তি তুলেছিল। তবে ভারত তাদের আপত্তি তুলে নিয়ে এখন কার্যত পাকিস্তানকেই সমর্থন দিচ্ছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানকে সহায়তার অংশ হিসেবে ইইউ ৭৫টি পণ্যে বিশেষ শুল্কছাড় দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। তবে ডব্লিউটিওর বিধান অনুসারে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পাকিস্তান স্বল্পোন্নত দেশের মতো সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নয়। তাই কোনো দেশ যদি এ ধরনের কোনো সুবিধা দিতে চায়, তাহলে ডব্লিউটিওতে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করতে হয়।
সে অনুসারে ইইউ এ আবেদন জানায়। তবে যেকোনো সদস্য দেশের আপত্তি থাকলে এ আবেদন অনুমোদিত হয় না। অর্থাৎ এই সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয় না। প্রথমে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ডব্লিউটিওতে যখন বিষয়টি উত্থাপন করা হয়, তখন বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা আপত্তি জানায়।
এরপর নানা দেনদরবার করে মূল প্রস্তাবটি কিছুটা সংশোধন করে এ মাসের প্রথম দিকে কাউন্সিল ফর ট্রেড ইন গুডসের (সিটিজি) সভায় আবারও তোলা হয়। এই সভায় বাংলাদেশের পাশাপাশি কয়েকটি দেশ আপত্তি তোলে।
অবশ্য পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী মোকাদ্দেম আমিন ফাহিম সে দেশের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন যেন বাংলাদেশ পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়। তিনি আরও বলেন, এ মাসের শেষ সপ্তাহেই ডব্লিউটিওতে আরেকটি বৈঠক আছে। সেই বৈঠকে বাংলাদেশ কোনো আপত্তি জানাবে না বলে তিনি আশাবাদী।
ডব্লিউটিওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, সিটিজির বৈঠকে ইইউর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রায় এক বছর আগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানের জন্য কিছু শুল্কছাড়ের একটি প্রস্তাব তারা উত্থাপন করে। এরপর বিভিন্ন সদস্য দেশের আপত্তি ও উদ্বেগ বিবেচনায় নিয়ে তারা প্রস্তাবটি সংশোধন করেছে। এই সংশোধিত প্রস্তাবে মাত্র দুই বছরের জন্য শুল্কছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নরওয়ে পাকিস্তানকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ইইউর প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে। ভিয়েতনাম জানিয়েছে, দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে তাদের উদ্বেগের বিষয়টি নিরসন হওয়ায় তারা এখন ইইউর পক্ষে সমর্থন দিতে প্রস্তুত।
বৈঠকে মরক্কো জানিয়েছে, তারা শর্তসাপেক্ষে ইইউর প্রস্তাব সমর্থন দিতে পারে। এ জন্য তারা দ্বিপক্ষীয়ভাবে তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। কেননা, বস্ত্র খাত মরক্কোর অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত।
ডব্লিউটিওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, বৈঠকে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, পেরু ও আর্জেন্টিনা জানিয়েছে যে, তারা এখনো প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করছে। তারা ইইউর সঙ্গে আরও আলোচনার অনুরোধ জানায়। ব্রাজিল সরাসরি এ প্রস্তাবের বিষয়ে তাদের আপত্তি তুলে ধরে এবং ব্রাজিলের রপ্তানির ওপর এই সুবিধার প্রভাব পর্যালোচনা করতে ইইউর প্রতি আহ্বান জানায়।
এসব আপত্তি ও অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের দিক থেকে বৈঠকে বলা হয় যে, সংশোধিত প্রস্তাবটি কোনোভাবেই ভবিষ্যতের জন্য কোনো উদাহরণ তৈরি করবে না। কেননা, এটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশের উদ্বেগ বিবেচনায় নিয়ে করা হয়েছে।
একই বৈঠকে ইইউর প্রতিনিধি জানান, এত কিছু করার পরও মনে হচ্ছে কিছু পদ্ধতিগত সমস্যা রয়েই গেছে। আর তাই তারা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছে।
বৈঠকে এ বিষয়টি সিজিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
যে ৭৫টি পণ্যে পাকিস্তানকে বিশেষ শুল্কছাড় বা জিএসপিসুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, তার মধ্যে আটটি পণ্যের বিষয়ে বাংলাদেশ সুনির্দিষ্টভাবে আপত্তি জানিয়ে রেখেছে। গত বৃহস্পতিবার এই আপত্তির বিষয়টি আবারও লিখিতভাবে ডব্লিউটিওর সদর দপ্তর জেনেভায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আটটি পণ্যের মধ্যে আছে পাদুকা, নিট পোশাক, পাজামা, নৈশ পোশাক ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে সহযোগিতার বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। তবে বাণিজ্যের সঙ্গে সহযোগিতাকে মিশ্রিত করা যাবে না।
No comments