সোমালিয়ায় আত্মঘাতী বোমা হামলা, তিন মন্ত্রীসহ নিহত ১৯

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর শামো হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় তিনজন মন্ত্রীসহ কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। হামলার সময় ওই হোটেলে স্থানীয় বানাদির বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক-উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহত মন্ত্রীরা হলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কামার আদেন আলী, শিক্ষামন্ত্রী আহমেদ আবদুলাহি ওয়াইল ও উচ্চতর শিক্ষামন্ত্রী ইব্রাহিম হাসান আদ্দাউ। তিন মন্ত্রী নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কেনিয়ায় নিযুক্ত সোমালি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আলী নূর সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমাদের ক্রীড়ামন্ত্রী সুলেমান ওলাদ রবলে আহত হয়েছেন। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন।’ তিনি বলেন, এ হামলায় ১৯ জন শিক্ষার্থী ও আরও ৪০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে খবরের সত্যতা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
কর্মকর্তারা জানান, গতকাল ওই হোটেলে বানাদির বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩ জন শিক্ষার্থীর স্নাতক সনদ প্রদান অনুষ্ঠান চলাকালে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় হোটেলের সম্মেলন কক্ষে পাঁচজন মন্ত্রীসহ কয়েক শ লোক উপস্থিত ছিলেন। বিস্ফোরণের পর হোটেলের ভেতর ও বাইরে হতাহত লোকজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে আল-জাজিরার সাংবাদিক মোহাম্মদ আদাউ জানান, নারীর বেশ ধরা এক ব্যক্তি নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে সম্মেলন কক্ষে ঢুকে এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক নিহত হন বলে তিনি জানান। দুবাইভিত্তিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আল-আরাবিয়ার কর্মকর্তারা জানান, এ ঘটনায় হাসান আল-জুবায়ের নামে তাঁদের একজন ক্যামেরাম্যান নিহত হয়েছেন। সাবেলে রেডিও ও অপর এক বার্তা সংস্থার সাংবাদিকও এ ঘটনায় নিহত হন।
মোহাম্মদ আলী নূর বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই দুঃসময়ে আমাদের দেশকে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি।’
এখনো কেউ এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। বর্তমানে সোমালিয়ার ক্ষমতায় রয়েছে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার, যা ট্রানজিশনাল ফেডারেল গভর্নমেন্ট নামে পরিচিত। ইসলামি গেরিলারা এখন তাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। দেশের কিছু ছোট এলাকা তারা দখলও করে নিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.