শেয়ারবাজার-বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষার সিদ্ধান্ত অচিরেই ঘোষণা
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের চিহ্নিত ও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য ধাপে ধাপে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে সরকার। আইনগত খুঁটিনাটি পরীক্ষার পর আজ সোমবার অথবা অচিরেই সিদ্ধান্ত জানাবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ব্যাংকগুলোকে উদ্যোগ নিতে বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এই ক্ষেত্রে অনেক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এসইসির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও অপ্রদর্শিত আয়ের শর্তমুক্ত বিনিয়োগের বিষয়টি দ্রুত স্পষ্ট করবে।শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠকের পর গতকাল রবিবার রাতে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান এসইসির সদস্য হেলাল উদ্দিন নিজামী।
গতকাল সন্ধ্যায় শেরে বাংলানগরের প্লানিং কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে পুঁজিবাজার ও মুদ্রাবাজারের নীতিনির্ধারক, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৈঠকে সব বিষয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে এসইসির সদস্য হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, 'ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ১৬ নভেম্বর নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ অর্থমন্ত্রীও বলেছেন, প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে সরকার বদ্ধপরিকর।'
বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধাপে ধাপে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সরকার নেবে বলে জানান হেলাল উদ্দিন। তিনি আরো বলেন, 'আইনগত দিকসহ বিভিন্ন খুঁটিনাটি দেখতে কিছু সময়ের দরকার। তা ছাড়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের চিহ্নিত করা ও তাদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে সময়ের প্রয়োজন। এর পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
এসইসির এ সদস্য জানান, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে গত দুদিন ধরে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। হেলাল উদ্দিন বলেন, 'আগামীকাল (সোমবার) অথবা অচিরেই এ বিষয়ে আমরা আপনাদের জানাতে পারব বলে আশা করি।'
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন কয়েকজন কালের কণ্ঠকে জানান, পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগে কোনো বাধা নেই বলে সবাই একমত হয়েছেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআরআর ও এসএলআর কমানো এবং মার্জিন ঋণের সুদ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত (ব্লক) করা হবে কি না, সে বিষয়ে সোমবার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রণালয়, এসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংক একসঙ্গে বসে এ সিদ্ধান্ত নেবে। এ ছাড়া ব্যাংক ও বীমা কম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
শেয়ারবাজারের অব্যাহত দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে গত বুধবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন। গত চার দিন ধরে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলো নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করে সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শুক্রবার ছুটির দিনেও পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সরকারের তরফ থেকে রবিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এরপর থেকেই বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অপেক্ষা করছিলেন।
গতকালের বৈঠকে যোগ দিতে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্লানিং কমিশনের সম্মেলন কক্ষে আসতে শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বৈঠক শুরু হয়। চলে রাত ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও ড. মসিউর রহমান, পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য হাফিজ আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ তারেক, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন, সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন, এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শেফাক আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকাসের (বিএবি) সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার, বাংলাদেশ বীমা অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ কবীর হোসেন, এসইসির সব সদস্য, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফায়েকুজ্জামান, সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সামাদ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি শাকিল রিজভী, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমেদ, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সভাপতি কে. মাহমুদ সাত্তার প্রমুখ।
গতকাল সন্ধ্যায় শেরে বাংলানগরের প্লানিং কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে পুঁজিবাজার ও মুদ্রাবাজারের নীতিনির্ধারক, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৈঠকে সব বিষয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে এসইসির সদস্য হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, 'ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ১৬ নভেম্বর নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ অর্থমন্ত্রীও বলেছেন, প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে সরকার বদ্ধপরিকর।'
বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধাপে ধাপে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সরকার নেবে বলে জানান হেলাল উদ্দিন। তিনি আরো বলেন, 'আইনগত দিকসহ বিভিন্ন খুঁটিনাটি দেখতে কিছু সময়ের দরকার। তা ছাড়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের চিহ্নিত করা ও তাদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে সময়ের প্রয়োজন। এর পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
এসইসির এ সদস্য জানান, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে গত দুদিন ধরে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। হেলাল উদ্দিন বলেন, 'আগামীকাল (সোমবার) অথবা অচিরেই এ বিষয়ে আমরা আপনাদের জানাতে পারব বলে আশা করি।'
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন কয়েকজন কালের কণ্ঠকে জানান, পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগে কোনো বাধা নেই বলে সবাই একমত হয়েছেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআরআর ও এসএলআর কমানো এবং মার্জিন ঋণের সুদ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত (ব্লক) করা হবে কি না, সে বিষয়ে সোমবার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রণালয়, এসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংক একসঙ্গে বসে এ সিদ্ধান্ত নেবে। এ ছাড়া ব্যাংক ও বীমা কম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
শেয়ারবাজারের অব্যাহত দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে গত বুধবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন। গত চার দিন ধরে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলো নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করে সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শুক্রবার ছুটির দিনেও পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সরকারের তরফ থেকে রবিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এরপর থেকেই বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অপেক্ষা করছিলেন।
গতকালের বৈঠকে যোগ দিতে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্লানিং কমিশনের সম্মেলন কক্ষে আসতে শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বৈঠক শুরু হয়। চলে রাত ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও ড. মসিউর রহমান, পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য হাফিজ আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ তারেক, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন, সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন, এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শেফাক আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকাসের (বিএবি) সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার, বাংলাদেশ বীমা অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ কবীর হোসেন, এসইসির সব সদস্য, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফায়েকুজ্জামান, সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সামাদ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি শাকিল রিজভী, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমেদ, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সভাপতি কে. মাহমুদ সাত্তার প্রমুখ।
No comments