দার্জিলিংকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি, জোরালো হচ্ছে গোর্খাল্যান্ডের দাবিও
দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গের একটি শহর |
ভারতের
পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংকে বিধানসভাসহ কেন্দ্রীয় সরকারশাসিত অঞ্চল হিসেবে
ঘোষণা করার দাবি উঠেছে। একইসঙ্গে সেখানে গোর্খাল্যান্ডের দাবিও জোরালো
হয়েছে।
একদিকে, জিএনএলএফ নেতা এনভি ছেত্রী, অন্যদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আত্মগোপনকারী নেতা বিমল গুরুং, রোশন গিরিরাও দার্জিলিংকে কেন্দ্রীয় সরকারশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছেন।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিনয় তামাং গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে প্রচার শুরু করেছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিক, দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন বাজার, গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে পোস্টার লাগিয়েছেন বিনয় তামাংপন্থী মোর্চা নেতা-কর্মীরা। জম্মু-কাশ্মিরকে দু’ভাগে ভেঙে কেন্দ্রীয় সরকারশাসিত দু’টি নতুন অঞ্চল তৈরির খবরে পাহাড়ের নেতারা উদ্বুদ্ধ হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মোর্চা নেতা রোশন গিরি সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে, আমরা পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি জানাচ্ছি। বিজেপিও তাদের ইস্তেহারে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আমরা মনে করি, বিধানসভাসহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করার এটাই সঠিক সময়। আমরা খুব দ্রুতই এটা নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করব।’
দার্জিলিংয়ের বিজেপি এমপি রাজু বিস্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদী। তার কথায়, ‘বিজেপি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেটা গোর্খাল্যান্ডই হোক, বিধানসভা-সহ কেন্দ্রীয় সরকারশাসিত অঞ্চল হোক বা অন্য কিছু। সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করেই এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
বিজেপির পাহাড় কমিটির সভাপতি মনোজ দেওয়ান বলেন, ‘পাহাড়ের মানুষের বিভিন্ন দাবি সংসদে তুলেছেন দার্জিলিংয়ের এমপি। গোর্খাল্যান্ড নিয়ে দলের অবস্থানের কথা কেন্দ্রীয় কমিটিই বলবে।’
এদিকে, বিনয় তামাং দার্জিলিংকে বিধানসভাসহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে ১৫ অগস্টের পরে তাদের কোর কমিটির বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিমল গুরুংপন্থী মোর্চার মুখপাত্র বিপি বজগাইও একজোট হওয়ার পক্ষে সাফাই দিয়েছেন। একই দাবিতে লড়তে থাকা সব দলের সঙ্গেই তারা আলোচনায় বসতে রাজি বলেও মন্তব্য করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মন্ত্রী ও কোলকাতার নব বালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার আজ (বুধবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘প্রথম থেকেই লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যতদিন ওখান থেকে (দার্জিলিং) বিজেপি এমপিরা জিতছেন এটা নিয়ে তাদের তৃতীয় এমপি। শুরু থেকেই তাদের একটা দাবি ছিল গোর্খাল্যান্ড। এবং বিজেপি নেতৃত্ব নিশ্চয় তাদের (গোর্খা নেতাদের) আশা ভরসা দিয়েছিলেন কি না বলতে পারব না। কিন্তু তারপর থেকেই দার্জিলিং থেকে বিজেপি জিতছে বারে বারে। দীর্ঘ সময় ধরে ওরা বিজেপির কাছে তাদের দাবি জানিয়েছে এটা নতুন কিছু নয়।’
জম্মু-কাশ্মির রাজ্যকে ভেঙে কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চল করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে পদ্ধতিতে একটা রাজ্য ভেঙে কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চল করা হয়েছে এটা কেউ কোনও কালেও স্বপ্নেও ভাবেনি, দেখেওনি।’ স্বাধীনতার ৭৩ বছরে এ ধরণের ঘটনা যে ঘটতে পারে তা অকল্পনীয় ছিল বলেও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুস সাত্তার মন্তব্য করেন।
একদিকে, জিএনএলএফ নেতা এনভি ছেত্রী, অন্যদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আত্মগোপনকারী নেতা বিমল গুরুং, রোশন গিরিরাও দার্জিলিংকে কেন্দ্রীয় সরকারশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছেন।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিনয় তামাং গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে প্রচার শুরু করেছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিক, দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন বাজার, গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে পোস্টার লাগিয়েছেন বিনয় তামাংপন্থী মোর্চা নেতা-কর্মীরা। জম্মু-কাশ্মিরকে দু’ভাগে ভেঙে কেন্দ্রীয় সরকারশাসিত দু’টি নতুন অঞ্চল তৈরির খবরে পাহাড়ের নেতারা উদ্বুদ্ধ হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মোর্চা নেতা রোশন গিরি সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে, আমরা পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি জানাচ্ছি। বিজেপিও তাদের ইস্তেহারে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আমরা মনে করি, বিধানসভাসহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করার এটাই সঠিক সময়। আমরা খুব দ্রুতই এটা নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করব।’
দার্জিলিংয়ের বিজেপি এমপি রাজু বিস্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদী। তার কথায়, ‘বিজেপি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেটা গোর্খাল্যান্ডই হোক, বিধানসভা-সহ কেন্দ্রীয় সরকারশাসিত অঞ্চল হোক বা অন্য কিছু। সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করেই এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
বিজেপির পাহাড় কমিটির সভাপতি মনোজ দেওয়ান বলেন, ‘পাহাড়ের মানুষের বিভিন্ন দাবি সংসদে তুলেছেন দার্জিলিংয়ের এমপি। গোর্খাল্যান্ড নিয়ে দলের অবস্থানের কথা কেন্দ্রীয় কমিটিই বলবে।’
এদিকে, বিনয় তামাং দার্জিলিংকে বিধানসভাসহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে ১৫ অগস্টের পরে তাদের কোর কমিটির বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিমল গুরুংপন্থী মোর্চার মুখপাত্র বিপি বজগাইও একজোট হওয়ার পক্ষে সাফাই দিয়েছেন। একই দাবিতে লড়তে থাকা সব দলের সঙ্গেই তারা আলোচনায় বসতে রাজি বলেও মন্তব্য করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মন্ত্রী ও কোলকাতার নব বালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার আজ (বুধবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘প্রথম থেকেই লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যতদিন ওখান থেকে (দার্জিলিং) বিজেপি এমপিরা জিতছেন এটা নিয়ে তাদের তৃতীয় এমপি। শুরু থেকেই তাদের একটা দাবি ছিল গোর্খাল্যান্ড। এবং বিজেপি নেতৃত্ব নিশ্চয় তাদের (গোর্খা নেতাদের) আশা ভরসা দিয়েছিলেন কি না বলতে পারব না। কিন্তু তারপর থেকেই দার্জিলিং থেকে বিজেপি জিতছে বারে বারে। দীর্ঘ সময় ধরে ওরা বিজেপির কাছে তাদের দাবি জানিয়েছে এটা নতুন কিছু নয়।’
জম্মু-কাশ্মির রাজ্যকে ভেঙে কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চল করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে পদ্ধতিতে একটা রাজ্য ভেঙে কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চল করা হয়েছে এটা কেউ কোনও কালেও স্বপ্নেও ভাবেনি, দেখেওনি।’ স্বাধীনতার ৭৩ বছরে এ ধরণের ঘটনা যে ঘটতে পারে তা অকল্পনীয় ছিল বলেও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুস সাত্তার মন্তব্য করেন।
No comments