চিঠিপত্র-ভাংতি নাই, চকলেট আছে

বাংলাদেশে এক টাকা ও দুই টাকার নোটের সংকট দেখা দিয়েছে। এক টাকা ও দুই টাকার ভাংতির পরিবর্তে দোকানদাররা ক্রেতাকে চকোলেট ধরিয়ে দিচ্ছে। কিছু অসাধু লোক এক টাকার কয়েন ভারতে পাচার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দুই টাকার নোটও নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে। এক টাকা ও দুই টাকার নোটের সংকটের কারণে চকোলেট কোম্পানির আয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।


কেউ কেউ চকোলেট না নিয়ে দোকানদারকে এক টাকা, দুই টাকা অতিরিক্ত দিচ্ছেন। এই অতিরিক্ত টাকা কোনো অসহায় মানুষকে দিলেও তার কাজে লাগত। সিলেটের একটি খাবার হোটেলে খাওয়ার পর বিল দেওয়ার সময় দুই টাকা খুচরা ছিল না বলে আমাকে একটি টোকেন ধরিয়ে দেওয়া হলো। পরবর্তী সময়ে ওই হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করলে এই টোকেনটি দুই টাকা হিসেবে ধরা হবে। আর যদি না যাই তাহলে এই দুই টাকা পাওয়া যাবে না। সেখানকার আরও কয়েকটি দোকানে দেখলাম একই অবস্থা। ভাংতির পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে টোকেন। আর ঢাকায় বলা হচ্ছে_ ভাংতি নাই চকলেট নেন অথবা পরে এক টাকা কম দিয়েন। এ কথা কেউ বলছে না এক টাকা কম দেন। ছেঁড়া দুই টাকার নোট কেউ না নিতে চাইলে বলা হচ্ছে, দুই টাকার নোট অচল নাই। এক টাকা ও দুই টাকার নোটের সমস্যার সমাধান প্রয়োজন।
রফিকুল ইসলাম সাগর
বনানী, ঢাকা
রৌমারীতে ইসলামী ব্যাংকের শাখা চাই
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানা একটি ঘনবসতিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক এলাকা। এখানে প্রায় ৫০টির মতো হাটবাজারসহ ৮টি কলেজ, ২৬টি হাই স্কুল ও মাদ্রাসা এবং ১০০টির মতো প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সীমান্ত হাটসহ সীমিত করিডোর ব্যবস্থা রয়েছে। এই এলাকার বিপুল জনগোষ্ঠী দেশের বাইরে কর্মরত এবং তাদের বৈদেশিক রেমিট্যান্সসহ অভ্যন্তরীণ সব ব্যাংকিং চাহিদা মেটানোর জন্য একটি সোনালী ও একটি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃপক্ষের কাছে এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ শাখা খোলার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রদীপ কুমার সাহা
সভাপতি, রৌমারী বাজার বণিক সমিতি, রৌমারী, কুড়িগ্রাম
বর্ধিত ফি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধিত ফি নিয়ে বিপাকে পড়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখিও হয়েছে। ভর্তি ফি গতবারের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ইচ্ছামতো টাকা নিচ্ছে। এতে করে সমস্যায় পড়েছে নতুন শিক্ষার্থীরা। যারা দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে তাদের কী হবে? বাবা-মা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করাচ্ছেন বড় হওয়ার জন্য, আর তার জন্য রয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ এখানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় দরিদ্র পরিবারের কথা চিন্তা করে এই বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করে নেবে।
মিঠুন
ভর্তিচ্ছু, জাবি
কোটা আর লবিং আতঙ্কে মেধাবীরা
বর্তমান সময়ে একটা ভালো চাকরি মানে সোনার হরিণ। তবে যাদের লবিং রয়েছে তাদের চাকরি নিয়ে তেমন মাথাব্যথা থাকে না। অন্যদিকে যারা কোনো না কোনো কোটার আওতাভুক্ত তারাও চাকরির ব্যাপারে অনেকটা নিশ্চিন্ত। যারা মেধাবী তাদের যত চিন্তা, ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেও ভালো কোনো চাকরি হবে কি-না তা নিয়ে সর্বদাই চিন্তার সাগরে নিমজ্জিত থাকতে হয়। ৪৫% চাকরির সুযোগ মেধাবীদের তথাকথিত ভরসা। তথাকথিত বলার কারণ হচ্ছে এখানে অলিখিত আরেকটি কোটা আছে সেটা হলো 'লবিং' কোটা! মামা কিংবা খালুর সুবাদে যার লবিংয়ের জোর যত বেশি সে চাকরি প্রাপ্তির যোগ্যতায় অন্যদের চেয়ে তত বেশি এগিয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে আগেভাগেই ঠিক করা থাকে কাকে চাকরি দেওয়া হবে, শুধু লোক দেখানো মৌখিক পরীক্ষা হয় মাত্র। এমনিতেই চাকরির খরা তার ওপর আবার এতসব ঘটনা মেধাবীদের দুশ্চিন্তায় নতুন মাত্রা যোগ করছে। এগুলো বলার মানে এই নয় যে, আমি কোটাভুক্তদের অযোগ্য বলছি কিংবা তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত নয়_ এ রকম বলতে চাচ্ছি। বরং আমি বলতে চাই তাদের প্রয়োজনে আরও সুযোগ দেওয়া হোক। তবে অবশ্যই সেটা অন্য কোনো উপায়ে, নিশ্চয়ই অন্য কাউকে বঞ্চিত করে নয়। একজন মেধাবীকে টপকে আরেকজন অপেক্ষকৃত কম মেধাবী কেন এগিয়ে থাকবে?
বিকাশ কীর্ত্তনিয়া
শিক্ষার্থী, বাকৃবি, ময়মনসিংহ

No comments

Powered by Blogger.