জারদারি কি কেবল রাষ্ট্রপ্রধান হয়েই থাকতে চান?
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি চাপের মুখে পড়ছেন। চারদিক থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমস্যা তাঁকে ঘিরে ধরেছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম, বিচারব্যবস্থা, মহাপরাক্রমশালী সামরিক বাহিনী ও পার্লামেন্টের সদস্যরা তাঁদের প্রেসিডেন্টকে চাপে রেখেছেন। এই চাপের মুখে প্রেসিডেন্ট জারদারি সাময়িকভাবে হলেও নিজেই নিজের কিছু ক্ষমতা রদ করতে উদ্যত হয়েছেন। তাঁর এই উদ্যোগের ফলে তিনি হতে চলেছেন পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে কম ক্ষমতার অধিকারী একজন প্রেসিডেন্ট।
পাকিস্তানি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ও ভারতের প্রতি নরম মনোভাবের জন্য প্রেসিডেন্ট জারদারির ওপর কিছুটা অখুশি। তবে পাকিস্তানি সামরিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, যেহেতু পাকিস্তান সামরিক বাহিনী তাদের চলমান তালেবানবিরোধী অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক যন্ত্রপাতির ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল, সেহেতু তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সম্পর্ককে মেনেই নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দিন আগে প্রেসিডেন্ট জারদারির কাছে বিশেষ দূত পাঠিয়ে পাকিস্তানের কাছে ‘বিশেষ কৌশলগত’ সম্পর্কের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে।
রাজনৈতিক দিক দিয়ে চাপের মুখে পড়তে পড়তেও বেঁচে গেছেন প্রেসিডেন্ট জারদারি। বেঁচে গেছেন না বলে বলা উচিত তাঁকে বাঁচিয়েছেন তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লিগ—নওয়াজপ্রধান ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সম্প্রতি তিনি এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে বলেছেন, পাকিস্তানের গণতন্ত্রের স্বার্থেই কোনো প্রকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোর বিরোধী তিনি। এমনকি তিনি ক্ষমতার ভাগাভাগিতেও যেতে রাজি নন। তবে অনেকে মনে করেন, মুখে নওয়াজ এ কথা বললেও তিনি জারদারিকে সময় দিয়ে দেখছেন। তিনি হয়তো বুঝতে পারছেন, জারদারি নিজেই একদিন নিজের ধ্বংস ডেকে আনবেন। নওয়াজ শরিফ হয়তো সেই দিনটির অপেক্ষায়ই রয়েছেন।
নওয়াজ শরিফ তাঁর সেই টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তান অনেক পেছনে পড়ে রয়েছে। তিনি এ জন্য পাকিস্তানের স্বার্থান্বেষী রাজনীতিকে দায়ী করেছেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের আরেক হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীকে। তবে বিচারপতি ইফতিখারও কেন যেন নিজেকে ‘জারদারি ঘায়েল’ কর্মকাণ্ড থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রেখেছেন। কারণ কিছুদিন আগেও তিনি জারদারির বিরুদ্ধে যতটা সোচ্চার ছিলেন, এখন তিনি ততটাই নরম।
এদিকে কিছু ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির সঙ্গেও জারদারির মতবিরোধ দানা বেঁধেছে। পাকিস্তান দেশটি আসলে কে চালাচ্ছে, জারদারি না গিলানি—এ নিয়েও নানা বিতর্ক নানা সময়ে উঠে এসেছে। গত শুক্রবার জারদারি নিজের ক্ষমতা কমানোর পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার ক্ষমতাও ছেড়ে দিয়েছেন। জারদারি-গিলানি ক্ষমতার লড়াই শুরু হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জার্মানি সফররত প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেছেন, ‘জারদারি নন, দেশ আমিই চালাই।’ প্রেসিডেন্ট জারদারি অবশ্য একের পর এক নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী গিলানির হাতে ছেড়ে দিয়ে নিজেদের ভঙ্গুর রাজনৈতিক সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন। রাজনৈতিক চাপ থেকে বাঁচতে জারদারি হয়তো পাকিস্তানের প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান হয়েই থাকতে চান।
পাকিস্তানি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ও ভারতের প্রতি নরম মনোভাবের জন্য প্রেসিডেন্ট জারদারির ওপর কিছুটা অখুশি। তবে পাকিস্তানি সামরিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, যেহেতু পাকিস্তান সামরিক বাহিনী তাদের চলমান তালেবানবিরোধী অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক যন্ত্রপাতির ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল, সেহেতু তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সম্পর্ককে মেনেই নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দিন আগে প্রেসিডেন্ট জারদারির কাছে বিশেষ দূত পাঠিয়ে পাকিস্তানের কাছে ‘বিশেষ কৌশলগত’ সম্পর্কের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে।
রাজনৈতিক দিক দিয়ে চাপের মুখে পড়তে পড়তেও বেঁচে গেছেন প্রেসিডেন্ট জারদারি। বেঁচে গেছেন না বলে বলা উচিত তাঁকে বাঁচিয়েছেন তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লিগ—নওয়াজপ্রধান ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সম্প্রতি তিনি এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে বলেছেন, পাকিস্তানের গণতন্ত্রের স্বার্থেই কোনো প্রকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোর বিরোধী তিনি। এমনকি তিনি ক্ষমতার ভাগাভাগিতেও যেতে রাজি নন। তবে অনেকে মনে করেন, মুখে নওয়াজ এ কথা বললেও তিনি জারদারিকে সময় দিয়ে দেখছেন। তিনি হয়তো বুঝতে পারছেন, জারদারি নিজেই একদিন নিজের ধ্বংস ডেকে আনবেন। নওয়াজ শরিফ হয়তো সেই দিনটির অপেক্ষায়ই রয়েছেন।
নওয়াজ শরিফ তাঁর সেই টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তান অনেক পেছনে পড়ে রয়েছে। তিনি এ জন্য পাকিস্তানের স্বার্থান্বেষী রাজনীতিকে দায়ী করেছেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের আরেক হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীকে। তবে বিচারপতি ইফতিখারও কেন যেন নিজেকে ‘জারদারি ঘায়েল’ কর্মকাণ্ড থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রেখেছেন। কারণ কিছুদিন আগেও তিনি জারদারির বিরুদ্ধে যতটা সোচ্চার ছিলেন, এখন তিনি ততটাই নরম।
এদিকে কিছু ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির সঙ্গেও জারদারির মতবিরোধ দানা বেঁধেছে। পাকিস্তান দেশটি আসলে কে চালাচ্ছে, জারদারি না গিলানি—এ নিয়েও নানা বিতর্ক নানা সময়ে উঠে এসেছে। গত শুক্রবার জারদারি নিজের ক্ষমতা কমানোর পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার ক্ষমতাও ছেড়ে দিয়েছেন। জারদারি-গিলানি ক্ষমতার লড়াই শুরু হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জার্মানি সফররত প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেছেন, ‘জারদারি নন, দেশ আমিই চালাই।’ প্রেসিডেন্ট জারদারি অবশ্য একের পর এক নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী গিলানির হাতে ছেড়ে দিয়ে নিজেদের ভঙ্গুর রাজনৈতিক সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন। রাজনৈতিক চাপ থেকে বাঁচতে জারদারি হয়তো পাকিস্তানের প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান হয়েই থাকতে চান।
No comments