আণবিক শক্তি সংস্থায় নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব পাস
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) গত শুক্রবার একটি প্রস্তাব পাস করেছে। এই কর্মসূচি নিয়ে তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আইএইএর ৩৫ সদস্যের বোর্ডে ৩২-২ ভোটে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। কিউবা ও ইকুয়েডর এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। ভোটদান থেকে বিরত থাকে একমাত্র ইন্দোনেশিয়া।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংকট নিরসনে ইরান ও আইএইএর সংলাপে জোর দেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব কোনো রকম বিলম্ব ছাড়াই ইরানকে সম্পূর্ণভাবে মেনে নিতে হবে।
এতে বলা হয়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যেসব প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে, তেহরানকে এর জবাব দিতে হবে।
প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা টম ডনিলন বলেছেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএইএ ইরানের পরমাণু কর্মসূচির নিন্দা জানানোয় দেশটি এখন সারা বিশ্ব থেকে ‘নজিরবিহীনভাবে’ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
তবে আইএইএ নিযুক্ত ইরানি দূত আলী আজগর সুলতানি বলেছেন, আইএইএর এ প্রস্তাব ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করার ক্ষেত্রে দাওয়াই হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, ‘এটি (ইরানের পরমাণু কর্মসূচি) স্বাভাবিকমতোই চলবে। আমরা আমাদের কাজ আগের মতোই চালিয়ে নেব।’
আলী আজগর আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্য পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করা নিয়ে আগামী সপ্তাহে আইএইএ যে বৈঠক ডেকেছে, এতে তেহরান যোগ দেবে না।
প্রস্তাবটি নিয়ে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে যে সন্দেহ দানা বেঁধেছে, তা প্রশমনে ইরানকে এই প্রস্তাব মেনে নিতে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। এর পরিবর্তে আইএইএর প্রধান আগামী মার্চে তেহরানের এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্পর্কে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আইএইএ গত সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ইরান পরমাণু অস্ত্র উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে। তবে তেহরান এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, তারা আএইএর প্রতিবেদন নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটা খুবই বিরক্তিকর একটা ব্যাপার যে, এ কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার স্বাভাবিক কাজে মনোযোগ দিতে পারছে না।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে যখন তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে, এ সময় ইরান চার দিনব্যাপী এক প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করেছে। প্রেস টিভি গতকাল শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রায় আট লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকায় শুক্রবার থেকে এ মহড়া শুরু হয়েছে।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আইএইএর ৩৫ সদস্যের বোর্ডে ৩২-২ ভোটে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। কিউবা ও ইকুয়েডর এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। ভোটদান থেকে বিরত থাকে একমাত্র ইন্দোনেশিয়া।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংকট নিরসনে ইরান ও আইএইএর সংলাপে জোর দেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব কোনো রকম বিলম্ব ছাড়াই ইরানকে সম্পূর্ণভাবে মেনে নিতে হবে।
এতে বলা হয়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যেসব প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে, তেহরানকে এর জবাব দিতে হবে।
প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা টম ডনিলন বলেছেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএইএ ইরানের পরমাণু কর্মসূচির নিন্দা জানানোয় দেশটি এখন সারা বিশ্ব থেকে ‘নজিরবিহীনভাবে’ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
তবে আইএইএ নিযুক্ত ইরানি দূত আলী আজগর সুলতানি বলেছেন, আইএইএর এ প্রস্তাব ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করার ক্ষেত্রে দাওয়াই হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, ‘এটি (ইরানের পরমাণু কর্মসূচি) স্বাভাবিকমতোই চলবে। আমরা আমাদের কাজ আগের মতোই চালিয়ে নেব।’
আলী আজগর আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্য পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করা নিয়ে আগামী সপ্তাহে আইএইএ যে বৈঠক ডেকেছে, এতে তেহরান যোগ দেবে না।
প্রস্তাবটি নিয়ে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে যে সন্দেহ দানা বেঁধেছে, তা প্রশমনে ইরানকে এই প্রস্তাব মেনে নিতে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। এর পরিবর্তে আইএইএর প্রধান আগামী মার্চে তেহরানের এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্পর্কে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আইএইএ গত সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ইরান পরমাণু অস্ত্র উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে। তবে তেহরান এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, তারা আএইএর প্রতিবেদন নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটা খুবই বিরক্তিকর একটা ব্যাপার যে, এ কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার স্বাভাবিক কাজে মনোযোগ দিতে পারছে না।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে যখন তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে, এ সময় ইরান চার দিনব্যাপী এক প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করেছে। প্রেস টিভি গতকাল শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রায় আট লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকায় শুক্রবার থেকে এ মহড়া শুরু হয়েছে।
No comments