তুরস্কে তৈরি পোশাক রফতানি দুই-তৃতীয়াংশ কমেছে by আবু হেনা মুহিব
তুরস্কের বাজারে তৈরি পোশাক রফতানি কমে গেছে ব্যাপক হারে। তুরস্ক সরকার বাংলাদেশি পোশাকের ওপর ২৭ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হওয়ার প্রথম মাসে রফতানি কমে গেছে দুই-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ আগস্টে যেখানে পোশাক রফতানি ছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ ডলার সেখানে নতুন শুল্কহারের প্রভাবের প্রথম মাস সেপ্টেম্বরে এ হার নেমে আসে মাত্র ১ কোটি ৪৯ লাখ ডলারে।
গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয় কমেছে ৪ কোটি ডলারের বেশি। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), তৈরি পোশাক রফতানি খাতের ব্যবসায়ীদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় পোশাক খাতকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমদানির ক্ষেত্রে তুরস্ক সরকার বাংলাদেশি পোশাকের ওপর ২৭ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের বাস্তবায়নের শুরুতেই এ হারে রফতানি কমল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে নবম বৃহত্তম বাজার তুরস্কে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক রফতানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষামূলক এ শুল্কনীতি স্থায়ীভাবে কার্যকর হওয়ার আগেই এ বিষয়ে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন তারা।
চলতি বছরের ২২ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া তুরস্ক সরকারের নতুন শুল্কনীতি অনুযায়ী বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশের ক্ষেত্রে ২৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এতদিন স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত সুবিধায় তুরস্কে পোশাক রফতানি করেছে। ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং চীনসহ উন্নত দেশগুলো ১২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে তুরস্কে পোশাক রফতানি করছে। তুরস্ক সরকারের এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ৩৭ শতাংশ, চীনসহ উন্নত দেশগুলোকে ৪০ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ২২ জুলাই নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেও রফতানি আদেশ ও সরবরাহ হতে দুই মাসের বেশি সময় লেগে যায়। বিকেএমইএ ও বিজিএমইএ এবং ইপিবির রফতানি চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, সে হিসেবে নতুন শুল্কনীতির প্রভাব পড়েছে সেপ্টেম্বরের রফতানি চিত্রে। সিদ্ধান্তের প্রভাবের প্রথম মাস সেপ্টেম্বরে রফতানি কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ আগস্ট মাসে পোশাক খাতে যেখানে মোট রফতানি ছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ সেখানে সেপ্টেম্বরে নেমে আসে মাত্র ১ কোটি ৪৯ লাখ ডলারে। নিট খাতে আগস্ট মাসের ১ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের তুলনায় সেপ্টেম্বরে রফতানি কমে দাঁড়ায় মাত্র ৫৩ লাখ ডলারে। ওভেন খাতেও একই পরিস্থিতি। আগস্টের রফতানি আয় ২ কোটি ৫৬ লাখ ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে নেমে আসে ৯৫ লাখ ডলারে। একই চিত্র অব্যাহত আছে ইপিবির সর্বশেষ অক্টোবর রফতানি প্রতিবেদন পর্যন্ত। সূত্র মতে গত ২০১০-১১ অর্থবছরে তুরস্ক থেকে পোশাক রফতানি আয় ছিল ৫১ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। সে সময় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬৯ শতাংশ।
পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রফতানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইএবির সভাপতি সালাম মুর্শেদী গতকাল সমকালকে জানান, সন্দেহ নেই, আমাদের একটা বৃহত্তম বাজার প্রায় হাতছাড়া হতে চলেছে। যেহেতু এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়েই নতুন শুল্ককায়ন চলছে, সে সুযোগে দুই বন্ধুপ্রতিম মুসলিম দেশ এবং স্বল্পোন্নত দেশের কোটায় বাংলাদেশ এ জরিমানা হারের শুল্ক বোঝা থেকে মুক্তি পেতে পারে। মুর্শেদী বলেন, 'আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫ মাস আগের বৈঠকের সময় তুরস্কের সাধারণ নির্বাচন সামনে ছিল, সে কারণে এ বিষয়ে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের চাপ ছিল। নির্বাচন শেষে এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। ফলে সরকারি পর্যায়ে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো উচিত।'
বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এ প্রসঙ্গে জানান, তুরস্কের বাজারে আমাদের রফতানি আগামী দিনে আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিলে বাজার আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। তিনি বলেন, তুরস্কের এ নতুন শুল্কায়ন নীতি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষামূলক পর্যায় থেকে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার চূড়ান্ত অনুমোদনের ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে কার্যকর হওয়ার আগেই যদি আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া যায় তাহলে বাংলাদেশের জন্য সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।
স্থানীয় পোশাক খাতকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমদানির ক্ষেত্রে তুরস্ক সরকার বাংলাদেশি পোশাকের ওপর ২৭ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের বাস্তবায়নের শুরুতেই এ হারে রফতানি কমল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে নবম বৃহত্তম বাজার তুরস্কে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক রফতানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষামূলক এ শুল্কনীতি স্থায়ীভাবে কার্যকর হওয়ার আগেই এ বিষয়ে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন তারা।
চলতি বছরের ২২ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া তুরস্ক সরকারের নতুন শুল্কনীতি অনুযায়ী বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশের ক্ষেত্রে ২৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এতদিন স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত সুবিধায় তুরস্কে পোশাক রফতানি করেছে। ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং চীনসহ উন্নত দেশগুলো ১২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে তুরস্কে পোশাক রফতানি করছে। তুরস্ক সরকারের এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ৩৭ শতাংশ, চীনসহ উন্নত দেশগুলোকে ৪০ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ২২ জুলাই নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেও রফতানি আদেশ ও সরবরাহ হতে দুই মাসের বেশি সময় লেগে যায়। বিকেএমইএ ও বিজিএমইএ এবং ইপিবির রফতানি চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, সে হিসেবে নতুন শুল্কনীতির প্রভাব পড়েছে সেপ্টেম্বরের রফতানি চিত্রে। সিদ্ধান্তের প্রভাবের প্রথম মাস সেপ্টেম্বরে রফতানি কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ আগস্ট মাসে পোশাক খাতে যেখানে মোট রফতানি ছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ সেখানে সেপ্টেম্বরে নেমে আসে মাত্র ১ কোটি ৪৯ লাখ ডলারে। নিট খাতে আগস্ট মাসের ১ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের তুলনায় সেপ্টেম্বরে রফতানি কমে দাঁড়ায় মাত্র ৫৩ লাখ ডলারে। ওভেন খাতেও একই পরিস্থিতি। আগস্টের রফতানি আয় ২ কোটি ৫৬ লাখ ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে নেমে আসে ৯৫ লাখ ডলারে। একই চিত্র অব্যাহত আছে ইপিবির সর্বশেষ অক্টোবর রফতানি প্রতিবেদন পর্যন্ত। সূত্র মতে গত ২০১০-১১ অর্থবছরে তুরস্ক থেকে পোশাক রফতানি আয় ছিল ৫১ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। সে সময় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬৯ শতাংশ।
পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রফতানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইএবির সভাপতি সালাম মুর্শেদী গতকাল সমকালকে জানান, সন্দেহ নেই, আমাদের একটা বৃহত্তম বাজার প্রায় হাতছাড়া হতে চলেছে। যেহেতু এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়েই নতুন শুল্ককায়ন চলছে, সে সুযোগে দুই বন্ধুপ্রতিম মুসলিম দেশ এবং স্বল্পোন্নত দেশের কোটায় বাংলাদেশ এ জরিমানা হারের শুল্ক বোঝা থেকে মুক্তি পেতে পারে। মুর্শেদী বলেন, 'আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫ মাস আগের বৈঠকের সময় তুরস্কের সাধারণ নির্বাচন সামনে ছিল, সে কারণে এ বিষয়ে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের চাপ ছিল। নির্বাচন শেষে এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। ফলে সরকারি পর্যায়ে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো উচিত।'
বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এ প্রসঙ্গে জানান, তুরস্কের বাজারে আমাদের রফতানি আগামী দিনে আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিলে বাজার আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। তিনি বলেন, তুরস্কের এ নতুন শুল্কায়ন নীতি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষামূলক পর্যায় থেকে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার চূড়ান্ত অনুমোদনের ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে কার্যকর হওয়ার আগেই যদি আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া যায় তাহলে বাংলাদেশের জন্য সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।
No comments