ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে কবে? সরকারি হিসাবেই আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪,৬৬৬
প্রতিদিনই
বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। রাজধানীতে এর প্রকোপ শুরু হলেও এখন ঢাকার
বাইরে রোগী বেড়ে গেছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আক্রান্তের যে তথ্য
দেয়া হয়েছে তাতে এ চিত্রই পাওয়া গেছে। এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায়
মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্কও বাড়ছে। মানুষের মুখে মুখে প্রশ্ন কবে নাগাদ
ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর মওসুম।
অক্টোবরের আগে পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক হচ্ছে না। ঢাকার দুই মেয়রের
বক্তব্যেও এমন আভাস মিলেছে।
বিশেষ করে এখন পর্যন্ত এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন ওষুধ মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। এছাড়া পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এ অবস্থায় নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন খুব দ্রুতই ডেঙ্গু পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তবে ভারি বৃষ্টিপাতে উন্মুক্ত স্থানে থাকা ডেঙ্গুর লার্ভা কিছু কমলে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে পারে।
সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৬৬ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। মৃতের সংখ্যা এ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২৯ জন বললেও বেসরকারি হিসাবে শতাধিক। প্রতিদিনই মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। গতকালও দুই জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে রাজধানীতে একজন এবং ঢাকার বাইরে অন্য একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৩২৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪২৮ জন। একদিনে রাজধানী ঢাকাতেই এক হাজার ১৫৯ জন রোগী এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার ১৬৭ জন ভর্তি হয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে রাজধানীতে এক হাজার ২৭৫জন রোগী এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার ১১৫৩ জন। ৬ই আগস্ট একদিনের হিসাবে ভর্তি ছিল ২ হাজার ৩৪৮ জন। গত দুই দিনের তুলনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি একটু কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ঘণ্টায় ভর্তি হচ্ছেন ৯৭ জন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১০১ জনের উপরে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৬৬ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে ১০ হাজার ৩০ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রাজধানী ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২ হাজার ৬১৮ জন, চট্ট্রগাম বিভাগে এক হাজার ৯৭৫ জন, খুলনা বিভাগে এক হাজার ৪৮৯ জন, রংপুর বিভাগে ৬১৯ জন, রাজশাহী বিভাগে এক হাজার ১৩৭ জন, বরিশাল বিভাগে এক হাজার ২৬ জন, সিলেট বিভাগে ৩৭৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭৯০জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুতে মৃত্যুও বাড়ছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। মৃতের সংখ্যা এ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২৯ জন বললেও বেসরকারি হিসাবে শতাধিক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকেও মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় বলে সরকারি তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায় না। গত ৭ই আগস্ট এক সেমিনারে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, বিভ্রান্তিকর তথ্যে ফেসবুক সয়লাব হয়ে গেছে। চিকিৎসকদের বিশ্বাস করুন। ডেঙ্গুতে নয়জন চিকিৎসকও মারা গেছেন।
অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুসারে, আগস্ট মাসের ৮দিনে ভর্তি হয়েছেন ১৬ হাজার ২০৫ জন। গত জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন ১৬ হাজার ২৫৩ জন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে আগস্ট মাসের আট দিনেই জুলাই মাসের রেকর্ডকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে। আক্রান্ত হয়ে জুন মাসে ভর্তি ছিল এক হাজার ৮৮৪ জন। মে মাসে ১৯৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ হাজার ৮৭২ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৮ হাজার ৭৬৫ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এপ্রিলে দুইজন, জুনে তিনজন, জুলাই মাসে ১৭ জন এবং আগস্টে ৭ জন মারা গেছে।
সরকারি হিসাবে মৃতদের মধ্যে ঢাকা শিশু হাসপাতালে চারজন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন এবং অবশিষ্ট ২৪ জন কোন কোন হাসপাতালে মারা গেছে তা উল্লেখ করা হয়নি। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে তারা মারা গেছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে খালেদা আক্তার (২০) নামের এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিশেষ করে এখন পর্যন্ত এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন ওষুধ মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। এছাড়া পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এ অবস্থায় নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন খুব দ্রুতই ডেঙ্গু পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তবে ভারি বৃষ্টিপাতে উন্মুক্ত স্থানে থাকা ডেঙ্গুর লার্ভা কিছু কমলে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে পারে।
সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৬৬ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। মৃতের সংখ্যা এ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২৯ জন বললেও বেসরকারি হিসাবে শতাধিক। প্রতিদিনই মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। গতকালও দুই জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে রাজধানীতে একজন এবং ঢাকার বাইরে অন্য একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৩২৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪২৮ জন। একদিনে রাজধানী ঢাকাতেই এক হাজার ১৫৯ জন রোগী এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার ১৬৭ জন ভর্তি হয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে রাজধানীতে এক হাজার ২৭৫জন রোগী এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার ১১৫৩ জন। ৬ই আগস্ট একদিনের হিসাবে ভর্তি ছিল ২ হাজার ৩৪৮ জন। গত দুই দিনের তুলনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি একটু কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ঘণ্টায় ভর্তি হচ্ছেন ৯৭ জন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১০১ জনের উপরে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৬৬ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে ১০ হাজার ৩০ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রাজধানী ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২ হাজার ৬১৮ জন, চট্ট্রগাম বিভাগে এক হাজার ৯৭৫ জন, খুলনা বিভাগে এক হাজার ৪৮৯ জন, রংপুর বিভাগে ৬১৯ জন, রাজশাহী বিভাগে এক হাজার ১৩৭ জন, বরিশাল বিভাগে এক হাজার ২৬ জন, সিলেট বিভাগে ৩৭৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭৯০জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুতে মৃত্যুও বাড়ছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। মৃতের সংখ্যা এ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২৯ জন বললেও বেসরকারি হিসাবে শতাধিক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকেও মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় বলে সরকারি তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায় না। গত ৭ই আগস্ট এক সেমিনারে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, বিভ্রান্তিকর তথ্যে ফেসবুক সয়লাব হয়ে গেছে। চিকিৎসকদের বিশ্বাস করুন। ডেঙ্গুতে নয়জন চিকিৎসকও মারা গেছেন।
অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুসারে, আগস্ট মাসের ৮দিনে ভর্তি হয়েছেন ১৬ হাজার ২০৫ জন। গত জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন ১৬ হাজার ২৫৩ জন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে আগস্ট মাসের আট দিনেই জুলাই মাসের রেকর্ডকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে। আক্রান্ত হয়ে জুন মাসে ভর্তি ছিল এক হাজার ৮৮৪ জন। মে মাসে ১৯৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ হাজার ৮৭২ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৮ হাজার ৭৬৫ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এপ্রিলে দুইজন, জুনে তিনজন, জুলাই মাসে ১৭ জন এবং আগস্টে ৭ জন মারা গেছে।
সরকারি হিসাবে মৃতদের মধ্যে ঢাকা শিশু হাসপাতালে চারজন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন এবং অবশিষ্ট ২৪ জন কোন কোন হাসপাতালে মারা গেছে তা উল্লেখ করা হয়নি। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে তারা মারা গেছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে খালেদা আক্তার (২০) নামের এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
No comments