আফগান শান্তি আলোচনা থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে ভারতকে, ভূরাজনীতির কেন্দ্রে পাকিস্তান by ইন্দ্রানি বাগচী
তালেবানদের
সাথে শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের
প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত হয়েছে পাকিস্তান। এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে এটা বোঝা
গেছে যে, পাকিস্তান এখন আফগান শান্তি আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে এবং
ভারতকে আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের আলোচনা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতের অংশগ্রহণ বা তাদের বক্তব্যের বিষয়টি গৌণ হয়ে
পড়েছে। এবং সে সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েই পাকিস্তান এই অঞ্চলে ভূ-রাজনীতির
কেন্দ্রে চলে এসেছে।
ভারতে নিযুক্ত সাবেক আফগান রাষ্ট্রদূত এবং প্রেসিডেন্ট প্রার্থী শায়দা আবদালি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন যে, “ভারত ১৮ বছর ধরে আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক তৈরির যে চেষ্টা করেছে, সেটা এখানে এসে হারানো উচিত হবে না। আফগানিস্তানের বর্তমান বিবর্তনের ব্যাপারে ভারতের উদাসীনতার কারণে দীর্ঘমেয়াদে তাদের ক্ষতি স্বীকার করতে হবে”।
শান্তি আলোচনার কোথাও ভারতের কোন অবস্থান নেই এবং ভারতের উদ্বেগের বিষয়গুলোও কোন পাত্তা পায়নি।
ভারতের প্রতি সাম্প্রতিক আরেকটি আঘাত এসেছে আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন ব্যাসের বক্তব্য থেকে। তিনি গত বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, ২৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, সেটি স্থগিত হতে পারে, যতক্ষণ না তালেবানদের সাথে শান্তি প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে। ব্যাস বলেন, “আমি মনে করি আফগানদের জন্য এই মুহূর্তে এটা বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ যে, বিভিন্ন কারণে এ মুহূর্তে নির্বাচন নাও হতে পারে”।
ভারত এই অবস্থানের বিরোধী। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের নয়াদিল্লী সফরকালে এনএসএ অজিত দোভাল বারবার জোর দিয়ে বলেছেন যে, আফগানিস্তানে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে, যদি শান্তি প্রক্রিয়া চলমান থাকে, তবুও। আফগানিস্তানে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ধারণারও বিরোধিতা করেছে ভারত। কিন্তু ভারতের কোন উদ্বেগই আফগানিস্তানে প্রধান পক্ষগুলোর উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানরা শেষ পর্যন্ত আট দফা চুক্তির খসড়া তৈরি করেছে (যদিও পশতু ভাষায় চুক্তির দফা রয়েছে ১০টি)। যদিও খালিলজাদ বলছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সব ‘ছিন্ন করে পালিয়ে যাচ্ছে না’ এবং এটা কোন সেনা প্রত্যাহার চুক্তি নয়, বরং শান্তি চুক্তি, কিন্তু তালেবান ও অন্যান্য বিশ্লেষকরা এটাকে সেনা প্রত্যাহার চুক্তি হিসেবেই দেখছে। যদিও তালেবান কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলা প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে, তবু শান্তি চুক্তির গতি বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ও চীনকে এক জায়গায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে, এবং চলতি সপ্তাহে পাকিস্তানকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা, যারা মূলত তালেবানদের মূল পৃষ্ঠপোষক। তালেবানদের আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসতে এবং আলোচনা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে পাকিস্তান। ১২ জুলাই চার দেশ বেইজিংয়ে বৈঠক করেছে এবং ‘আফগান শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে চার-পক্ষীয় যৌথ বিবৃতি’ দিয়েছে।
গত ৭-৮ জুলাই দোহাতে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের যে ঐক্যমত হয়েছে, সেখানে মস্কো আলোচনার বিষয়টিকেও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে এবং এর মাধ্যমে রাশিয়ার স্বার্থকেও সেখানে যুক্ত করা হয়েছে। চীন ও পাকিস্তান একে অন্যের স্বার্থ রক্ষা করে থাকে। ভারত এখানে কোথাও নেই, যদিও তাদের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা স্বার্থ রয়েছে এখানে। মজার ব্যাপার হলো ভারতের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইও মস্কো ও বেইজিংয়ে তালেবানদের সাথে আলোচনায় সহায়তা করেছেন।
পাকিস্তান এখন নিজেকে অনেক সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে গেছে। নিজেদের অনমনীয়তার প্রমাণ দেখিয়ে পাকিস্তান এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমীরাত ও কাতারের কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছে এবং আইএমএফের কাছ থেকেও ঋণ সহায়তা পাচ্ছে তারা। চীন এখনও পাকিস্তানের প্রধান মিত্র ও উপকারী হিসেবে রয়ে গেছে। অন্যদিকে, ট্রাম্পের তিক্ত টুইট সত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এখন আগামী সপ্তাহে ইমরান খানকে ওয়াশিংটনে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতে নিযুক্ত সাবেক আফগান রাষ্ট্রদূত এবং প্রেসিডেন্ট প্রার্থী শায়দা আবদালি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন যে, “ভারত ১৮ বছর ধরে আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক তৈরির যে চেষ্টা করেছে, সেটা এখানে এসে হারানো উচিত হবে না। আফগানিস্তানের বর্তমান বিবর্তনের ব্যাপারে ভারতের উদাসীনতার কারণে দীর্ঘমেয়াদে তাদের ক্ষতি স্বীকার করতে হবে”।
শান্তি আলোচনার কোথাও ভারতের কোন অবস্থান নেই এবং ভারতের উদ্বেগের বিষয়গুলোও কোন পাত্তা পায়নি।
ভারতের প্রতি সাম্প্রতিক আরেকটি আঘাত এসেছে আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন ব্যাসের বক্তব্য থেকে। তিনি গত বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, ২৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, সেটি স্থগিত হতে পারে, যতক্ষণ না তালেবানদের সাথে শান্তি প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে। ব্যাস বলেন, “আমি মনে করি আফগানদের জন্য এই মুহূর্তে এটা বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ যে, বিভিন্ন কারণে এ মুহূর্তে নির্বাচন নাও হতে পারে”।
ভারত এই অবস্থানের বিরোধী। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের নয়াদিল্লী সফরকালে এনএসএ অজিত দোভাল বারবার জোর দিয়ে বলেছেন যে, আফগানিস্তানে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে, যদি শান্তি প্রক্রিয়া চলমান থাকে, তবুও। আফগানিস্তানে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ধারণারও বিরোধিতা করেছে ভারত। কিন্তু ভারতের কোন উদ্বেগই আফগানিস্তানে প্রধান পক্ষগুলোর উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানরা শেষ পর্যন্ত আট দফা চুক্তির খসড়া তৈরি করেছে (যদিও পশতু ভাষায় চুক্তির দফা রয়েছে ১০টি)। যদিও খালিলজাদ বলছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সব ‘ছিন্ন করে পালিয়ে যাচ্ছে না’ এবং এটা কোন সেনা প্রত্যাহার চুক্তি নয়, বরং শান্তি চুক্তি, কিন্তু তালেবান ও অন্যান্য বিশ্লেষকরা এটাকে সেনা প্রত্যাহার চুক্তি হিসেবেই দেখছে। যদিও তালেবান কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলা প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে, তবু শান্তি চুক্তির গতি বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ও চীনকে এক জায়গায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে, এবং চলতি সপ্তাহে পাকিস্তানকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা, যারা মূলত তালেবানদের মূল পৃষ্ঠপোষক। তালেবানদের আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসতে এবং আলোচনা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে পাকিস্তান। ১২ জুলাই চার দেশ বেইজিংয়ে বৈঠক করেছে এবং ‘আফগান শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে চার-পক্ষীয় যৌথ বিবৃতি’ দিয়েছে।
গত ৭-৮ জুলাই দোহাতে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের যে ঐক্যমত হয়েছে, সেখানে মস্কো আলোচনার বিষয়টিকেও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে এবং এর মাধ্যমে রাশিয়ার স্বার্থকেও সেখানে যুক্ত করা হয়েছে। চীন ও পাকিস্তান একে অন্যের স্বার্থ রক্ষা করে থাকে। ভারত এখানে কোথাও নেই, যদিও তাদের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা স্বার্থ রয়েছে এখানে। মজার ব্যাপার হলো ভারতের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইও মস্কো ও বেইজিংয়ে তালেবানদের সাথে আলোচনায় সহায়তা করেছেন।
পাকিস্তান এখন নিজেকে অনেক সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে গেছে। নিজেদের অনমনীয়তার প্রমাণ দেখিয়ে পাকিস্তান এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমীরাত ও কাতারের কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছে এবং আইএমএফের কাছ থেকেও ঋণ সহায়তা পাচ্ছে তারা। চীন এখনও পাকিস্তানের প্রধান মিত্র ও উপকারী হিসেবে রয়ে গেছে। অন্যদিকে, ট্রাম্পের তিক্ত টুইট সত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এখন আগামী সপ্তাহে ইমরান খানকে ওয়াশিংটনে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
No comments