রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর বড় হার
শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম কোনো জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ 'এ' দল। তবে টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে ১ উইকেটে নাটকীয় জয়ের পরের ম্যাচেই স্বাগতিকদের কাছে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ 'এ'। আন্তর্জাতিক টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে জাতীয় দলের বাজে রেকর্ডের প্রধান কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা। ক্যারিবীয় সফরে 'এ' দলও একই সমস্যায় জর্জরিত।
সেন্ট লুসিয়ায় ৩ বল বাকি থাকতে জেতা ম্যাচে সফরকারীদের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল মাত্র ১০৪ রান। পরদিন একই মাঠে স্বাগতিকদের ১৫২ রানের ইনিংস তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ 'এ' দল করেছে মাত্র ৯৭ রান।শুক্রবারের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ক্যারিবীয়দের ভালোই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক ডোয়াইন স্মিথ। কিন্তু নাসির হোসেনের অফস্পিনে তাঁর বিদায়ের পর সেই শুরু আর ধরে রাখতে পারেনি স্থানীয় দলটি। ১৪ রান ৩ উইকেট নিয়ে সে ম্যাচের সফলতম বোলার নাসির। পেসার ফরহাদ রেজাও ৩ উইকেট নিয়েছেন ২৭ রান খরচে। তবে ম্যাচ জয়ে এ অলরাউন্ডারের ১৯ রানের ইনিংসটির গুরুত্বও কম নয়। ছোট এ টার্গেট তাড়া করতে নেমেও এক পর্যায়ে ৩৪ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসেছিল বাংলাদেশ 'এ' দল। সে বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধার করে তরুণ মমিনুল হক ও ফরহাদের ৪৫ রানের জুটি। সে জুটি ভাঙার পর ম্যাচের ভারসাম্য আরেকবার ওলটপালট হয়েছিল। তবে সোহরওয়ার্দী শুভ এবং সোহাগ গাজির মধ্যকার ১৩ রানের নবম উইকেট জুটির পর শেষ হার্ডলটা বাংলাদেশ 'এ' দল পার হয় শেষ ব্যাটসম্যান কামরুল ইসলাম রাবি্বর ব্যাটে।
শনিবারের ম্যাচে অবশ্য সে সুযোগও আসেনি লোয়ার অর্ডারের সামনে। এবার আর আউট হননি ডোয়াইন স্মিথ। ইনিংসের আদ্যন্ত খেলে ৭১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ৪ উইকেটে ১৫২ রানে নিয়ে যান তিনি। এ সফরে বাংলাদেশ 'এ' দলের ভঙ্গুর টপ অর্ডারের কাছ থেকে এর পাল্টা দেওয়ার সামর্থ্য আশা করা বৃথা। প্রায় পুরো ব্যাটিং লাইনআপই ব্যর্থ। উপরের ৮ ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অংকে পেঁৗছুতে সক্ষম হন মাত্র দুজন। এদের একজন প্রথম ম্যাচেও বাংলাদেশের টপ স্কোরার মমিনুল। ৩৫ বলে তিনি ৪২ রান করার পরও এ ম্যাচে বাংলাদেশ ইনিংসের 'সেঞ্চুরি' পূর্ণ হয়নি!
* সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রথম টোয়েন্টি টোয়েন্টি : ওয়েস্ট ইন্ডিজ 'এ' ২০ ওভার ১০৩/৯ (স্মিথ ৩৫, মোহাম্মদ ২৫, ব্র্যাথওয়েইট ২২; ফরহাদ ৩/২৭, নাসির ৩/১৪)। বাংলাদেশ 'এ' ১৯.৩ ওভার ১০৪/৯ (মমিনুল ২৫, ফরহাদ ১৯, সোহরাওয়ার্দী ৮*, সোহাগ ৭, কামরুল ৫*; সান্তোকি ৩/১৮)।
ফল : বাংলাদেশ 'এ' ১ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ফরহাদ রেজা।
দ্বিতীয় টোয়েন্টি টোয়েন্টি : ও. ইন্ডিজ 'এ' ২০ ওভার ১৫২/৪ (স্মিথ ৭১*, বাসকোম্ব ২৯, টমাস ২৫; কামরুল ২/৩০)। বাংলাদেশ 'এ' ২০ ওভার ৯৭/৯ (মমিনুল ৪২, সোহরাওয়ার্দী ১৭, সান্তোকি ৪/২৪)। ফল : ও. ইন্ডিজ 'এ' ৫৫ রানে জয়ী। সিরিজের ফল : ১-১ ম্যাচে ড্র।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ডোয়েন স্মিথ।
ম্যান অব দ্য সিরিজ : ডোয়েন স্মিথ।
শনিবারের ম্যাচে অবশ্য সে সুযোগও আসেনি লোয়ার অর্ডারের সামনে। এবার আর আউট হননি ডোয়াইন স্মিথ। ইনিংসের আদ্যন্ত খেলে ৭১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ৪ উইকেটে ১৫২ রানে নিয়ে যান তিনি। এ সফরে বাংলাদেশ 'এ' দলের ভঙ্গুর টপ অর্ডারের কাছ থেকে এর পাল্টা দেওয়ার সামর্থ্য আশা করা বৃথা। প্রায় পুরো ব্যাটিং লাইনআপই ব্যর্থ। উপরের ৮ ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অংকে পেঁৗছুতে সক্ষম হন মাত্র দুজন। এদের একজন প্রথম ম্যাচেও বাংলাদেশের টপ স্কোরার মমিনুল। ৩৫ বলে তিনি ৪২ রান করার পরও এ ম্যাচে বাংলাদেশ ইনিংসের 'সেঞ্চুরি' পূর্ণ হয়নি!
* সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রথম টোয়েন্টি টোয়েন্টি : ওয়েস্ট ইন্ডিজ 'এ' ২০ ওভার ১০৩/৯ (স্মিথ ৩৫, মোহাম্মদ ২৫, ব্র্যাথওয়েইট ২২; ফরহাদ ৩/২৭, নাসির ৩/১৪)। বাংলাদেশ 'এ' ১৯.৩ ওভার ১০৪/৯ (মমিনুল ২৫, ফরহাদ ১৯, সোহরাওয়ার্দী ৮*, সোহাগ ৭, কামরুল ৫*; সান্তোকি ৩/১৮)।
ফল : বাংলাদেশ 'এ' ১ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ফরহাদ রেজা।
দ্বিতীয় টোয়েন্টি টোয়েন্টি : ও. ইন্ডিজ 'এ' ২০ ওভার ১৫২/৪ (স্মিথ ৭১*, বাসকোম্ব ২৯, টমাস ২৫; কামরুল ২/৩০)। বাংলাদেশ 'এ' ২০ ওভার ৯৭/৯ (মমিনুল ৪২, সোহরাওয়ার্দী ১৭, সান্তোকি ৪/২৪)। ফল : ও. ইন্ডিজ 'এ' ৫৫ রানে জয়ী। সিরিজের ফল : ১-১ ম্যাচে ড্র।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ডোয়েন স্মিথ।
ম্যান অব দ্য সিরিজ : ডোয়েন স্মিথ।
No comments