ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-সংস্কৃতি চর্চায় মূর্ছনা by ইমদাদ হক
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক উৎসব। অডিটোরিয়াম ভাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো, টি-শার্ট করা, পোস্টারিং, ক্রেস্ট, আরও কত কাজ বাকি। বড় সমস্যা, এখন পর্যন্ত স্পন্সর জোগাড় হয়নি। এদিকে আবার ক্লাসের পাশাপাশি টিউটোরিয়াল। সঙ্গে ল্যাবের যন্ত্রণা তো আছেই। ছোট ছোট কাজগুলোও অনেক বড় আর কঠিন মনে হচ্ছে। স্বপ্নের প্রথম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রাম করতে পারব তো? অবশেষে স্পন্সর জোগাড়।
স্পন্সরের খবরে এত আনন্দিত হয়েছিলাম যে, চোখে পানি চলে আসে। আসলে এত আবেগ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে প্রোগ্রামটির আয়োজন করি যে, বাস্তবায়ন করতে না পারলে খুব খারাপ লাগত_ এ অনুভূতি বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন মূর্ছনার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাবিলা নূর কুহুর। সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে মানুষের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ সাধিত হয়। তাই তো প্রাত্যহিক ব্যস্ততার মধ্যেও এতটুকু প্রচেষ্টা।
মূর্ছনার সভাপতি অভিপ্রিয় চক্রবর্তী জানালেন সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট। ব্যস্ততার শেকলে বন্দি সারাক্ষণ। সূত্র, বিক্রিয়া, নতুনত্ব আবিষ্কার, ক্লাস, ল্যাব আর টিউটোরিয়াল নিয়েই সময় কাটে। রুটিনবদ্ধ নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। এরই মাঝে সময় খুঁজে ক্যাফেটেরিয়ায় গরম কফিতে চুমুক দেওয়া, কিংবা সবুজ ঘাসে বসে গিটারে সুর তোলা অথবা প্রকৃতির সানি্নধ্যে হারিয়ে যাওয়া সহজ হয় না শিক্ষার্থীদের। এরই মধ্যে এতটুকু অবসরে দেশীয় সংস্কৃতি উপভোগ একটু বাড়তি পাওনাই বটে। বাস্তবতার জগৎ থেকে বিনোদনের ছোঁয়ায় একটুখানি হারিয়ে যাওয়ার মধুর অনুভূতিটুকু শিক্ষার্থীদের কাছে প্রত্যাশিতই থাকে। এ প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যেই গঠিত হয় বুয়েটের সাংস্কৃতিক সংগঠন মূর্ছনা।
পড়াশোনার পাশাপাশি লালনের পাগলা সুরে মাতাল অথবা জীবনানন্দের কবিতায় বিমোহিত হওয়ার প্রত্যয়ে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মূর্ছনা। সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা নিষাদ জানান এর কার্যক্রম। গান, নাচ, আবৃত্তি ও বাদ্যযন্ত্র নিয়েই বিরক্ত করতে চাইলে অথবা বাগড়া বাধাতে চাইলে বাকিরা সমস্বরে গেয়ে উঠি 'ও ডাক্তার...।' হাসতে হাসতে মজার ঘটনা বলেন নিশমা নায়না প্রমা। মূর্ছনার মডারেটর বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক সেলিয়া শাহনাজ বলেন, সুষ্ঠু সংস্কৃতির চর্চা আর বিনোদনের ক্ষেত্রে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য মূর্ছনার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
মূর্ছনার সভাপতি অভিপ্রিয় চক্রবর্তী জানালেন সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট। ব্যস্ততার শেকলে বন্দি সারাক্ষণ। সূত্র, বিক্রিয়া, নতুনত্ব আবিষ্কার, ক্লাস, ল্যাব আর টিউটোরিয়াল নিয়েই সময় কাটে। রুটিনবদ্ধ নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। এরই মাঝে সময় খুঁজে ক্যাফেটেরিয়ায় গরম কফিতে চুমুক দেওয়া, কিংবা সবুজ ঘাসে বসে গিটারে সুর তোলা অথবা প্রকৃতির সানি্নধ্যে হারিয়ে যাওয়া সহজ হয় না শিক্ষার্থীদের। এরই মধ্যে এতটুকু অবসরে দেশীয় সংস্কৃতি উপভোগ একটু বাড়তি পাওনাই বটে। বাস্তবতার জগৎ থেকে বিনোদনের ছোঁয়ায় একটুখানি হারিয়ে যাওয়ার মধুর অনুভূতিটুকু শিক্ষার্থীদের কাছে প্রত্যাশিতই থাকে। এ প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যেই গঠিত হয় বুয়েটের সাংস্কৃতিক সংগঠন মূর্ছনা।
পড়াশোনার পাশাপাশি লালনের পাগলা সুরে মাতাল অথবা জীবনানন্দের কবিতায় বিমোহিত হওয়ার প্রত্যয়ে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মূর্ছনা। সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা নিষাদ জানান এর কার্যক্রম। গান, নাচ, আবৃত্তি ও বাদ্যযন্ত্র নিয়েই বিরক্ত করতে চাইলে অথবা বাগড়া বাধাতে চাইলে বাকিরা সমস্বরে গেয়ে উঠি 'ও ডাক্তার...।' হাসতে হাসতে মজার ঘটনা বলেন নিশমা নায়না প্রমা। মূর্ছনার মডারেটর বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক সেলিয়া শাহনাজ বলেন, সুষ্ঠু সংস্কৃতির চর্চা আর বিনোদনের ক্ষেত্রে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য মূর্ছনার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
No comments