পদ্মার চরে পাখির বাসা by আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ
পদ্মায়
জেগে ওঠে চর। চরের বুকজুড়ে বেড়ে ওঠে ঘাসবন। দূর থেকে বোঝার উপায় নেই এই
ঘাসবন কতশত প্রাণের ঠিকানা। এই ঘাসবনে এখন বাংলা-বাবুই আর মুনিয়ার শত শত
বাসা। সামনে আসছে তাদের প্রজনন মৌসুম। ঘাসবন হয়ে উঠবে তাদের আঁতুড়ঘর।
প্রতিবছরই এই চরের ঘাস কেটে নেওয়া হয়। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে হাজার হাজার পাখির ডিম নষ্ট হয়ে যায়। পাখি বিশেষজ্ঞরা এই চরের ঘাসবনের খানিকটা জায়গা পাখিদের প্রজননক্ষেত্র হিসেবে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েক বছর থেকে দাবি জানিয়ে আসছেন।
কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক, বার্ড ক্লাবের সহসভাপতি তারেক অণু ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আহমেদ হুসাইন রাজশাহীতে এসেছিলেন। তাঁরা পদ্মার চরের ঘাসবন ঘুরে পাখিদের প্রজননের প্রস্তুতি দেখে গেছেন।
ইনাম আল হক জানিয়েছেন, বাংলা-বাবুই এমন একটা পাখি, যার বৈজ্ঞানিক নামের সঙ্গে বাংলার নাম জড়িয়ে রয়েছে। এই পাখি নিচু ঘাসে মানুষের নাগালের মধ্যেই বাসা বাঁধে। তাদের বাসা বাঁধার জন্য নিরালা ঘাসবন দরকার। রাজশাহীর পদ্মার চরে শত শত বাংলা-বাবুই বাসা বাঁধছে। এ ছাড়া আমাদের দেশের ছয় জাতের মুনিয়ার মধ্যে পাঁচ জাতের মুনিয়া এখন এই চরে বাসা বাঁধছে। দুই জাতের প্রিনা রয়েছে, এক জাতের ভ্রমরা ছোটন, ধানি তুলিকা ও দেশীয় মোটাহাঁটু এই চরের ঘাসবনে বাসা বাঁধছে। বিশ্বব্যাপী বিপন্ন শতদাগি-ঘাস পাখি কয়েক বছর ধরে এই চরের ঘাসবনে বাসা তৈরি করে বাচ্চা ওঠাচ্ছে। এটা যমুনার চর ও টাঙ্গুয়ার হাওর ছাড়া বাংলাদেশের কোথাও দেখা যায় না। তার মধ্যে রাজশাহীতেই এই পাখির প্রায় ৭০ ভাগ দেখা যায়। এবারও তাদের জোড়া দেখা গেছে। ইতিমধ্যে বাংলা-বাবুই ও মুনিয়ার পুরুষ পাখিগুলো বাসা তৈরি করে ফেলেছে। ডিম দেওয়ার সময় হলে মেয়েরা চলে আসবে।
তারেক অণু জানালেন, শুধু পাখি নয়, এবার এই চরের ঘাসবনের ভেতর থেকে তাদের সামনে দিয়ে একটি খরগোশকে দৌড়ে যেতে দেখেছেন। এই চরে তাঁরা এর আগে ভোঁদড় দেখেছেন। এসব বন্য প্রাণীকে বেঁচে থাকার জন্য চর সংরক্ষণ করা খুবই প্রয়োজন।
এলাকাবাসী স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন রেখেছে, এই চরের খানিকটা অংশ পাখিদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। যেখান থেকে কেউ ঘাস কাটতে পারবে না। পুড়িয়ে দিতে পারবে না। তাহলে পাখিরা সেটাকেই তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করে প্রজননক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।
প্রতিবছরই এই চরের ঘাস কেটে নেওয়া হয়। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে হাজার হাজার পাখির ডিম নষ্ট হয়ে যায়। পাখি বিশেষজ্ঞরা এই চরের ঘাসবনের খানিকটা জায়গা পাখিদের প্রজননক্ষেত্র হিসেবে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েক বছর থেকে দাবি জানিয়ে আসছেন।
কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক, বার্ড ক্লাবের সহসভাপতি তারেক অণু ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আহমেদ হুসাইন রাজশাহীতে এসেছিলেন। তাঁরা পদ্মার চরের ঘাসবন ঘুরে পাখিদের প্রজননের প্রস্তুতি দেখে গেছেন।
ইনাম আল হক জানিয়েছেন, বাংলা-বাবুই এমন একটা পাখি, যার বৈজ্ঞানিক নামের সঙ্গে বাংলার নাম জড়িয়ে রয়েছে। এই পাখি নিচু ঘাসে মানুষের নাগালের মধ্যেই বাসা বাঁধে। তাদের বাসা বাঁধার জন্য নিরালা ঘাসবন দরকার। রাজশাহীর পদ্মার চরে শত শত বাংলা-বাবুই বাসা বাঁধছে। এ ছাড়া আমাদের দেশের ছয় জাতের মুনিয়ার মধ্যে পাঁচ জাতের মুনিয়া এখন এই চরে বাসা বাঁধছে। দুই জাতের প্রিনা রয়েছে, এক জাতের ভ্রমরা ছোটন, ধানি তুলিকা ও দেশীয় মোটাহাঁটু এই চরের ঘাসবনে বাসা বাঁধছে। বিশ্বব্যাপী বিপন্ন শতদাগি-ঘাস পাখি কয়েক বছর ধরে এই চরের ঘাসবনে বাসা তৈরি করে বাচ্চা ওঠাচ্ছে। এটা যমুনার চর ও টাঙ্গুয়ার হাওর ছাড়া বাংলাদেশের কোথাও দেখা যায় না। তার মধ্যে রাজশাহীতেই এই পাখির প্রায় ৭০ ভাগ দেখা যায়। এবারও তাদের জোড়া দেখা গেছে। ইতিমধ্যে বাংলা-বাবুই ও মুনিয়ার পুরুষ পাখিগুলো বাসা তৈরি করে ফেলেছে। ডিম দেওয়ার সময় হলে মেয়েরা চলে আসবে।
তারেক অণু জানালেন, শুধু পাখি নয়, এবার এই চরের ঘাসবনের ভেতর থেকে তাদের সামনে দিয়ে একটি খরগোশকে দৌড়ে যেতে দেখেছেন। এই চরে তাঁরা এর আগে ভোঁদড় দেখেছেন। এসব বন্য প্রাণীকে বেঁচে থাকার জন্য চর সংরক্ষণ করা খুবই প্রয়োজন।
এলাকাবাসী স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন রেখেছে, এই চরের খানিকটা অংশ পাখিদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। যেখান থেকে কেউ ঘাস কাটতে পারবে না। পুড়িয়ে দিতে পারবে না। তাহলে পাখিরা সেটাকেই তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করে প্রজননক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।
রাজশাহীর পদ্মার চরে পাখিরা বেঁধেছে বাসা। ছবি: ইনাম আল হক |
No comments