কাশ্মির নিয়ে ভারতীয় চক্রান্তের শেষ দেখে ছাড়বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী
পাকিস্তান
সেনাবাহিনী দৃঢ়ভাবে কাশ্মিরি জনগণের পাশে আছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির
ক্ষমতাধর সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া। বিতর্কিত অঞ্চল
জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারতের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরদিন
পাকিস্তান সেনাপ্রধান ওই ঘোষণা দেন। দক্ষিণ এশিয়ার এই অঞ্চল পারমাণবিক
শক্তিধর দুই প্রতিবেশি দেশের মধ্যে গভীর শত্রুতার কারণ হয়ে আছে।
মঙ্গলবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ জেনারেলরা রাওয়ালপিন্ডির সদর দফতরে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেন। ভারতের সিদ্ধান্তে কাশ্মিরে দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহ সূচনার আশংকা তৈরি হয়েছে।
বৈঠকের পর সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র টুইটারে জানান যে বৈঠকে জেনারেল বাজওয়া বলেছেন, কাশ্মিরি জনগণের যেকোন ন্যায্য সংগ্রামে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দৃঢ়ভাবে তাদের পাশে থাকবে। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়বো এবং সে জন্য আমরা প্রস্তুতও রয়েছি।
মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, ভারতের উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করে ইসলামাদ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন সেনা কমান্ডাররা।
তিনি আরো বলেন, বিতর্কিত পার্বত্য অঞ্চটিতে দখরদারিত্ব আইনসিদ্ধ করার ভারতীয় চক্রান্ত পাকিস্তান কখনো মেনে নেবে না।
পাকিস্তান শাসিত কাশ্মিরের সবচেয়ে বড় শহর মোজ্জাফরাবাদে মঙ্গলবার পাঁচ শতাধিক লোক বিক্ষোভ করেছে। সারা দেশে আরো বিক্ষোভের আশংকা করা হচ্ছে।
নয়া দিল্লির তৎপরতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তানের আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশেনে যোগ দিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদি দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সোমবার তড়িঘড়ি করে প্রেসিডেন্টের ডিক্রির মাধ্যমে ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করে।
এই উদ্যোগের বিলে রাজ্যটিকে দুই ভাগ করে কেন্দ্র শাসিত ইউনিয়ন টেরিটরিতে পরিণত করার প্রস্তাব দেয়া হয়।
১৯৪৭ সাল থেকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে হিমালয়ান অঞ্চল কাশ্মির। সাবেক এই রাজা শাসিত অঞ্চলকে নিয়ে তিনটি যুদ্ধও করেছে দুই দেশ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বালাকোটে ভারত বিমান হামলা করলে দুই দেশ প্রায় যুদ্ধের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলো। পাল্টা হামলা চালিয়ে ভারতের জঙ্গিবিমান ধ্বংস ও এক পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান।
গত তিন দশক ধরে ভারত অধিকৃত অঞ্চলটিতে স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন চলছে। এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়।
সশস্ত্র কাশ্মিরি বিদ্রোহী এবং অনেক অধিবাসী এই মুসলিম সংখ্যাগুরু অঞ্চলটির স্বাধীনতা বা প্রতিবেশি পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য লড়ছে।
সংবিধানের কাশ্মির বিষয়ক ধারা বাতিলের ঘোষণা দেয়ার আগে রাজ্যে ব্যাপক সেনা সমাবেশ ঘটানো হয়, ক্যবালটিভি, ইন্টারনেট, ফোনের সংযোগ বন্ধ করে গোটা অঞ্চলটিকেই একরকম বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। এখনো ওই অবস্থায় রয়েছে কাশ্মির।
মোদির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পত্রপত্রিকা ও সামাজিক গণমাধ্যমে তুমুল সমালোচনা চলছে। প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ডন-এর শিরোনাম ছিলো, ‘ডুমুর গাছের পাতা ছেটে ফেলেছে নয়া দিল্লি, অধিকৃত কাশ্মিরে বিশেষ মর্যাদা হরণ’।
মঙ্গলবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ জেনারেলরা রাওয়ালপিন্ডির সদর দফতরে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেন। ভারতের সিদ্ধান্তে কাশ্মিরে দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহ সূচনার আশংকা তৈরি হয়েছে।
বৈঠকের পর সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র টুইটারে জানান যে বৈঠকে জেনারেল বাজওয়া বলেছেন, কাশ্মিরি জনগণের যেকোন ন্যায্য সংগ্রামে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দৃঢ়ভাবে তাদের পাশে থাকবে। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়বো এবং সে জন্য আমরা প্রস্তুতও রয়েছি।
মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, ভারতের উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করে ইসলামাদ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন সেনা কমান্ডাররা।
তিনি আরো বলেন, বিতর্কিত পার্বত্য অঞ্চটিতে দখরদারিত্ব আইনসিদ্ধ করার ভারতীয় চক্রান্ত পাকিস্তান কখনো মেনে নেবে না।
পাকিস্তান শাসিত কাশ্মিরের সবচেয়ে বড় শহর মোজ্জাফরাবাদে মঙ্গলবার পাঁচ শতাধিক লোক বিক্ষোভ করেছে। সারা দেশে আরো বিক্ষোভের আশংকা করা হচ্ছে।
নয়া দিল্লির তৎপরতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তানের আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশেনে যোগ দিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদি দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সোমবার তড়িঘড়ি করে প্রেসিডেন্টের ডিক্রির মাধ্যমে ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করে।
এই উদ্যোগের বিলে রাজ্যটিকে দুই ভাগ করে কেন্দ্র শাসিত ইউনিয়ন টেরিটরিতে পরিণত করার প্রস্তাব দেয়া হয়।
১৯৪৭ সাল থেকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে হিমালয়ান অঞ্চল কাশ্মির। সাবেক এই রাজা শাসিত অঞ্চলকে নিয়ে তিনটি যুদ্ধও করেছে দুই দেশ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বালাকোটে ভারত বিমান হামলা করলে দুই দেশ প্রায় যুদ্ধের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলো। পাল্টা হামলা চালিয়ে ভারতের জঙ্গিবিমান ধ্বংস ও এক পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান।
গত তিন দশক ধরে ভারত অধিকৃত অঞ্চলটিতে স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন চলছে। এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়।
সশস্ত্র কাশ্মিরি বিদ্রোহী এবং অনেক অধিবাসী এই মুসলিম সংখ্যাগুরু অঞ্চলটির স্বাধীনতা বা প্রতিবেশি পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য লড়ছে।
সংবিধানের কাশ্মির বিষয়ক ধারা বাতিলের ঘোষণা দেয়ার আগে রাজ্যে ব্যাপক সেনা সমাবেশ ঘটানো হয়, ক্যবালটিভি, ইন্টারনেট, ফোনের সংযোগ বন্ধ করে গোটা অঞ্চলটিকেই একরকম বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। এখনো ওই অবস্থায় রয়েছে কাশ্মির।
মোদির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পত্রপত্রিকা ও সামাজিক গণমাধ্যমে তুমুল সমালোচনা চলছে। প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ডন-এর শিরোনাম ছিলো, ‘ডুমুর গাছের পাতা ছেটে ফেলেছে নয়া দিল্লি, অধিকৃত কাশ্মিরে বিশেষ মর্যাদা হরণ’।
কাশ্মির বিষয়ে ভারতীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার জন্য শীর্ষ সেনা অফিসারদের সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডির সদর দফতরে আলোচনায় বসেছেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া (মাঝে) |
No comments