সবই দেখেছে বাংলাদেশ
কখনো গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়। কখনো ফাইনালে ওঠা। আবার কখনো শিরোপা আলিঙ্গন। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল-শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সব ধরনের অভিজ্ঞতাই হয়েছে বাংলাদেশের।
সুখকর অভিজ্ঞতা একবারই। ২০০৩ সালে দেশের মাটিতে শিরোপা জয়। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম-ভর্তি দর্শকের সামনে ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল মালদ্বীপ। জয় এসেছিল টাইব্রেকারে।
এই মাহেন্দ্রক্ষণটা আসতে পারত ১৯৯৯ গোয়া সাফ ফুটবলেই। আসেনি ফাইনালে ভারতের কাছে ০-২ হেরে যাওয়ায়। তৃতীয় আসরে অপেক্ষার পালা শেষ হলেও সেই অর্জনটা ধরে রাখা যায়নি পরের টুর্নামেন্টে। করাচিতে ফাইনালে আবার ভারতের কাছে ০-২ গোলে হার।
তবু তো দুবার আশাটা বেঁচে ছিল ফাইনাল পর্যন্ত। একবার তো আশাপূরণই হয়েছে। পাঁচটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটিতেই ফাইনালে খেলা বাংলাদেশ কিনা বাকি দুটি টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বই পেরোতে পারেনি!
সর্বশেষ গত বছর কলম্বো সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ কী করল? গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়া এই দলটাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর বড় কারণ নয়। আসল কারণ, দলে ছিল নানা দ্বন্দ্ব। খেলোয়াড়দের মধ্যে গ্রুপিং, কোচের কাজে হস্তক্ষেপ—সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অবস্থা হয়েছিল পথ হারানো পথিকের মতো।
টুর্নামেন্টের আগে তড়িঘড়ি করে কয়েক দিন অনুশীলন, দায়সারা দু-একটা প্রস্তুতি ম্যাচ, দলে শেষ মুহূর্তে কার না-কার পছন্দের খেলোয়াড় ঢুকিয়ে দেওয়া—এসবই ডেকে এনেছিল ব্যর্থতা। আর এই ব্যর্থতায় সবচেয়ে বেশি পুড়েছেন কোচ-অধিনায়ক। তবে ’৯৭-তে অটো ফিস্টার-মোনেম মুন্না, ’৯৯-তে সামির শাকির-জুয়েল রানা, ২০০৫-এ ত্রুদ্ধসিয়ানি-জয়, ২০০৮-এ আবু ইউসুফ-আমিনুল জুটির চেয়ে আলাদা হয়ে আছে জর্জ কোটান-রজনী জুটি। এই জুটিই ২০০৩ সালে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে অধরা শিরোপা।
’৯৭-এ গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেওয়ার কারণ হিসেবে সব কটি সাফ ফুটবলেই খেলা সাবেক অধিনায়ক হাসান আল মামুন বলছেন, ‘প্রস্তুতির অভাবই মূল কারণ ছিল সেবার। দলবদলের কারণে খেলোয়াড়দের নিয়ে টানাটানি চলছিল। অনুশীলন ব্যাঘাত হয়েছে খুব। যার পরিণতিতে গ্রুপ থেকেই বাদ।’ এই ডিফেন্ডারের চোখে গতবারের ব্যর্থতার কারণ, ‘প্রস্তুতি ভালোই ছিল। কিন্তু শেষ সময়ে দলে তিনজন খেলোয়াড় যোগ করায় ছন্দপতন হয়েছে। এই পরিবর্তন না হলেই ভালো হতো।’
১৯৯৯ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেও বাংলাদেশ শিরোপা জিততে পারেনি কেন? মামুনের কাছে কারণটা পরিষ্কার, ‘তখন ভারত আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। ওই পরাজয়কে স্বাভাবিকই বলব।’ ২০০৫? ‘অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম আমরা। ফাইনালে তাই হেরে গেছি।’ ২০০৩? ‘এবার মূল টিম স্পিরিট ছিল তুঙ্গে। তখন বয়-বেয়ারা থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত দলের ভালো নিয়ে চিন্তা করত। সবদিক থেকেই সহযোগিতা পেয়ে আমরা জিতেছিলাম’—হাসান আল মামুন কি সবাইকে একাত্ম হওয়ার কথাই মনে করিয়ে দিলেন আবার?
সুখকর অভিজ্ঞতা একবারই। ২০০৩ সালে দেশের মাটিতে শিরোপা জয়। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম-ভর্তি দর্শকের সামনে ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল মালদ্বীপ। জয় এসেছিল টাইব্রেকারে।
এই মাহেন্দ্রক্ষণটা আসতে পারত ১৯৯৯ গোয়া সাফ ফুটবলেই। আসেনি ফাইনালে ভারতের কাছে ০-২ হেরে যাওয়ায়। তৃতীয় আসরে অপেক্ষার পালা শেষ হলেও সেই অর্জনটা ধরে রাখা যায়নি পরের টুর্নামেন্টে। করাচিতে ফাইনালে আবার ভারতের কাছে ০-২ গোলে হার।
তবু তো দুবার আশাটা বেঁচে ছিল ফাইনাল পর্যন্ত। একবার তো আশাপূরণই হয়েছে। পাঁচটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটিতেই ফাইনালে খেলা বাংলাদেশ কিনা বাকি দুটি টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বই পেরোতে পারেনি!
সর্বশেষ গত বছর কলম্বো সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ কী করল? গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়া এই দলটাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর বড় কারণ নয়। আসল কারণ, দলে ছিল নানা দ্বন্দ্ব। খেলোয়াড়দের মধ্যে গ্রুপিং, কোচের কাজে হস্তক্ষেপ—সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অবস্থা হয়েছিল পথ হারানো পথিকের মতো।
টুর্নামেন্টের আগে তড়িঘড়ি করে কয়েক দিন অনুশীলন, দায়সারা দু-একটা প্রস্তুতি ম্যাচ, দলে শেষ মুহূর্তে কার না-কার পছন্দের খেলোয়াড় ঢুকিয়ে দেওয়া—এসবই ডেকে এনেছিল ব্যর্থতা। আর এই ব্যর্থতায় সবচেয়ে বেশি পুড়েছেন কোচ-অধিনায়ক। তবে ’৯৭-তে অটো ফিস্টার-মোনেম মুন্না, ’৯৯-তে সামির শাকির-জুয়েল রানা, ২০০৫-এ ত্রুদ্ধসিয়ানি-জয়, ২০০৮-এ আবু ইউসুফ-আমিনুল জুটির চেয়ে আলাদা হয়ে আছে জর্জ কোটান-রজনী জুটি। এই জুটিই ২০০৩ সালে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে অধরা শিরোপা।
’৯৭-এ গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেওয়ার কারণ হিসেবে সব কটি সাফ ফুটবলেই খেলা সাবেক অধিনায়ক হাসান আল মামুন বলছেন, ‘প্রস্তুতির অভাবই মূল কারণ ছিল সেবার। দলবদলের কারণে খেলোয়াড়দের নিয়ে টানাটানি চলছিল। অনুশীলন ব্যাঘাত হয়েছে খুব। যার পরিণতিতে গ্রুপ থেকেই বাদ।’ এই ডিফেন্ডারের চোখে গতবারের ব্যর্থতার কারণ, ‘প্রস্তুতি ভালোই ছিল। কিন্তু শেষ সময়ে দলে তিনজন খেলোয়াড় যোগ করায় ছন্দপতন হয়েছে। এই পরিবর্তন না হলেই ভালো হতো।’
১৯৯৯ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেও বাংলাদেশ শিরোপা জিততে পারেনি কেন? মামুনের কাছে কারণটা পরিষ্কার, ‘তখন ভারত আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। ওই পরাজয়কে স্বাভাবিকই বলব।’ ২০০৫? ‘অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম আমরা। ফাইনালে তাই হেরে গেছি।’ ২০০৩? ‘এবার মূল টিম স্পিরিট ছিল তুঙ্গে। তখন বয়-বেয়ারা থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত দলের ভালো নিয়ে চিন্তা করত। সবদিক থেকেই সহযোগিতা পেয়ে আমরা জিতেছিলাম’—হাসান আল মামুন কি সবাইকে একাত্ম হওয়ার কথাই মনে করিয়ে দিলেন আবার?
No comments