কেন এফএটিএফ ইউনিট গঠন করেছে পাকিস্তান by উমাইর জামাল
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiFVCGAnm4l71YaaOr4uxqRYx0farH5Ama9E5U8Ffgjtr2x7f4C3wMGM2ABJ_9c29rUS4J2TuuZrSdp1RFBbkLcYqAleJQLMvYRuWR-mI3b5gtMq99jirWl4CqMIERu5Cnwk6plEB16l9s/s400/pakistan-flag.jpg)
পাকিস্তান
সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও দুর্নীতি হ্রাসের জন্য চলমান সংস্কার কার্যক্রম
তদারকির জন্য ফেডারেল ব্যুরো অব রেভিনিউয়ে (এফবিআর) স্বাধীন ফিন্যান্সিয়াল
অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) প্রতিষ্ঠা করেছে। জানা গেছে, পাকিস্তান
সরকার পরবর্তী এফএটিএফ সময়সূচির আগেই এ ধরনের আরো কিছু প্রক্রিয়া
বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন বিভাগে প্রয়োগ করা হবে।
গত শুনানির সময় পাকিস্তান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেই আলোকে দেশটি কি তা বাস্তবায়ন করতে পারবে?
পাকিস্তানে যে দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে দেশটি এ ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। মাত্র কয়েক দিন আগে সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, এফএটিএফ’র সময়োচিত বাস্তবায়ন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
আগামী অক্টোবরে এফএটিএফ নিয়ে পাকিস্তানের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। পাকিস্তান গত শুনানির সময় বেশ কঠিন পরিস্থিতিতেই পড়ে। তাতে বলা হয়, পাকিস্তান প্রথমে জানুয়ারির সময়সীমা এবং তারপর মে মাসের চূড়ান্ত সময়সীমার মেয়াদে প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
ইসলামাবাদের জন্য আরো উদ্বেগের বিষয় হলো এই যে আগামী তদন্তই হতে যাচ্ছে শেষ এবং নভেম্বরের পর পাকিস্তান আর কোনো ছাড় পাবে না। নভেম্বরের বৈঠকেও এফএটিএফ যদি মনে করে যে পাকিস্তানের অগ্রগতি অপর্যাপ্ত, তবে ইসলামাবাদ বড় ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হতে পারে। আর তা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ভালো হবে না।
পাকিস্তানকে ওইসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হলে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাকিস্তান বিদ্যমান সব ব্যবধান দূর করতে পারবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। পাকিস্তান অনেক কিছুই করেছে কিন্তু কালো তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে পাকিস্তানকে আরো অনেক কিছু করতে হবে।
অবশ্য এফএটিফ’র কালো তালিকা থেকে রক্ষা পেতে পাকিস্তান বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে সমর্থন পেতে পারে। এর অন্যতম হলো চীন। তবে পাকিস্তান অন্য দেশকে তার ক্ষতি করার সুযোগ দিতে চায় না। বিশেষ করে ভারত এফএটিএফ’র মাধ্যমে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। ভারতের এই পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত রয়েছে পাকিস্তান। আবার যুক্তরাষ্ট্রও এবার পাকিস্তানকে নিঃসঙ্গ করার জন্য চাপ দেবে বলে মনে হয় না।
দুই সপ্তাহ আগে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্ব কেবল ওয়াশিংটনের সাথে ইসলামাবাদের ক্ষতিগ্রস্ত সম্পর্কই মেরামত করতে সক্ষম হননি, সেইসাথে জানা গেছে এফএটিএফে পাকিস্তানের বিষয়টি আরো জটিল না করতেও যুক্তরাষ্ট্র আশ্বাস দিয়েছে। যদি তা হয়ে থাকে, এফএটিএফে পাকিস্তানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান হবে নমনীয় এবং তা হবে ইসলামাবাদের একটি বড় জয়।
আর ইসলামাবাদও জানে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সহায়তা পেতে হলে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাকে কিছু করতে হবে।
তবে সবকিছুই যাতে ভালোভাবে হয়, সেজন্যই বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পাকিস্তান যে আন্তরিকভাবে এফএটিএফের নির্দেশিকা বাস্তবায়ন করছে, তা প্রমাণ করার জন্য পাকিস্তানকে অনেক কিছুই দেখাতে হবে।
আর এ কারণে আগামী কয়েক সপ্তাহ পাকিস্তানকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সেজন্য দেশেই কেবল পর্যাপ্ত সাফল্য দেখালে চলবে না, সেইসাথে তালেবানের কাছ থেকেও বড় ধরনের ছাড় আদায় করে নিতে হবে।
গত শুনানির সময় পাকিস্তান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেই আলোকে দেশটি কি তা বাস্তবায়ন করতে পারবে?
পাকিস্তানে যে দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে দেশটি এ ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। মাত্র কয়েক দিন আগে সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, এফএটিএফ’র সময়োচিত বাস্তবায়ন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
আগামী অক্টোবরে এফএটিএফ নিয়ে পাকিস্তানের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। পাকিস্তান গত শুনানির সময় বেশ কঠিন পরিস্থিতিতেই পড়ে। তাতে বলা হয়, পাকিস্তান প্রথমে জানুয়ারির সময়সীমা এবং তারপর মে মাসের চূড়ান্ত সময়সীমার মেয়াদে প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
ইসলামাবাদের জন্য আরো উদ্বেগের বিষয় হলো এই যে আগামী তদন্তই হতে যাচ্ছে শেষ এবং নভেম্বরের পর পাকিস্তান আর কোনো ছাড় পাবে না। নভেম্বরের বৈঠকেও এফএটিএফ যদি মনে করে যে পাকিস্তানের অগ্রগতি অপর্যাপ্ত, তবে ইসলামাবাদ বড় ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হতে পারে। আর তা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ভালো হবে না।
পাকিস্তানকে ওইসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হলে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাকিস্তান বিদ্যমান সব ব্যবধান দূর করতে পারবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। পাকিস্তান অনেক কিছুই করেছে কিন্তু কালো তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে পাকিস্তানকে আরো অনেক কিছু করতে হবে।
অবশ্য এফএটিফ’র কালো তালিকা থেকে রক্ষা পেতে পাকিস্তান বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে সমর্থন পেতে পারে। এর অন্যতম হলো চীন। তবে পাকিস্তান অন্য দেশকে তার ক্ষতি করার সুযোগ দিতে চায় না। বিশেষ করে ভারত এফএটিএফ’র মাধ্যমে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। ভারতের এই পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত রয়েছে পাকিস্তান। আবার যুক্তরাষ্ট্রও এবার পাকিস্তানকে নিঃসঙ্গ করার জন্য চাপ দেবে বলে মনে হয় না।
দুই সপ্তাহ আগে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্ব কেবল ওয়াশিংটনের সাথে ইসলামাবাদের ক্ষতিগ্রস্ত সম্পর্কই মেরামত করতে সক্ষম হননি, সেইসাথে জানা গেছে এফএটিএফে পাকিস্তানের বিষয়টি আরো জটিল না করতেও যুক্তরাষ্ট্র আশ্বাস দিয়েছে। যদি তা হয়ে থাকে, এফএটিএফে পাকিস্তানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান হবে নমনীয় এবং তা হবে ইসলামাবাদের একটি বড় জয়।
আর ইসলামাবাদও জানে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সহায়তা পেতে হলে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাকে কিছু করতে হবে।
তবে সবকিছুই যাতে ভালোভাবে হয়, সেজন্যই বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পাকিস্তান যে আন্তরিকভাবে এফএটিএফের নির্দেশিকা বাস্তবায়ন করছে, তা প্রমাণ করার জন্য পাকিস্তানকে অনেক কিছুই দেখাতে হবে।
আর এ কারণে আগামী কয়েক সপ্তাহ পাকিস্তানকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সেজন্য দেশেই কেবল পর্যাপ্ত সাফল্য দেখালে চলবে না, সেইসাথে তালেবানের কাছ থেকেও বড় ধরনের ছাড় আদায় করে নিতে হবে।
No comments