টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের চুক্তি সই-সিলেটে তীব্র প্রতিক্রিয়া

সিলেটের সীমান্তবর্তী ভারতের মণিপুর রাজ্যের টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণে ভারত সরকারের চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে সিলেটে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ভারতের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সিলেটে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এরই মধ্যে মহানগরে একাধিক সংগঠন প্রতিবাদ মিছিল করেছে। চলছে সভা-সমাবেশ।


বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্তকে ভারতের বড় ভাই-সুলভ আচরণ বলে মন্তব্য করছেন অনেকে। আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতকে বাঁধ নির্মাণ বন্ধ করতে বাধ্য করা হবে বলে তাঁরা জানান। পাশাপাশি সরকারকে জোরালোভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর পরামর্শ দেন তাঁরা। গতকাল রবিবার বিকেলে টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ আন্দোলন, সিলেট মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বিকেলে স্থানীয় কোর্ট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য্য। পরিচালনা করেন জেলা জাসদের সভাপতি আলহাজ কলন্দর আলী। বক্তব্য দেন জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ, আইনজীবী সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম শাহীন, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকান্দার আলী, বাসদের জেলা আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায় প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু ভারত সরকার করবে না। কিন্তু সার্ক সম্মেলন শেষ হতে না হতেই বাঁধ নির্মাণের চুক্তি করা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাঁরা বলেন, টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির চরম ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। বক্তারা বলেন, শিগগিরই সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট না করলে লাখো জনতাকে নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করা হবে।
প্রতিবাদ সভার পর একটি মিছিল করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। বিকেলে মুক্তস্বর সাংস্কৃতিক ফোরাম নামের একটি সংগঠন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে। উল্লেখ্য, বরাক নদীর ওপর টিপাইমুখ বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে ২২ অক্টোবর ভারতের দিলি্লতে একটি যৌথ বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

No comments

Powered by Blogger.