রুগ্ণ শিল্পের নীতিমালা করা হবে: অর্থমন্ত্রী

রুগ্ণ শিল্পের দীর্ঘদিনের সমস্যা মোকাবিলায় নতুন একটি নীতিমালা করার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী এও বলেছেন, ‘রুগ্ণদের ঘুরে দাঁড়ানোর দায়িত্ব তাদের নিজেদেরই। ১৫ বছরে যারা দাঁড়াতে পারেনি, তাদের টিকে থাকার দরকার নেই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ রুগ্ণ শিল্প সমিতির এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দলটির নেতৃত্ব দেন সমিতির সভাপতি চৌধুরী মুহাম্মদ ইসহাক।
সমিতি অর্থমন্ত্রীর কাছে রুগ্ণ শিল্পকে আইনি কাঠামোর মধ্যে এনে সমস্যা সমাধানে দ্রুত ‘বাংলাদেশ রুগ্ণ শিল্প আইন’ প্রণয়ন এবং মন্দা মোকাবিলায় ঘোষিত প্রণোদনা গুচ্ছ থেকে অর্থ সহায়তার দাবি জানায়।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা, নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অগ্নিকাণ্ড, নদীভাঙন, সরকারি নীতিমালার ধারাবাহিকতা না থাকাসহ অসংখ্য কারণে এসব শিল্প রুগ্ণ হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রীর কাছে লিখিত দাবি তুলে ধরে সমিতি।
এতে দেশের রুগ্ণ শিল্পগুলোকে পুনরায় চালু করার স্বার্থে যেসব শিল্প ব্যাংক ঋণ থেকে অব্যাহতি পেতে চায়. তাদের বকেয়া মূল ঋণ কিস্তিতে পরিশোধের ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, রুগ্ণ শিল্পে বিদ্যমান সংকট নিরসন করতে একটি নীতিমালা করা হবে। ইতিমধ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে। একটি ভালো দিক হলো, সমিতি দাবিগুলো তুলে ধরেছে। নীতিমালা প্রণয়নের সময় এ দাবিগুলো বিবেচনা করা হবে।
অন্যদিকে সমিতির সভাপতি চৌধুরী মুহাম্মদ ইসহাক বলেন, ‘রুগ্ণ শিল্পের মধ্যে এমন অনেক শিল্প আছে, যেগুলোকে নীতিগত সহায়তা দিলেই পুনরায় চালু করা সম্ভব। আর চালু হলেই ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে তারা সক্ষম হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে সমিতির সভাপতি বলেন, রুগ্ণ শিল্পের মালিকদের ঋণ খেলাপি বলা যায় না। অর্থঋণ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে, তাও অবৈধ।

No comments

Powered by Blogger.