বাংলাদেশের ভাবনায় শুধুই শিরোপা

সংবাদ সম্মেলনে একটা কথাই ঘুরেফিরে বললেন আমিনুল, ‘সাফ ফুটবল জেতার ক্ষমতা আমাদের আছে। দায়িত্ব এখন খেলোয়াড়দের। সবাই মিলে চেষ্টা করলে অবশ্যই সাফ জিততে পারব।’
কোচ ও ম্যানেজারের পাশে বসে বাংলাদেশ অধিনায়ক বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলে গেলেন। সত্যিই কি বাংলাদেশ এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেতে তৈরি?
প্রশ্নটা ওঠা হয়তো উচিত ছিল না। সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ তো বরাবরই ফেভারিট। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন। ডিডোকে ছাঁটাই করে সাহীদুর রহমান সান্টুর হাতে মাত্রই কয়েক দিন আগে কোচের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে বাফুফে। ডিডোর দল থেকে ১০ জনকে বাদ দিয়ে নিজেদের পছন্দের দল সাজানো হয়েছে। টুর্নামেন্ট শুরুর কেবলই আগে এই অনাহূত বিতর্কই বাংলাদেশ দলের সামনে এঁকেছে প্রশ্নচিহ্ন।
কিন্তু কাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আমিনুলের কথা শুনলে আপনিও আশাবাদী হতে চাইবেন। তবে কাজটা যে তিনি সহজ মনে করেন না, সেটিও বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘ভুটানও এখন ভালো অবস্থায় আছে। কাজেই কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আমাদের মাঠে লড়াই করতে হবে। সেরা ফুটবলটা খেলতে হবে। দেশের মাটিতে খেলা। আমাদের ভালো সুযোগ আছে।’
২০০৩ সালে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেবার পারলে এবার কেন নয়? এটাই বলতে চাইলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু ভেতরে ভেতরে বাংলাদেশ দল প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছে। হোটেল লবিতে অন্য দলগুলো যখন ফুরফুরে মেজাজে ঘুরছে, বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা তখন একটাই মন্ত্র জপে যান মনে মনে, ‘চ্যাম্পিয়ন আমাদের হতেই হবে।’ নাম প্রকাশ না করে অনেক খেলোয়াড়ই বললেন, চাপ আছে ঠিকই। কিন্তু এতসব ঘটনার ঘনঘটা তাঁদের একাট্টাও করে তুলেছে। একজন বললেন, ‘সবার মধ্যে একটা জেদ কাজ করছে, ভালো আমাদের করতেই হবে।’
তাঁর দলের স্ট্রাইকাররা কতটা তৈরি? এ প্রশ্নেও অবিচলিত আমিনুল, ‘তারা তৈরিই আছে।’ কোচ সান্টুকেও দিতে হলো অনেক প্রশ্নের উত্তর। প্রস্তুতি কম হলো কি না, ডিডোর হাত থেকে হঠাত্ই তাঁর হাতে দায়িত্ব চলে আসা, সব সমস্যা কাটিয়ে তিনি আসলে কতোটা প্রস্তুত? সান্টু ডিডো প্রসঙ্গে যেতেই চাইলেন না। বললেন, ‘ওই ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’ প্রস্তুতির ব্যাপারে অখুশি কি না, সেটা তাঁর কথায় বোঝা যায়নি। বরং আত্মবিশ্বাসীই মনে হচ্ছে তাঁকে, ‘দেশের মাটিতে সাফ। আমরা অবশ্যই ভালো কিছু করার ক্ষমতা রাখি।’

No comments

Powered by Blogger.