হারানো শিশু
সুনাম আলী বেশ সুনামের সঙ্গেই শাহবাগে লেবুর শরবত বিক্রি করেন। তার শরবতের স্বাদ কিছুটা ভিন্নধর্মী। অন্যদের থেকে আলাদা। শুধু এ কারণে পুরো মাস তার দোকানে কাস্টমারের লাইন লেগে থাকে। একটু গরম পড়লে তো কথাই নেই। শরবত বানিয়ে কূলকিনারা পাওয়া যায় না।প্রডাকশন বেশি করলে সমস্যাও আছে। তখন মান ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। সুনাম আলীর ক্ষেত্রেও সেটা হলো। শরবতের সেই ভিন্নধর্মী ঘ্রাণ ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে লাগল।
ব্যাপারটা সুনাম আলীর নজর এড়াল না। তিনি জরুরি ভিত্তিতে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ করলেন। অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজ কাস্টমারদের চাহিদামতো লেবুর শরবত সাপ্লাই করা। এর ফলে সুনাম আলী শরবত বানানোর দিকে আরও মনোযোগী হতে পারবেন বলে তার বিশ্বাস।
একদিনের কথা। সুনাম আলী দোকানে শরবত বানাচ্ছিলেন। হঠাৎ দোকানের পাশে নয়-দশ বছরের এক শিশুকে কাঁদতে দেখে তিনি কিছুটা শঙ্কিত হয়ে পড়লেন। শিশুর পোশাক দেখে ভদ্র ঘরের সন্তান বলেই মনে হলো। অগত্যা কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, 'কী ব্যাপার মামণি, কাঁদছ কেন?' শিশুটি বলল, 'আঙ্কেল আঙ্কেল, আমি না আব্বু-আম্মুর সঙ্গে জাদুঘরে এসে হারিয়ে গেছি। এখন আমি কীভাবে বাসায় যাব, হু হু হু..?' শিশুর কান্না দেখে সুনাম আলী ব্যতিব্যস্ত হয়ে বললেন, 'কাঁদে না মা। তুমি কি তোমাদের বাসার ঠিকানা জান?' শিশুটি তার হাতের মুঠো থেকে একটা কাগজ বের করতে করতে বলল, 'এখানে আমাদের বাসার ঠিকানা লেখা আছে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আম্মু কাগজটা আমার হাতে দিয়ে বলেছিল, হারিয়ে গেলে কাউকে দেখাতে। সে নাকি আমাকে বাসায় দিয়ে যাবে। আঙ্কেল আপনি আমাকে বাসায় দিয়ে আসেন না হু হু হু..।' কি আর করা, সুনাম আলী শিশুটির হাত থেকে কাগজ নিয়ে ঠিকানা দেখলেন। কেরানীগঞ্জের ঠিকানা লেখা। অ্যাসিস্ট্যান্টকে দোকান সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে কেরানীগঞ্জের দিকে রওনা হয়ে গেলেন।
১ ঘণ্টা পরের কথা। কাগজে লেখা ঠিকানা অনুসারে জায়গা মতো গিয়ে সুনাম আলী শিশুটিকে জিজ্ঞেস করলেন, 'মা তোমাদের বাসা কোথায়?' শিশুটি তার ডান দিকে ইশারা দিয়ে বলল, 'আমাদের বাসা ওই দিকে। তবে বাবা ওই যে চিপাটা দেখছেন, সেখানে কাজ করে।' ঠিকানা পাওয়া গেছে দেখে সুনাম আলী হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। দেরি না করে শিশুটির বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য চিপায় গেলেন।
তারপরের ইতিহাস খুব করুণ। চিপায় যেতেই সুনাম আলীর ওপর তিনজন লোক ঝাঁপিয়ে পড়লেন। ইচ্ছামতো ধোলাই দিয়ে পকেটে যা ছিল সবই নিয়ে গেলেন। তার বুঝতে বাকি রইল না যে, শুরু থেকে এ পর্যন্ত যা ঘটেছে তা সবই পাতানো। এরপর তিনি ঠিক করলেন, রাস্তায় হারানো কাউকে পেলে নিজে পেঁৗছে না দিয়ে পুলিশের সাহায্য নেবেন।
একদিনের কথা। সুনাম আলী দোকানে শরবত বানাচ্ছিলেন। হঠাৎ দোকানের পাশে নয়-দশ বছরের এক শিশুকে কাঁদতে দেখে তিনি কিছুটা শঙ্কিত হয়ে পড়লেন। শিশুর পোশাক দেখে ভদ্র ঘরের সন্তান বলেই মনে হলো। অগত্যা কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, 'কী ব্যাপার মামণি, কাঁদছ কেন?' শিশুটি বলল, 'আঙ্কেল আঙ্কেল, আমি না আব্বু-আম্মুর সঙ্গে জাদুঘরে এসে হারিয়ে গেছি। এখন আমি কীভাবে বাসায় যাব, হু হু হু..?' শিশুর কান্না দেখে সুনাম আলী ব্যতিব্যস্ত হয়ে বললেন, 'কাঁদে না মা। তুমি কি তোমাদের বাসার ঠিকানা জান?' শিশুটি তার হাতের মুঠো থেকে একটা কাগজ বের করতে করতে বলল, 'এখানে আমাদের বাসার ঠিকানা লেখা আছে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আম্মু কাগজটা আমার হাতে দিয়ে বলেছিল, হারিয়ে গেলে কাউকে দেখাতে। সে নাকি আমাকে বাসায় দিয়ে যাবে। আঙ্কেল আপনি আমাকে বাসায় দিয়ে আসেন না হু হু হু..।' কি আর করা, সুনাম আলী শিশুটির হাত থেকে কাগজ নিয়ে ঠিকানা দেখলেন। কেরানীগঞ্জের ঠিকানা লেখা। অ্যাসিস্ট্যান্টকে দোকান সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে কেরানীগঞ্জের দিকে রওনা হয়ে গেলেন।
১ ঘণ্টা পরের কথা। কাগজে লেখা ঠিকানা অনুসারে জায়গা মতো গিয়ে সুনাম আলী শিশুটিকে জিজ্ঞেস করলেন, 'মা তোমাদের বাসা কোথায়?' শিশুটি তার ডান দিকে ইশারা দিয়ে বলল, 'আমাদের বাসা ওই দিকে। তবে বাবা ওই যে চিপাটা দেখছেন, সেখানে কাজ করে।' ঠিকানা পাওয়া গেছে দেখে সুনাম আলী হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। দেরি না করে শিশুটির বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য চিপায় গেলেন।
তারপরের ইতিহাস খুব করুণ। চিপায় যেতেই সুনাম আলীর ওপর তিনজন লোক ঝাঁপিয়ে পড়লেন। ইচ্ছামতো ধোলাই দিয়ে পকেটে যা ছিল সবই নিয়ে গেলেন। তার বুঝতে বাকি রইল না যে, শুরু থেকে এ পর্যন্ত যা ঘটেছে তা সবই পাতানো। এরপর তিনি ঠিক করলেন, রাস্তায় হারানো কাউকে পেলে নিজে পেঁৗছে না দিয়ে পুলিশের সাহায্য নেবেন।
No comments