কাশ্মীর সঙ্কট সমাধানে গণভোটের পরামর্শ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু
কাশ্মীর
ও এর সমস্যা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি মনে করেছিলেন, গণভোটের মাধ্যমে
কাশ্মীরের জনগণকে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে দেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। এ
অঞ্চলে সাম্প্রতিক নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে বহু বছর পর তার
দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টি আলোচনায় আসলো।
রাজনীতিবিদ, চিন্তাবিদ এবং অন্যান্য সচেতন মহল কাশ্মীরের সঙ্কট সমাধানের জন্য নিজেদের মতামত দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জনক শেখ মুজিবুর রহমানও কাশ্মীর সঙ্কট সমাধানে তার সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ কারাগারের রোজনামচাতে এ বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে।
কাশ্মীর নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন: ‘অত্যাচার আর গুলি করতে কেহ কাহারো চেয়ে কম পারদর্শী নয়। গুলি করে বা গ্রেফতার করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। ভারতের উচিত ছিল গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার মেনে নিয়ে দুদেশের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি করে নেয়া।’
তিনি পরামর্শ দেন, ‘পাকিস্তান ও ভারত সামরিক খাতে অর্থ ব্যয় না করে দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য অর্থ ব্যয় করতে পারত। দুদেশের জনগণও উপকৃত হত। ভারত যখন গণতন্ত্রের পূজারি বলে নিজকে মনে করে তখন কাশ্মীরের জনগণের মতামত নিতে কেন আপত্তি করছে? এতে একদিন দুটি দেশই এক ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হতে বাধ্য হবে।’
ভারত যেভাবে অব্যাহতভাবে কাশ্মীরীতের মতামতকে অবজ্ঞা করে এসেছে, সেটার ব্যাপারে সমালোচনামুখর ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি লিখেছিলেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ভারত, গণতন্ত্রের পথে যেতে রাজি হয় না কেন? কারণ তারা জানে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনগণের মতামত নিলে ভারতের পক্ষে কাশ্মীরের লোক ভোট দেবে না। তাই জুলুম করেই দখল রাখতে হবে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘দুদেশের সরকার কাশ্মীরের একটি শান্তিপূর্ণ ফয়সালা না করে দুই দেশের জনগণের ক্ষতিই করছেন। দুদেশের মধ্যে শান্তি কায়েম হলে, সামরিক বিভাগে বেশি টাকা খরচ না করে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা যেত। তাতে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হতো। আমার মনে হয়, ভারতের একগুঁয়েমিই দায়ী শান্তি না হওয়ার জন্য।’
শেখ মুজিবের কন্যা এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক কাশ্মীর সঙ্কট নিয়ে কি দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন, সেটাও এখন অনেকের আগ্রহের বিষয়।
সঙ্কট নিয়ে তিনি কি তার বাবার বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত পোষণ করেন না কি তিনি মোদি সরকারকে প্রতিবেশীসুলভ প্রশংসার মধ্যেই রাখবেন?
কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ ৫ আগস্ট সোমবার পার্লামেন্টে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করার জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রেসিডেন্ট এর পর প্রস্তাবটি অনুমোদন দেন। ফলে, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য ৭০ বছর ধরে যে বিশেষ মর্যাদা বহাল ছিল সংবিধানে, সেটি এর মাধ্যমে বিলুপ্ত করা হলো। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে জম্মু ও কাশ্মীরকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে।
৩৭০ অনুচ্ছেদে জম্মু ও কাশ্মীরের মুসলিমদের এক ধরণের স্বায়ত্বশাসন দেয়া হয়েছিল। তাদের নিজস্ব সংবিধান, স্বতন্ত্র পতাকা এবং স্বাধীন আইন ছিল। কিন্তু ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর জম্মু ও কাশ্মীর এখন পুরোপুরি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকবে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে নাকচ করে দিয়েছে কাশ্মীরের জনগণ।
কাশ্মীরের সঙ্কট এবং কাশ্মীরের সংগ্রম বহু দশক ধরে চলে আসছে। ১৯৪৭ সাল থেকে এই সমস্যার শুরু যখন ভারত ও পাকিস্তান দুটো স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয়।
দুই নতুন প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ দাবি করে। পাকিস্তান একাংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়, আর ভারত আরেক অংশের দখল নেয়, যেটা জম্মু ও কাশ্মীর নামে পরিচিত।
যে অংশটি পাকিস্তানের মধ্যে পড়েছে, সেটি আজাদ কাশ্মীর নামে পরিচিত। দুই দেশের মধ্যে যেটি বিবাদের প্রধান কারণ, সেটা হলো জম্মু ও কাশ্মীর।
রাজনীতিবিদ, চিন্তাবিদ এবং অন্যান্য সচেতন মহল কাশ্মীরের সঙ্কট সমাধানের জন্য নিজেদের মতামত দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জনক শেখ মুজিবুর রহমানও কাশ্মীর সঙ্কট সমাধানে তার সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ কারাগারের রোজনামচাতে এ বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে।
কাশ্মীর নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন: ‘অত্যাচার আর গুলি করতে কেহ কাহারো চেয়ে কম পারদর্শী নয়। গুলি করে বা গ্রেফতার করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। ভারতের উচিত ছিল গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার মেনে নিয়ে দুদেশের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি করে নেয়া।’
তিনি পরামর্শ দেন, ‘পাকিস্তান ও ভারত সামরিক খাতে অর্থ ব্যয় না করে দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য অর্থ ব্যয় করতে পারত। দুদেশের জনগণও উপকৃত হত। ভারত যখন গণতন্ত্রের পূজারি বলে নিজকে মনে করে তখন কাশ্মীরের জনগণের মতামত নিতে কেন আপত্তি করছে? এতে একদিন দুটি দেশই এক ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হতে বাধ্য হবে।’
ভারত যেভাবে অব্যাহতভাবে কাশ্মীরীতের মতামতকে অবজ্ঞা করে এসেছে, সেটার ব্যাপারে সমালোচনামুখর ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি লিখেছিলেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ভারত, গণতন্ত্রের পথে যেতে রাজি হয় না কেন? কারণ তারা জানে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনগণের মতামত নিলে ভারতের পক্ষে কাশ্মীরের লোক ভোট দেবে না। তাই জুলুম করেই দখল রাখতে হবে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘দুদেশের সরকার কাশ্মীরের একটি শান্তিপূর্ণ ফয়সালা না করে দুই দেশের জনগণের ক্ষতিই করছেন। দুদেশের মধ্যে শান্তি কায়েম হলে, সামরিক বিভাগে বেশি টাকা খরচ না করে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা যেত। তাতে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হতো। আমার মনে হয়, ভারতের একগুঁয়েমিই দায়ী শান্তি না হওয়ার জন্য।’
শেখ মুজিবের কন্যা এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক কাশ্মীর সঙ্কট নিয়ে কি দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন, সেটাও এখন অনেকের আগ্রহের বিষয়।
সঙ্কট নিয়ে তিনি কি তার বাবার বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত পোষণ করেন না কি তিনি মোদি সরকারকে প্রতিবেশীসুলভ প্রশংসার মধ্যেই রাখবেন?
কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ ৫ আগস্ট সোমবার পার্লামেন্টে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করার জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রেসিডেন্ট এর পর প্রস্তাবটি অনুমোদন দেন। ফলে, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য ৭০ বছর ধরে যে বিশেষ মর্যাদা বহাল ছিল সংবিধানে, সেটি এর মাধ্যমে বিলুপ্ত করা হলো। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে জম্মু ও কাশ্মীরকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে।
৩৭০ অনুচ্ছেদে জম্মু ও কাশ্মীরের মুসলিমদের এক ধরণের স্বায়ত্বশাসন দেয়া হয়েছিল। তাদের নিজস্ব সংবিধান, স্বতন্ত্র পতাকা এবং স্বাধীন আইন ছিল। কিন্তু ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর জম্মু ও কাশ্মীর এখন পুরোপুরি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকবে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে নাকচ করে দিয়েছে কাশ্মীরের জনগণ।
কাশ্মীরের সঙ্কট এবং কাশ্মীরের সংগ্রম বহু দশক ধরে চলে আসছে। ১৯৪৭ সাল থেকে এই সমস্যার শুরু যখন ভারত ও পাকিস্তান দুটো স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয়।
দুই নতুন প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ দাবি করে। পাকিস্তান একাংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়, আর ভারত আরেক অংশের দখল নেয়, যেটা জম্মু ও কাশ্মীর নামে পরিচিত।
যে অংশটি পাকিস্তানের মধ্যে পড়েছে, সেটি আজাদ কাশ্মীর নামে পরিচিত। দুই দেশের মধ্যে যেটি বিবাদের প্রধান কারণ, সেটা হলো জম্মু ও কাশ্মীর।
No comments