আফগান শান্তি প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করতে পারে কাশ্মির উত্তেজনা by কামরান ইউসুফ
পাকিস্তান
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছে যে,
ভারত কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের যে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটা শুধু এই
অঞ্চলের শান্তিই বিঘ্নিত করবে না, বরং আফগান যুদ্ধ শেষ করার জন্য যে
রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার চেষ্টা চলছে, সেটাও বিঘ্নিত হবে।
নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছে, যেখানে প্রেসিডেন্টের আদেশের মাধ্যমে অধিকৃত অঞ্চলকে বিশেষ স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছিল।
পাকিস্তান দ্রুততার সাথে এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে এবং এটাকে ইউনাইটেড নেশান্স সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রস্তাবনার লঙ্ঘন হিসেবে মন্তব্য করে। কারণ কাশ্মির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বিতর্কিত এলাকা।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে, এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত পারমানবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা আবারও উসকে দেবে কারণ এই পদক্ষেপ নেয়ার আগে ভারত কাশ্মিরে সেনা সমাগম বিপুল পরিমাণে বাড়িয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকাতেও শক্তি বাড়িয়েছে।
এমন সময় এই ঘটনাগুলো ঘটানো হলো যখন পাকিস্তান আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছে, যেটা এখন একটা চুড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন বিশেষ দূত জালমাই খলিলজাদ যখন ইসলামাবাদে আসেন, তখন বিতর্কিত এলাকায় উত্তেজনা বাড়ছিল, কারণ হঠাৎ করেই সেখানকার পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ভারত সরকার।
খলিলজাদ তার দুই দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির সাথে বৈঠক করেন।
সফরে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল আফগান শান্তি আলোচনা। কিন্তু ভারতের পরিকল্পনার বিষয়টি আঁচ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী খলিলজাদকে কাশ্মিরের প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করেন।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেন যে, কোরেশি মার্কিন দূতের কাছে এই বার্তা দিয়েছেন যে, কাশ্মিরে বড় কোন ঘটনা ঘটলে সেটা চলমান আফগানিস্তান শান্তি প্রক্রিয়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কর্মকর্তা আরও জানান যে, শান্তি প্রচেষ্টাকে দমনের জন্য ভারত ‘বড় কিছু’ করতে চলেছে বলে পাকিস্তান অনুমান করছে।
কোরেশি এ সময় পাকিস্তানের উদ্বেগের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানোর জন্য খলিলজাদকে অনুরোধ করেন।
পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো এ পর্যায়ে এসে ভারতের সাথে উত্তেজনা বাড়লে আফগান শান্তি পরিকল্পনার দিকে মনোযোগ দেয়াটা পাকিস্তানের জন্য কঠিন হবে।
কর্মকর্তারা মনে করছেন যে, ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে এ অঞ্চলে উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে, কারণ আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ায় তারা নাখোশ হয়েছে।
পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, “ভারতের জন্য এটা বড় ধরণের আঘাত কারণ পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার জন্য মোদি সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
কর্মকর্তা আরও বলেন, “বাস্তবে উল্টাটা ঘটেছে এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর পাকিস্তান এখন আফগান সমঝোতা প্রচেষ্টায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে”।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশি সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন যে, কাশ্মিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সেটা আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে ওই সময় এটা বোঝার উপায় ছিল না যে, ভারত ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
এখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে। এবং এখন পাকিস্তানের উদ্বেগ হলো এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তান ও ভারতের মধ্য উত্তেজনা নতুন করে উসকে দিতে পারে।
নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছে, যেখানে প্রেসিডেন্টের আদেশের মাধ্যমে অধিকৃত অঞ্চলকে বিশেষ স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছিল।
পাকিস্তান দ্রুততার সাথে এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে এবং এটাকে ইউনাইটেড নেশান্স সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রস্তাবনার লঙ্ঘন হিসেবে মন্তব্য করে। কারণ কাশ্মির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বিতর্কিত এলাকা।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে, এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত পারমানবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা আবারও উসকে দেবে কারণ এই পদক্ষেপ নেয়ার আগে ভারত কাশ্মিরে সেনা সমাগম বিপুল পরিমাণে বাড়িয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকাতেও শক্তি বাড়িয়েছে।
এমন সময় এই ঘটনাগুলো ঘটানো হলো যখন পাকিস্তান আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছে, যেটা এখন একটা চুড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন বিশেষ দূত জালমাই খলিলজাদ যখন ইসলামাবাদে আসেন, তখন বিতর্কিত এলাকায় উত্তেজনা বাড়ছিল, কারণ হঠাৎ করেই সেখানকার পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ভারত সরকার।
খলিলজাদ তার দুই দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির সাথে বৈঠক করেন।
সফরে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল আফগান শান্তি আলোচনা। কিন্তু ভারতের পরিকল্পনার বিষয়টি আঁচ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী খলিলজাদকে কাশ্মিরের প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করেন।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেন যে, কোরেশি মার্কিন দূতের কাছে এই বার্তা দিয়েছেন যে, কাশ্মিরে বড় কোন ঘটনা ঘটলে সেটা চলমান আফগানিস্তান শান্তি প্রক্রিয়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কর্মকর্তা আরও জানান যে, শান্তি প্রচেষ্টাকে দমনের জন্য ভারত ‘বড় কিছু’ করতে চলেছে বলে পাকিস্তান অনুমান করছে।
কোরেশি এ সময় পাকিস্তানের উদ্বেগের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানোর জন্য খলিলজাদকে অনুরোধ করেন।
পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো এ পর্যায়ে এসে ভারতের সাথে উত্তেজনা বাড়লে আফগান শান্তি পরিকল্পনার দিকে মনোযোগ দেয়াটা পাকিস্তানের জন্য কঠিন হবে।
কর্মকর্তারা মনে করছেন যে, ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে এ অঞ্চলে উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে, কারণ আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ায় তারা নাখোশ হয়েছে।
পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, “ভারতের জন্য এটা বড় ধরণের আঘাত কারণ পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার জন্য মোদি সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
কর্মকর্তা আরও বলেন, “বাস্তবে উল্টাটা ঘটেছে এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর পাকিস্তান এখন আফগান সমঝোতা প্রচেষ্টায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে”।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশি সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন যে, কাশ্মিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সেটা আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে ওই সময় এটা বোঝার উপায় ছিল না যে, ভারত ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
এখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে। এবং এখন পাকিস্তানের উদ্বেগ হলো এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তান ও ভারতের মধ্য উত্তেজনা নতুন করে উসকে দিতে পারে।
No comments