যুদ্ধ এবং ফুটবল
একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট, যেখানে জাতীয় পতাকায় গৌরবেরও রং মাখানো যায়, তাতে ভালো করার প্রত্যাশা থাকেই। ইসরাফিল কোহিস্তানিরও তেমনই প্রত্যাশা। বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দলের সর্বোচ্চ ভালোটা চান আফগানিস্তান ফুটবল দলের অধিনায়ক।
টুর্নামেন্টটা ঢাকায়—এটা বাড়তি একটা অনুপ্রেরণা। গৃহযুদ্ধের রক্ত, ধ্বংস আর বিভীষিকা মাড়িয়ে আফগানিস্তান আন্তর্জাতিক ফুটবলে পুনর্বাসনের সকালটা তো দেখেছিল এই ঢাকাতেই। ২০০৩ ঢাকা সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপই ছিল তাদের জন্য সবচেয়ে বড় আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। আফগানিস্তানের ফুটবল-হূদয়ে তাই ঢাকার আছে একটা বড় জায়গা।
বাংলাদেশে আসতে পারার আনন্দও প্রকাশ করলেন ২২ বছর বয়সী উইঙ্গার। পশতু ভাষায় বাংলাদেশের আতিথ্যের যে প্রশংসাবচন থাকল কোচ ইউসুফ কারাগারের মুখে, সেটির ইংরেজি ভাষান্তর করলেন ইসরাফিল। দলগঠন, প্রস্তুতি—যাবতীয় তথ্য আদান-প্রদানের প্রধান বাহকই হলেন তিনি। ইংরেজিটা বেশ সাবলীল। গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী কাবুল আন্তর্জাতিক মানবতাবাদ চর্চার অন্যতম কেন্দ্র, সেখানে বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই শানিয়ে নিয়েছেন ইংরেজি বাচন।
তাঁর ইংরেজিটা সবল হলেও দেশের ফুটবল এখনো দুর্বল। সরল স্বীকারোক্তিই করলেন আফগানিস্তান পেশাদার ফুটবল লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কাবুল ব্যাংকের খেলোয়াড়, ‘আমরা তো এখনো একটা নবীন দল, যেকোনো টুর্নামেন্টই আমাদের অনেক শেখায়।’ ক্রমাগত এই শিক্ষাই তাঁর বিশ্বাস বাড়ায়, আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষণায় আফগানিস্তানের ফুটবল মাথা তুলে দাঁড়াবেই। জার্মানি সরকারের দানে পাওয়া জার্মান কোচ ক্লাউস স্টার্ক যেমন একটা ভিত পুঁতে দিয়ে গেছেন। আফগানিস্তান সরকারও অনেক যত্নশীল। বছর তিনেক আগেও যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছিল খেলার মাঠ। এখন নতুন জাতীয় স্টেডিয়াম পেয়েছে রাজধানী কাবুল। ওই স্টেডিয়ামকে ঘিরেই এগোচ্ছে তাদের পেশাদার লিগ, ফুটবল। লিগে বিদেশিরা খেলে। কাবুল ব্যাংক দলেই আছে চারজন রুশ। তাঁরা বেতনও পান ভালো, মাসে চার হাজার ডলারেরও বেশি। যদিও স্থানীয় খেলোয়াড়দের বেতন এখনো ৫০০ থেকে ৬০০ ডলারের বেশি নয়। তবে দিনবদলের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন ইসরাফিল।
ছোটবেলায় যখন বুলেট আর বারুদের হাত থেকে বাঁচতে পরিবারের সঙ্গে আশ্রয় বদলাতে হতো, তখন ইসরাফিল ভাবতেই পারেননি এই দেশ কোনো দিন ফুটবল-স্বপ্ন দেখাবে। বারুদের গন্ধ এখন সীমিত হয়ে পড়েছে দূরের প্রদেশগুলোয়। বোমার শব্দে এখন খুব একটা কাঁপতে হয় না, দেখতে হয় না রক্তও। তবে একটা ভয়ঙ্কর স্মৃতি ইসরাফিলকে এখনো বিষণ্ন করে তোলে। বছরখানেক আগে কাবুলের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বোমা বিস্ফোরণটা দেখেছিলেন স্বচক্ষে। রক্ত আর সারি সারি লাশ...ভয়ঙ্কর সেই ছবি। তবে ওসব এখন ফুটবলের নিচে চাপা দিতে চান চিরতরে। তাঁর বিশ্বাস, ঢাকা হবে তাঁর ক্যারিয়ারের একটা মাইলফলক!
টুর্নামেন্টটা ঢাকায়—এটা বাড়তি একটা অনুপ্রেরণা। গৃহযুদ্ধের রক্ত, ধ্বংস আর বিভীষিকা মাড়িয়ে আফগানিস্তান আন্তর্জাতিক ফুটবলে পুনর্বাসনের সকালটা তো দেখেছিল এই ঢাকাতেই। ২০০৩ ঢাকা সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপই ছিল তাদের জন্য সবচেয়ে বড় আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। আফগানিস্তানের ফুটবল-হূদয়ে তাই ঢাকার আছে একটা বড় জায়গা।
বাংলাদেশে আসতে পারার আনন্দও প্রকাশ করলেন ২২ বছর বয়সী উইঙ্গার। পশতু ভাষায় বাংলাদেশের আতিথ্যের যে প্রশংসাবচন থাকল কোচ ইউসুফ কারাগারের মুখে, সেটির ইংরেজি ভাষান্তর করলেন ইসরাফিল। দলগঠন, প্রস্তুতি—যাবতীয় তথ্য আদান-প্রদানের প্রধান বাহকই হলেন তিনি। ইংরেজিটা বেশ সাবলীল। গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী কাবুল আন্তর্জাতিক মানবতাবাদ চর্চার অন্যতম কেন্দ্র, সেখানে বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই শানিয়ে নিয়েছেন ইংরেজি বাচন।
তাঁর ইংরেজিটা সবল হলেও দেশের ফুটবল এখনো দুর্বল। সরল স্বীকারোক্তিই করলেন আফগানিস্তান পেশাদার ফুটবল লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কাবুল ব্যাংকের খেলোয়াড়, ‘আমরা তো এখনো একটা নবীন দল, যেকোনো টুর্নামেন্টই আমাদের অনেক শেখায়।’ ক্রমাগত এই শিক্ষাই তাঁর বিশ্বাস বাড়ায়, আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষণায় আফগানিস্তানের ফুটবল মাথা তুলে দাঁড়াবেই। জার্মানি সরকারের দানে পাওয়া জার্মান কোচ ক্লাউস স্টার্ক যেমন একটা ভিত পুঁতে দিয়ে গেছেন। আফগানিস্তান সরকারও অনেক যত্নশীল। বছর তিনেক আগেও যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছিল খেলার মাঠ। এখন নতুন জাতীয় স্টেডিয়াম পেয়েছে রাজধানী কাবুল। ওই স্টেডিয়ামকে ঘিরেই এগোচ্ছে তাদের পেশাদার লিগ, ফুটবল। লিগে বিদেশিরা খেলে। কাবুল ব্যাংক দলেই আছে চারজন রুশ। তাঁরা বেতনও পান ভালো, মাসে চার হাজার ডলারেরও বেশি। যদিও স্থানীয় খেলোয়াড়দের বেতন এখনো ৫০০ থেকে ৬০০ ডলারের বেশি নয়। তবে দিনবদলের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন ইসরাফিল।
ছোটবেলায় যখন বুলেট আর বারুদের হাত থেকে বাঁচতে পরিবারের সঙ্গে আশ্রয় বদলাতে হতো, তখন ইসরাফিল ভাবতেই পারেননি এই দেশ কোনো দিন ফুটবল-স্বপ্ন দেখাবে। বারুদের গন্ধ এখন সীমিত হয়ে পড়েছে দূরের প্রদেশগুলোয়। বোমার শব্দে এখন খুব একটা কাঁপতে হয় না, দেখতে হয় না রক্তও। তবে একটা ভয়ঙ্কর স্মৃতি ইসরাফিলকে এখনো বিষণ্ন করে তোলে। বছরখানেক আগে কাবুলের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বোমা বিস্ফোরণটা দেখেছিলেন স্বচক্ষে। রক্ত আর সারি সারি লাশ...ভয়ঙ্কর সেই ছবি। তবে ওসব এখন ফুটবলের নিচে চাপা দিতে চান চিরতরে। তাঁর বিশ্বাস, ঢাকা হবে তাঁর ক্যারিয়ারের একটা মাইলফলক!
No comments