পরাক্রমশালী হবে তুরস্ক by এরদোগান
নয়া দিগন্ত, ১১ জুলাই ২০১৮:
তুরস্ককে নতুন করে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব
এরদোগান। দেশটির নতুন শাসনব্যবস্থার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর
দেয়া ভাষণে এ অঙ্গীকার করেন তিনি। শপথ নেয়ার পর তিনি তার নতুন মন্ত্রিসভার
সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানী আঙ্কারার গ্র্যান্ড
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পার্লামেন্টের ভারপ্রাপ্ত স্পিকার দুরমাস ইলমিজের
সভাপতিত্বে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
শপথ গ্রহণের পর উদ্বোধনী ভাষণে এরদোগান বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থা কার্যকরের মাধ্যমে তুরস্ক তার অগ্রযাত্রা নতুন করে শুরু করেছে।’ তিনি ‘শক্তিশালী সরকার ও শক্তিশালী তুরস্ক’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সে দেশী-বিদেশী বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে দেয়া বক্তৃতায় এরদোগান বলেন, ‘আমরা একটি নতুন শাসনব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছি; যেটি আমাদের ১৫০ বছর ধরে গণতন্ত্র অনুসন্ধান থেকে অনেক দূরে এবং আমাদের ৯৫ বছর বয়সী গণপ্রজাতন্ত্রের মাধ্যমে আমরা এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।’ তিনি বলেন, ‘সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করব। আমাদের যারা ভোট দিয়েছেন, আমি কেবল তাদের প্রেসিডেন্ট হবো না, তুরস্কের ৮ কোটি ১০ লাখ নাগরিকের প্রেসিডেন্ট হতে চাই।’
তিনি বলেন, নতুন এই ব্যবস্থা অতীতের প্রান্তিকীকরণ, নিপীড়ন এবং মানুষের বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটাবে। তিনি আরো বলেন, নুতন ব্যবস্থায় গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, স্বাধীনতা, অর্থনীতি এবং বৃহৎ বিনিয়োগসহ সব ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে তুরস্ক আরো এগিয়ে যাবে। জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তুরস্ককে শক্তিশালী করতে কাজ চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেন এরদোগান। এরদোগানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশ বিদেশের প্রায় ১০ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তি ও অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।
এরদোগান বলেন, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য, ২০১৬ সালের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে সিরিয়া ও ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধ থেকে তুরস্ককে রক্ষার জন্য নির্বাহী ক্ষমতার দিক দিয়ে প্রেসিডেন্টের অনেক বেশি ক্ষমতাশালী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ভাষণে তিনি ‘শক্তিশালী সরকার ও শক্তিশালী তুরস্ক’ গড়ার প্রতিশ্রুুতি দেন।
বিদেশী নেতাদের মধ্যে কাতারের আমিরসহ ২১টি দেশের প্রেসিডেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। দেশগুলো হচ্ছে- বুলগেরিয়া, জর্জিয়া, মেসিডোনিয়া, মলদোভা, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সার্বিয়া, কসোভো, পাকিস্তান, কিরগিজস্তান, সুদান, গিনি, জাম্বিয়া, গিনি বিসাউ, নিরক্ষীয় গিনি, সোমালিয়া, মৌরিতানিয়া, গ্যাবন, শাদ, জিবুতি, ভেনেজুয়েলা, তুর্কি প্রজাতন্ত্রের উত্তর সাইপ্রাস। এ ছাড়া, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। নতুন নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করেছেন রজব তাইয়েব এরদোগান। প্রথম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর ১৬ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন তিনি।
এরদোগান বলেন, নতুন এই প্রশাসনব্যবস্থা নির্বাহী শাখাকে আরো দক্ষ করে তুলবে। তিনি তার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফুয়াত ওকাতায়’র নাম ঘোষণা করেন। পূর্ববর্তী সরকারে তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রধান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ কাভুসোগলু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলায়মান সোয়োলুকে তাদের আগের পদেই বহাল রাখা হয়েছে।
নতুন মন্ত্রিসভার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এই যে, সাবেক জ্বালানি মন্ত্রী ও এদোগানের জামাতা বেরাত আলবায়েরাক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এবং সেনাপ্রধান হুলুসি আকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ লাভ করেছেন।
নতুন ব্যবস্থায় প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রির মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদে সদস্যের সংখ্যা ২৫ থেকে কমিয়ে ১৬ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতটি মন্ত্রণালয় এই ১৬টি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন সরকারের অধীনে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
নতুন ব্যবস্থায় ৬৪ বছর বয়সী এরদোগান রাষ্ট্রীয় নির্বাহী শাখার নেতৃত্ব দেবেন এবং পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়াই ভাইস প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ঊর্ধ্বতন বিচারপতিদের নিয়োগ কিংবা বরখাস্ত করার ক্ষমতার অধিকারী হবেন। এ ছাড়া, পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ক্ষমতাসহ কার্যনির্বাহী আদেশ জারি করা এবং জরুরি অবস্থা আরোপ করার ক্ষমতাও পাবেন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, নতুন ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী পদের বিলুপ্তি ঘটেছে।
এরদোগানের সমর্থকেরা তুরস্কের শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তনকে এমন এক নেতার জন্য উপহার হিসেবে বিবেচনা করছেন, যিনি জনজীবনে ইসলামি মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়েছেন, ধর্মভীরু শ্রমজীবী শ্রেণীর পাশে থেকেছেন এবং ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
শপথ গ্রহণের পর উদ্বোধনী ভাষণে এরদোগান বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থা কার্যকরের মাধ্যমে তুরস্ক তার অগ্রযাত্রা নতুন করে শুরু করেছে।’ তিনি ‘শক্তিশালী সরকার ও শক্তিশালী তুরস্ক’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সে দেশী-বিদেশী বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে দেয়া বক্তৃতায় এরদোগান বলেন, ‘আমরা একটি নতুন শাসনব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছি; যেটি আমাদের ১৫০ বছর ধরে গণতন্ত্র অনুসন্ধান থেকে অনেক দূরে এবং আমাদের ৯৫ বছর বয়সী গণপ্রজাতন্ত্রের মাধ্যমে আমরা এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।’ তিনি বলেন, ‘সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করব। আমাদের যারা ভোট দিয়েছেন, আমি কেবল তাদের প্রেসিডেন্ট হবো না, তুরস্কের ৮ কোটি ১০ লাখ নাগরিকের প্রেসিডেন্ট হতে চাই।’
তিনি বলেন, নতুন এই ব্যবস্থা অতীতের প্রান্তিকীকরণ, নিপীড়ন এবং মানুষের বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটাবে। তিনি আরো বলেন, নুতন ব্যবস্থায় গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, স্বাধীনতা, অর্থনীতি এবং বৃহৎ বিনিয়োগসহ সব ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে তুরস্ক আরো এগিয়ে যাবে। জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তুরস্ককে শক্তিশালী করতে কাজ চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেন এরদোগান। এরদোগানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশ বিদেশের প্রায় ১০ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তি ও অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।
এরদোগান বলেন, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য, ২০১৬ সালের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে সিরিয়া ও ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধ থেকে তুরস্ককে রক্ষার জন্য নির্বাহী ক্ষমতার দিক দিয়ে প্রেসিডেন্টের অনেক বেশি ক্ষমতাশালী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ভাষণে তিনি ‘শক্তিশালী সরকার ও শক্তিশালী তুরস্ক’ গড়ার প্রতিশ্রুুতি দেন।
বিদেশী নেতাদের মধ্যে কাতারের আমিরসহ ২১টি দেশের প্রেসিডেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। দেশগুলো হচ্ছে- বুলগেরিয়া, জর্জিয়া, মেসিডোনিয়া, মলদোভা, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সার্বিয়া, কসোভো, পাকিস্তান, কিরগিজস্তান, সুদান, গিনি, জাম্বিয়া, গিনি বিসাউ, নিরক্ষীয় গিনি, সোমালিয়া, মৌরিতানিয়া, গ্যাবন, শাদ, জিবুতি, ভেনেজুয়েলা, তুর্কি প্রজাতন্ত্রের উত্তর সাইপ্রাস। এ ছাড়া, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। নতুন নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করেছেন রজব তাইয়েব এরদোগান। প্রথম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর ১৬ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন তিনি।
এরদোগান বলেন, নতুন এই প্রশাসনব্যবস্থা নির্বাহী শাখাকে আরো দক্ষ করে তুলবে। তিনি তার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফুয়াত ওকাতায়’র নাম ঘোষণা করেন। পূর্ববর্তী সরকারে তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রধান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ কাভুসোগলু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলায়মান সোয়োলুকে তাদের আগের পদেই বহাল রাখা হয়েছে।
নতুন মন্ত্রিসভার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এই যে, সাবেক জ্বালানি মন্ত্রী ও এদোগানের জামাতা বেরাত আলবায়েরাক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এবং সেনাপ্রধান হুলুসি আকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ লাভ করেছেন।
নতুন ব্যবস্থায় প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রির মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদে সদস্যের সংখ্যা ২৫ থেকে কমিয়ে ১৬ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতটি মন্ত্রণালয় এই ১৬টি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন সরকারের অধীনে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
নতুন ব্যবস্থায় ৬৪ বছর বয়সী এরদোগান রাষ্ট্রীয় নির্বাহী শাখার নেতৃত্ব দেবেন এবং পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়াই ভাইস প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ঊর্ধ্বতন বিচারপতিদের নিয়োগ কিংবা বরখাস্ত করার ক্ষমতার অধিকারী হবেন। এ ছাড়া, পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ক্ষমতাসহ কার্যনির্বাহী আদেশ জারি করা এবং জরুরি অবস্থা আরোপ করার ক্ষমতাও পাবেন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, নতুন ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী পদের বিলুপ্তি ঘটেছে।
এরদোগানের সমর্থকেরা তুরস্কের শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তনকে এমন এক নেতার জন্য উপহার হিসেবে বিবেচনা করছেন, যিনি জনজীবনে ইসলামি মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়েছেন, ধর্মভীরু শ্রমজীবী শ্রেণীর পাশে থেকেছেন এবং ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
No comments