সবচেয়ে বেশি অভিযুক্ত করা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে by শওকত হোসেন
মিডিয়া সেন্টারের ডিসপ্লে বোর্ডে প্রতিদিনকার সংবাদ সম্মেলনের সূচি দেওয়া থাকে। শেষদিন অর্থাত্ আজকের জন্য যে তালিকা দেওয়া আছে তাতে সবার আগে নাম যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি রোনাল্ড কার্কের। দুই দিন আগে থেকেই বলা হচ্ছে, তিনি একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন। এখন (এই প্রতিবেদন লেখার সময়) জেনেভা সময় সকাল ১০টা। এখন পর্যন্ত বলা হলো না কার্কের সংবাদ সম্মেলনটা কখন হবে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের সপ্তম সম্মেলনে তুলনামূলকভাবে সংবাদ সম্মেলন কম হচ্ছে। তার পরও প্রতি ঘণ্টায় কোনো না কোনো দেশ বা গ্রুপ সাংবাদিকদের অগ্রগতি জানিয়ে যাচ্ছে। তবে নিঃসন্দেহে সবার চোখ পড়ে আছে রন কার্কের দিকে।
এমনিতেই কিছু দেশ ডব্লিউটিওর আলোচনা বিশেষ করে দোহা উন্নয়ন আলোচনার ধীরগতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে। এর মধ্যে শীর্ষে আছে ব্রাজিলের নাম। দেশটির দলনেতা পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেলসো অ্যামোরিম বলেছেন, আগের যেকোনো বাণিজ্য আলোচনায় উন্নত দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবদান ছিল অনেক বেশি। এখন যদি প্রত্যাশা করা হয়, আলোচনার সফল সমাপ্তির জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বাড়তি ছাড় দিতে হবে, তাহলে সেটি হবে অযৌক্তিক।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সমস্যার মধ্যে আছি। স্থবির হয়ে যাওয়ার সমস্যায় সবাই। এই সমস্যা উত্তরণে যত দেরি হবে তত বেশি অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মানুষ চাকরি হারাবে। আর গরিব দেশগুলোতে এর ফলে অনেক কম মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বের হয়ে আসতে পারবে।’
এদিকে গতকাল সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে দিনভর প্রতিনিধিরা ডব্লিউটিওর কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করেছেন। এ ছাড়া এ সময় দোহা উন্নয়ন পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
এই কর্ম-অধিবেশনের আলোচনায় একটি বড় অংশ ছিল আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি। অনেক দেশই বহুপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনা বাদ দিয়ে আঞ্চলিক বাণিজ্য আলোচনা ও চুক্তি করছে। এর মধ্যে কিছু কিছু আলোচনা ও চুক্তি ডব্লিউটিওর মৌলিক নীতির বাইরে চলে যাচ্ছে।
সম্মেলনে সবাই একমত, এ ধরনের আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি বহুপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনার জন্য ক্ষতিকর। সবাই মনে করেন, এমনভাবে আলোচনা করতে হবে, যা বহুপক্ষীয় বাণিজ্যব্যবস্থার পরিপূরক হয়। এসব ক্ষেত্রে বাণিজ্য উদারীকরণের নীতিমালা যেন বজায় থাকে তাও নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় আরও আলোচনা হয়েছে, উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য বাজারসুবিধা দেওয়াই পর্যাপ্ত হবে না। কেননা, বাজারসুবিধা দেওয়া হলেও সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। তা না হলে বাজারসুবিধা কাজে লাগানো যাবে না।
বিশেষ করে সরবরাহের ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করতে হবে। আর এ জন্য বাণিজ্যের জন্য সাহায্য বা এইড ফর ট্রেড-সুবিধা বাড়াতে হবে। অনেকগুলো দেশের প্রতিনিধি এ সময় বলেছেন, উন্নত দেশগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা যেন তারা রক্ষা করে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এমনিতেই অর্থায়ন সমস্যায় ভুগছে। বিশেষ করে বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা তারল্য সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এর ফলে এইড ফর ট্রেড কতখানি সম্প্রসারিত হবে, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক প্যাসকাল লামি এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি নিজেও এ সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন।
সবশেষে এই বৈঠকে নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি দ্রুত করারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিছুটা হতাশা ব্যক্ত করে সদস্য হতে আগ্রহীদের নিয়ে সম্মেলনে বলা হয়, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ দ্রুত নেওয়া হচ্ছে না।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের সপ্তম সম্মেলনে তুলনামূলকভাবে সংবাদ সম্মেলন কম হচ্ছে। তার পরও প্রতি ঘণ্টায় কোনো না কোনো দেশ বা গ্রুপ সাংবাদিকদের অগ্রগতি জানিয়ে যাচ্ছে। তবে নিঃসন্দেহে সবার চোখ পড়ে আছে রন কার্কের দিকে।
এমনিতেই কিছু দেশ ডব্লিউটিওর আলোচনা বিশেষ করে দোহা উন্নয়ন আলোচনার ধীরগতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে। এর মধ্যে শীর্ষে আছে ব্রাজিলের নাম। দেশটির দলনেতা পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেলসো অ্যামোরিম বলেছেন, আগের যেকোনো বাণিজ্য আলোচনায় উন্নত দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবদান ছিল অনেক বেশি। এখন যদি প্রত্যাশা করা হয়, আলোচনার সফল সমাপ্তির জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বাড়তি ছাড় দিতে হবে, তাহলে সেটি হবে অযৌক্তিক।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সমস্যার মধ্যে আছি। স্থবির হয়ে যাওয়ার সমস্যায় সবাই। এই সমস্যা উত্তরণে যত দেরি হবে তত বেশি অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মানুষ চাকরি হারাবে। আর গরিব দেশগুলোতে এর ফলে অনেক কম মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বের হয়ে আসতে পারবে।’
এদিকে গতকাল সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে দিনভর প্রতিনিধিরা ডব্লিউটিওর কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করেছেন। এ ছাড়া এ সময় দোহা উন্নয়ন পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
এই কর্ম-অধিবেশনের আলোচনায় একটি বড় অংশ ছিল আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি। অনেক দেশই বহুপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনা বাদ দিয়ে আঞ্চলিক বাণিজ্য আলোচনা ও চুক্তি করছে। এর মধ্যে কিছু কিছু আলোচনা ও চুক্তি ডব্লিউটিওর মৌলিক নীতির বাইরে চলে যাচ্ছে।
সম্মেলনে সবাই একমত, এ ধরনের আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি বহুপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনার জন্য ক্ষতিকর। সবাই মনে করেন, এমনভাবে আলোচনা করতে হবে, যা বহুপক্ষীয় বাণিজ্যব্যবস্থার পরিপূরক হয়। এসব ক্ষেত্রে বাণিজ্য উদারীকরণের নীতিমালা যেন বজায় থাকে তাও নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় আরও আলোচনা হয়েছে, উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য বাজারসুবিধা দেওয়াই পর্যাপ্ত হবে না। কেননা, বাজারসুবিধা দেওয়া হলেও সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। তা না হলে বাজারসুবিধা কাজে লাগানো যাবে না।
বিশেষ করে সরবরাহের ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করতে হবে। আর এ জন্য বাণিজ্যের জন্য সাহায্য বা এইড ফর ট্রেড-সুবিধা বাড়াতে হবে। অনেকগুলো দেশের প্রতিনিধি এ সময় বলেছেন, উন্নত দেশগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা যেন তারা রক্ষা করে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এমনিতেই অর্থায়ন সমস্যায় ভুগছে। বিশেষ করে বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা তারল্য সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এর ফলে এইড ফর ট্রেড কতখানি সম্প্রসারিত হবে, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক প্যাসকাল লামি এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি নিজেও এ সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন।
সবশেষে এই বৈঠকে নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি দ্রুত করারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিছুটা হতাশা ব্যক্ত করে সদস্য হতে আগ্রহীদের নিয়ে সম্মেলনে বলা হয়, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ দ্রুত নেওয়া হচ্ছে না।
No comments